চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে যত ভোটে নির্বাচিত হলে যারা...

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে ভোটের অংকে আওয়ামী লীগের ব্যাপক উত্থান হলেও জয় পেয়েছেন জামায়াত নেতা। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম বিজয়ী হয়েছেন ৩১ হাজার ৫০৪ ভোট পেয়ে। নির্বাচিতের চেয়ে পুরোপুরি ১ হাজার ভোট কম পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন আওয়ামী লীগের সামিউল হক লিটন। তিনি পেয়েছেন ৩০ হাজার ৫০৪ ভোট। গত নির্বাচনে এক নম্বরে থাকা বিএনপি’র প্রার্থী এবার নেমে এসেছেন তিন নম্বরে। বিএনপি’র আতাউর রহমান পেয়েছে ২১ হাজার ৪২৭ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী অপর তিন প্রার্থী মাওলনা আব্দুল মতিন পেয়েছেন ১ হাজার ১৫৩ ভোট, জাসদের প্রার্থী মনিরুজ্জামান মনির পেয়েছেন ২ হাজার ৮৫৮ ভোট এবং জাতীয় পার্টির প্রার্থী শাহাজান আলী পেয়েছেন ৩৮৬ ভোট।
সাধারণ কাউন্সিলর হিসেবে যারা নির্বাচিত হয়েছেন তাদের মধ্যে ৯ জনই হচ্ছেন বিএনপি সমর্থক। ৫ জন হচ্ছেন আওয়ামী লীগ সমর্থক আর একজন রয়েছেন স্বতন্ত্র।
১ নম্বর ওয়ার্ডে জাহাঙ্গীর কবির (বিএনপি) ২ হাজার ৬২০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার কাছের প্রতিদ্বন্দ্বি আব্দুল খালেক মিলন (আওয়ামী লীগ) পেয়েছেন ২ হাজার ৪৩৬ ভোট। ২ নম্বর ওয়ার্ডে জিয়াউর রহমান (আওয়ামী লীগ) ১ হাজার ৮২০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার কাছের প্রতিদ্বন্দ্বি শহীদ হোসেন রানা (আওয়ামী লীগ) পেয়েছেন ১ হাজার ৬৯৭ ভোট। ৩ নম্বর ওয়ার্ডে এনামুল হক (বিএনপি) ২ হাজার ২৮১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার কাছের প্রতিদ্বন্দ্বি রবিউল ইসলাম রবি (জামায়াত) পেয়েছেন ১ হাজার ৭৭৭ ভোট। ৪ নম্বর ওয়ার্ডে মতিউর রহমান মটন ( আওয়ামী লীগ) ১ হাজার ৮০৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার কাছের প্রতিদ্বন্দ্বি নুরুল হোদা পেয়েছেন ১ হাজার ৬০৯ ভোট। ৫ নম্বর ওয়ার্ডে আহসান হাবিব (বিএনপি) ১ হাজার ৮০০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার কাছের প্রতিদ্বন্দ্বি আকবর আলী পেয়েছেন ১ হাজার ৭০৫ ভোট। ৬ নম্বর ওয়ার্ডে আব্দুল বারেক (বিএনপি) ২ হাজার ৮৬৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন তার কাছের প্রতিদ্বন্দ্বি শফিকুল ইসলাম পেয়েছেন ১৯৭৭ ভোট। ৭ নম্বর ওয়ার্ডে নুরুল ইসলাম মিনহাজ (আওয়ামী লীগ) ১ হাজার ৭৯৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার কাছের প্রতিদ্বন্দ্বি আব্দুল মোমিন (জামায়াত) পেয়েছেন ১ হাজার ৪১০ ভোট। ৮ নম্বর ওয়ার্ডে মইদুল ইসলাম (বিএনপি) ১ হাজার ৪৭০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার কাছের প্রতিদ্বন্দ্বি ফজলুর রহমান (আওয়ামী লীগ) পেয়েছেন ৯৭৭ ভোট। ৯ নম্বর ওয়ার্ডে আফজাল হোসেন পিন্টু (আওয়ামী লীগ) ২২৮০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার কাছের প্রতিদ্বন্দ্বি আব্দুস সালাম পেয়েছেন ১ হাজার ১০১ ভোট। ১০ নম্বর ওয়ার্ডে মমরেজুল আখতার (স্বতন্ত্র) ৩ হাজার ১৮৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার কাছের প্রতিদ্বন্দ্বি বাদরুল আলম (জামায়াত) পেয়েছেন ১ হাজার ৮৮৫ ভোট। ১১ নম্বর ওয়ার্ডে সাইদুর রহমান (বিএনপি) ২ হাজার ৫৩৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার কাছের প্রতিদ্বন্দ্বি আব্দুল হাই ( জামায়াত) পেয়েছেন ১ হাজার ৮২৯ ভোট। ১২ নম্বর ওয়ার্ডে ইব্রাহিম আলী (আওয়ামী লীগ) ১ হাজার ৪৯২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার কাছের প্রতিদ্বন্দ্বি সাইদুর রহমান পেয়েছেন ৮৪৩ ভোট। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে তসিকুল ইসলাম (বিএনপি) ৩ হাজার ৫০০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার কাছের প্রতিদ্বন্দ্বি আব্দুল খালেক (জামায়াত) পেয়েছেন ২ হাজার ৬৭৭ ভোট। ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে দুলাল আলী ( বিএনপি) ৩ হাজার ৫০১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার কাছের প্রতিদ্বন্দ্বি সেরাজুল ইসলাম জারজিস (জামায়াত) পেয়েছেন ১ হাজার ৬৮৪ ভোট। এখানে এখানে আওয়ামী লীগের শাহ আলম জামায়াতের প্রার্থীর থেকে মাত্র তিন ভোট কম পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন। শাহ আলম পেয়েছেন ১ হাজার ৬৮১ ভোট। ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে ইউনুসুর রহমান (বিএনপি) ১ হাজার ৬০৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার কাছের প্রতিদ্বন্দ্বি শাখওয়াত হোসেন শওকত (আওয়ামী লীগ) পেয়েছেন ১ হাজার ৬৯ ভোট।
সংরক্ষিত আসনে আওয়ামী লীগ সমর্থক ২ জন জয়ী হয়েছে। বিএনপি’র রয়েছে ১ জন। সাধারণ কাউন্সিলরে জামায়াতের একটিও না থাকলেও এখানে তাদেও রয়েছে ২ জন।
১ নম্বর (১,২,৩)ওয়ার্ডে মোসলেমা বেগম মুসি (আওয়ামী লীগ) ৭ হাজার ৭৪২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার কাছের প্রতিদ্বন্দ্বি মিনা বেগম (বিএনপি) পেয়েছেন ৫ হাজার ১৮০ ভোট। ২ নম্বর (৪,৫,৬) ওয়ার্ডে মাসকুরা বেগম (আওয়ামী লীগ) ৫ হাজার ৫৯৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার কাছের প্রতিদ্বন্দ্বি রেহেনা পারভীন পেয়েছেন ৪ হাজার ৮০০ ভোট। ৩ নম্বর (৭,৮,৯) ওয়ার্ডে সিদ্দিকা সিরাজুম মনিরা (বিএনপি) ৫ হাজার ৬৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার কাছের প্রতিদ্বন্দ্বি নাজনীন নাহার পেয়েছেন ৪ হাজার ৯৭১ ভোট। ৪ নম্বর (১০,১১,১২) ওয়ার্ডে শাকেরা খাতুন (জামায়াত) ৭ হাজার ২৫৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার কাছের প্রতিদ্বন্দ্বি শরিফা খাতুন বেবি (আওয়ামী লীগ) পেয়েছেন ৫ হাজার ৮৩৯ ভোট। ৫ নম্বর (১৩,১৪,১৫) ওয়ার্ডে আনোয়ারা বেগম (জামায়াত) ৯৫৫৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার কাছের প্রতিদ্বন্দ্বি তাসমিমা আনোয়ার কলি ( আওয়ামী লীগ)পেয়েছেন ৩ হাজার ৯২৯ ভোট।


চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ০৩-০১-১৬