জেলায় ১৮৫ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেই প্রধান শিক্ষক > সহকারি শিক্ষকেরও পদশূন্য ৫৫৫টি

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় ১৮৫ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের  পদশূন্য রয়েছে। এছাড়া জেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে  ৫৫৫ জন সহকারি শিক্ষকের পদশূণ্য রয়েছে। বিদ্যালয়ে । এতে ওই বিদ্যালয় গুলোতে শিক্ষা ও দাফতরিক কার্যক্রম ব্যহৃত  হচ্ছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ  জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের দেয়া তথ্য মতে  জেলার  ৬৯৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের  মধ্যে ( রাজস্ব) ৩৭০টি জাতীয়করণ ঘোষিত ৩২৭টি এর মধ্যে ৩৭০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিক শাখা চালু রয়েছে।  এর মধ্যে দীর্ঘদিন  ধরে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই চলছে ১৮৫ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কার্যক্রম।  এছাড়া  জেলায়  ৫৫৫ টি সহকারি শিক্ষকের পদশূণ্য রয়েছে। সদর উপজেলার  নারায়নপুরে ৬টি, আলাতুলি ৪টি, দেবীনগর ৪টি ও চরবাডাঙ্গায় ২টি  বিদ্যালয়গুলোতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে অস্থায়ী দায়িত্ব পালন করছেন সহকারি শিক্ষকেরা।  এছাড়াও জেলার অন্য ৪টি উপজেলাতেও চলছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্খ দিয়ে। বিভিন্ন বিদ্যালয়ের কয়েকজন প্রধান শিক্ষক চাঁপাই চিত্রকে বলেন, প্রধান শিক্ষকের অতিরিক্ত দায়িত্ব তাদের কাছে বাড়তি বোঝা। তাদের  অভিযোগ সবসময় দাফরিক কাজে নানা তথ্য দিতে এবং উপজেলা পর্যায়ে সভায় যোগ দিতে ছোটাছুটি করতে হয়। অথচ অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনের জন্য তাদের কোন পারিশ্রমিক দেয়া হয়না। সহকারি শিক্ষকের পদখালি রয়েছে এমন বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক বলেন, অতিরিক্ত পাঠদানের চাপ সামলানোর পাশাপাশি পরীক্ষার খাতাদেখা সহ নানা কাজে ভোগান্তি পোহাতে হয়। কোন কোন বিদ্যালয়ের শিক্ষক সংখ্যা দুই-তিনজন। এসব বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের অফিসের কাজে উপজেলা কিংবা প্রশিক্ষনে অংশ নিতে দুইএকজন শিক্ষকদিয়ে বিদ্যালয় চলে। এতে শিক্ষা শিক্ষাকাযক্রম দারুনভাবে ব্যহৃত হয়।  এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার দিলরুবা বেগম বলেন, উপরোক্ত অভিযোগ  গুলোর ব্যাপারে আমি অবগত তবে প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষকের শূন্য পদগুলো অতিশ্রীঘই পূরণ করা হবে। এব্যাপারে সরকার খুবই আন্তরিক কারণ সারাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে শূন্য পদগুলো পূরনে একের পর এক নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। তিনি আরো জানান, প্রধান শিক্ষকের পদোন্নতি বিষয়টি সরকার বিবেচনা করে দ্রুত পূরনের ব্যবস্থা করছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ মেহেদি হাসান, নিজস্ব প্রতিবেদক/ ০৬-১২-১৫