রাজশাহীতে গৃহবধূর লাশ উদ্ধারের দেড় মাসের মাথায় আদালতে হত্যা মামলা দায়ের

রাজশাহীর উপশহর এলাকা থেকে প্রায় দেড় মাস আগে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেছে তার পরিবার। রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল- ১ এ দায়ের করা ওই মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে নিহতের স্বামীকে।  আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে তদন্ত-সাপেক্ষে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সংশ্লিষ্ট থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
জানা গেছে. গত ৩ অক্টোবর রাজশাহীর উপশহরের স্বামীর বাসা থেকে বোয়ালিয়া থানা পুলিশ নাইমা আমিন রিশার লাশ উদ্ধার করে। এরপর ময়নাতদন্ত করা হয়। কিন্তু তড়িঘড়ি করে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করে লাশ জোর করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। শুরু থেকেই নিহতের পরিবার অভিযোগ করে আসছিলো তাদের মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
ট্রাইব্যুনালে দায়েরকৃত মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, রিশার বাবা রুহুল আমিন বোয়ালিয়া থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ তার সাথে খারাপ আচরণ করে। বাধ্য হয়ে তিনি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন অনুযায়ী মামলা দায়ের করেন। মামলার বিচারক মনসুর আলম আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে তদন্ত-সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আদালতে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহাদত হোসেন খান বলেন, আদালতের নির্দেশ-মত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে নিহতের পরিবারের সাথে কোনো ধরনের অসাদাচণের কথা অস্বীকার করেন তিনি।
নিহতের পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, ২০১০ সালের ২৭ ফেব্র“য়ারি চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটের রুহুল আমিনের মেয়ে নাইমা আমিন রিশার সাথে বিয়ে হয় রাজশাহীর উপশহর এলাকার সাইফুল ইসলামের ছেলে ওয়ালিদুল ইসলাম সানের সাথে। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য সান তার স্ত্রী রিশাকে মারধর করতেন। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে রিশার পরিবার প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকা এবং সাত ভরি স্বর্ণালঙ্কার উপহার হিসেবে মেয়ে-জামাইকে প্রদান করে। কিন্তু পুনরায় দশ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য রিশাকে মারধর শুরু করে সান। মারধরের এক পর্যায়ে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করা হয় বলেও দাবি করে রিশার পরিবার। এ ব্যাপারে বিবাদীপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায় নি।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ প্রতিবেদক/ ১৬-১১-১৫