রাতে মামলা, রাতেই গ্রেফতার > শিবগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান সায়েমা খাতুন

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেত্রী সায়েমা খাতুনকে রোববার দিবাগত গভীররাতে যৌথবাহিনী গ্রেফতার করেছে। স্থানীয় এক আওয়ামীলীগ নেতার বাদিত্বে রোববার দায়ের হওয়া একটি চাঁদাবাজি মামলায় তাকে দাইপুকুরিয়া ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।
শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ময়নুল ইসলাম জানান, শিবগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা বসির আহম্মেদ রোববার রাত সোয়া ৮টার দিকে বাদী হয়ে সায়েমা খাতুনসহ অপ্সাত ৬-৭ জনেরর বিরুদ্ধে একটি চাঁদাবাজি মামলায় দায়ের করেন। এ মামলার প্রেক্ষিতে যৌথবাহিনী রোববার দিবাগত রাত ৩ টার দিকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সায়েমা খাতুনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, একটি রাস্তা সংস্কার/ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের বরাদ্দ প্রদানের জন্য শিবগঞ্জ উপজেলার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোটা অংকের টাকা দাবি করেন। বাদী ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের অফিস কক্ষে তাকে পঞ্চাশ টাকা পরিশোধ করলেও আরও পঞ্চাশ হাজার টাকা দাবি করে। কিন্তু বাদী টাকা প্রদান করতে অপরগতা প্রকাশ করায় ওই রাস্তা সংস্কারের জন্য টাকা বরাদ্দ প্রদান করেন নি। ওই এজাহারে অভিযোগ করা হয়, আসামীরা তার কাছ থেকে নন জুডিসিয়াল ফাঁকা ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষরও করিয়া নেই।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শিবগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক নূরে আলম সিদ্দিকী  চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ ডটকমকে বলেন, ‘ থানায় মামলা রেকর্ডের পর তাকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় এবং ওই মামলায় তাকে সোমবার আদালতে সোপার্দ করা হয়েছে’।
এদিকে, মামলাটিকে ষড়যন্ত্রমূলক উল্লেখ করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপি’র সভাপতি অধ্যাপক শাজাহান মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক এ্যাড সৈয়দা আসিফা আসরাফী পাপিয়া এক বিবৃতিতে অভিযোগ করেছেন, ‘বিএনপি’র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকায় সায়েমা খাতুনকে হয়রানী করার উদ্দেশ্যে মামলায় জড়ানো হয়েছে’।


চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ২৩-১১-১৫

,