ফুটে উঠলো ভর্তি কোচিং সেন্টারগুলোর বাণিজ্যিক আচরণ

যেকোনো প্রতিযোগিতামুলক পরীক্ষায় প্রথম হতে ইচ্ছা শক্তিই যথেষ্ট বলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ (সস্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় গ-ইউনিটে সম্মিলিত মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করা রাজশাহীর অমিত আহসান। তার এই সফলতার পিছনে তার অক্লান্ত পরিশ্রম হলো মূল কারণ।
কোনো কোচিং সেন্টারে কোচিং করা ছাড়াই তার এই সফলতা। তবে ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই কোচিং সেন্টারগুলো অমিতকে নিজেদের কোচিংয়ের শিক্ষার্থী বলে অপ্রচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন অমিতের বাবা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থা বিভাগের প্রফেসর ড. এম আহসান হাবিব।
  
প্রফেসর এম আহসান হাবিব বলেন, এইচএসসি পরীক্ষার পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির জন্য অমিত নিজের মতো করে প্রস্তুতি শুরু করে। ভর্তি পরীক্ষার জন্য সে কোনো কোচিং সেন্টারে ভর্তি হয়নি। এমনকি কোনো শিক্ষকের কাছে প্রাইভেটও পড়েনি।
কিন্তু রোববার দুপুরে ফলাফল প্রকাশের পর থেকে বিভিন্ন কোচিং সেন্টার থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগ করছে। অমিতকে নিজেদের ছাত্র হিসেবে তুলে ধরার জন্য কোচিং সেন্টারের লোকজন মুঠোফোনে যোগাযোগের পাশাপাশি বাড়িতেও আসছেন। কোচিং সেন্টারগুলো অমিতের ছবি নিজেদের প্রচারণায় ব্যবহারের অনুমতির জন্য নানা ধরনের প্রলোভোনও দেখাচ্ছেন বলে অভিযোগ এই প্রফেসরের।

অমিত আহসান  বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির প্রস্তুতি শুরুর প্রথম থেকেই আমার বিশ্বাস ছিল কোচিং না করেও ভালো করা সম্ভব। আমি সেভাবেই প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। এক্ষেত্রে কলেজের শিক্ষকদের উপদেশ প্রস্তুতিতে অনেক সহায়তা করেছে। ইচ্ছে ছিল মেধাতালিকায় ১ থেকে ১০ এর মধ্যে থাকার। সেখানে প্রথম হতে পেরে আমি অনেক আনন্দিত।

প্রফেসর এম আহসান হাবিব আরও বলেন, কোচিং না করেও বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় ভালো করা সম্ভব। অমিত সেটি প্রমাণ করে দিয়েছে। এটা থেকে অন্য শিক্ষার্থীরা অনুপ্রাণিত হতে পারে। কিন্তু কোচিং সেন্টারগুলো যা করছে তা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না।

কোচিং সেন্টার থেকে প্রলোভন দেখানোর বিষয়ে জানতে চাইলে অমিত আহসান বলেন, ইউসিসি, ইউনিএইড, আইকনসহ বিভিন্ন কোচিং সেন্টারগুলো থেকে তার সঙ্গে এ ব্যাপারে যোগাযোগের চেষ্টা করছে এবং তাকে বিভিন্ন জিনিসের প্রলোভন দেখাচ্ছে বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, গত ১৮ অক্টোবর রোববার দুপুরে গ-ইউনিটের ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এতে মোট ১৮৮.৯ স্কোর নিয়ে মেধাতালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে অমিত আহসান। অমিত এ বছর রাজশাহী কলেজ থেকে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে এইচএসসি পাশ করেছে।


চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক, রাবি/ ২০-১০-১৫