প্রধান শিক্ষকের ‘নিজস্ব বাহিনী’র ভয়ে বিদ্যালয়ে যেতে পারছেনা ৮ শিক্ষক
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মোল্লাটোলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের ‘নিজস্ব বাহিনী’র সন্ত্রাসী কার্যকলাপের ভয়ে বিদ্যালয়ে যেতে পারছেন না ৮ জন শিক্ষক। এতে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা কার্যতঃ মুখ থুবড়ে পড়েছে। সোমবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ সাধারণ পাঠাগারে সংবাদ সম্মেলন এই অভিযোগ উত্থাপন করে এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়েছেন ভূক্তভোগি শিক্ষকরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন, ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাহারুজ্জামান। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বিদ্যালয়েল শিক্ষকত, শহীদুল ইসলাম, এমানুল হক, আব্দুল মালেক, ওবায়দুল হক, জিয়াউল হকসহ অন্যান্যরা।
লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নামাজ আদায়ে একটি ওয়াক্তিয়া মসজিদ নির্মাণের জন্য চার টন চাল বরাদ্দ দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। চাল বিক্রির ওই টাকা আত্মসাত করার উদ্দেশ্যে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা সাইকেল গ্যারেজের উপর টিনের চালা দিয়ে মসজিদ তৈরীর চেষ্টা করেন। গত ৩০ সেপ্টেম্বর এর প্রতিবাদ জানালে প্রধান শিক্ষক স্থানীয় ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের ডেকে শিক্ষকদের ভয়ভীতি দেখান। ওই সন্ত্রাসীরা সাহারুজ্জামান ও এনামুল হক নামে দুই শিক্ষককে মারধর করেন। ওই ঘটনায় সাত জনের নামে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। এরপর থেকে সন্ত্রাসীরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে। তারা শিক্ষকরে নানাভাবে ভয়-ভীতি দেখাতে থাকে। এর কারণে আট জন শিক্ষক বিদ্যালয়ে যেতে পারছেন না। বিদ্যালয়ের ১১ শিক্ষকের মধ্যে ৮ জন অনুপস্থিত থাকার কারণে কার্যতঃ বন্ধ হয়ে গেছে পাঠদান কার্যক্রম।
সংবাদ সম্মেলনে আরো অভিযোগ করা হয়, প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে অর্থ ও বিদ্যালয়ের আসবাবপত্র আত্মসাত, চেক জালিয়াতিসহ বিভিন্ন অভিযোগ আছে। এছাড়াও তিনি বিদ্যালয়ে নিয়মিত আসেন না।
এসব বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্য মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফাকে পাওয়া যায়নি।
তবে বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সাবেক সভাপতি জালাল উদ্দীন বলেন, প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে আনা এসব অভিযোগ নতুন নয়। এর আগেও তিনি বিদ্যালয়ে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করেছেন। তিনি সভাপতি থাকার সময় বিদ্যালয়ের নিয়মিত অনুপস্থিতির কারণে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তখনও তাকে ভয়ভীতি দেখিয়েছিলেন প্রধান শিক্ষকের ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ১২-১০-১৫
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন, ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাহারুজ্জামান। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বিদ্যালয়েল শিক্ষকত, শহীদুল ইসলাম, এমানুল হক, আব্দুল মালেক, ওবায়দুল হক, জিয়াউল হকসহ অন্যান্যরা।
লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নামাজ আদায়ে একটি ওয়াক্তিয়া মসজিদ নির্মাণের জন্য চার টন চাল বরাদ্দ দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। চাল বিক্রির ওই টাকা আত্মসাত করার উদ্দেশ্যে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা সাইকেল গ্যারেজের উপর টিনের চালা দিয়ে মসজিদ তৈরীর চেষ্টা করেন। গত ৩০ সেপ্টেম্বর এর প্রতিবাদ জানালে প্রধান শিক্ষক স্থানীয় ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের ডেকে শিক্ষকদের ভয়ভীতি দেখান। ওই সন্ত্রাসীরা সাহারুজ্জামান ও এনামুল হক নামে দুই শিক্ষককে মারধর করেন। ওই ঘটনায় সাত জনের নামে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। এরপর থেকে সন্ত্রাসীরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে। তারা শিক্ষকরে নানাভাবে ভয়-ভীতি দেখাতে থাকে। এর কারণে আট জন শিক্ষক বিদ্যালয়ে যেতে পারছেন না। বিদ্যালয়ের ১১ শিক্ষকের মধ্যে ৮ জন অনুপস্থিত থাকার কারণে কার্যতঃ বন্ধ হয়ে গেছে পাঠদান কার্যক্রম।
সংবাদ সম্মেলনে আরো অভিযোগ করা হয়, প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে অর্থ ও বিদ্যালয়ের আসবাবপত্র আত্মসাত, চেক জালিয়াতিসহ বিভিন্ন অভিযোগ আছে। এছাড়াও তিনি বিদ্যালয়ে নিয়মিত আসেন না।
এসব বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্য মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফাকে পাওয়া যায়নি।
তবে বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সাবেক সভাপতি জালাল উদ্দীন বলেন, প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে আনা এসব অভিযোগ নতুন নয়। এর আগেও তিনি বিদ্যালয়ে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করেছেন। তিনি সভাপতি থাকার সময় বিদ্যালয়ের নিয়মিত অনুপস্থিতির কারণে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তখনও তাকে ভয়ভীতি দেখিয়েছিলেন প্রধান শিক্ষকের ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ১২-১০-১৫