নওগাঁর শিমুলতলী সেতুকে ঘিরে ভ্রমণ পিয়াসুদের উপচেপড়া ভীড়
বাংলাদেশের উত্তরের সীমান্ত এলাকা নওগাঁ। নওগাঁর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বেশ কিছু ঐতিহাসিক ও প্রতœতত্ব নিদর্শন। এর মধ্যে অন্যতম হলো বদলগাছীর সোমপুর বৌদ্ধ বিহার, ধামইরহাটের জগদ্দল বিহার, আলতাদিঘী জাতীয় উদ্যান, ভিমের পান্টি, পত্নীতলার দিবর দিঘী, মান্দার কুসুম্বা মসজিদ, নওগাঁ সদরের দুবলহাটি রাজবাড়ি, সাপাহারের জবই বিল ইত্যাদি। এ সকল ঐতিহাসিক ও পত্নতত্ব নির্দশন উপভোগ করার জন্য দুরদুরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসে নওগাঁয়।
তবে এ বছর ঈদুল আযহার ছুটিতে নওগাঁসহ আশেপাশের জেলার মানুষের মূল আকর্ষণ ছিল সাপাহার উপজেলায় অবস্থিত ঐতিহাসিক জবই বিল এবং ধামইরহাট উপজেলার অন্তর্গত আত্রাই নদীর উপর নির্মিত শিমুলতলী ব্রীজ। শুকবারের ছুটির দিনে মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত। এ দুটি স্থানে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভীড়ের যথেষ্ট কারণও আছে। জবই বিল শুষ্ক মৌসুমে মরুরুপ ধারণ করলেও বর্ষায় এই বিলের চেহারা একেবারে আলাদা। চারিদিকে শুধু থৈ থৈ পানি আর পানি। বিলের বড় বড় ঢেউ দেখে অনেকেই সমুদ্র সৈকতের অনুভূতি এখান থেকে লাভ করতে পারেন। এ বছর নওগাঁয় অধিক বৃষ্টিপাত হওয়ায় এবং বিলে পর্যাপ্ত পানি থাকায় দর্শনার্থীদের ভীড় বাড়িয়ে দিয়েছে।
জবই বিল ঘুরে দেখা গেছে জবই বিলের দুপাশে হাজারো মানুষের সমাগম। জবই বিলের উভয় পাশে দু কিলোমিটারের মধ্যে মানুষ ও যানবাহনের গাদাগাদিতে যেন তিল ধারণের ঠাঁই ছিলো না। স্থানীয় উদ্যোগে বিলের পানিতে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন দর্শনার্থীদের আনন্দে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে পাশ্ববর্তী পতœীতলা উপজেলা হতে আসা কয়েকজন দর্শনার্থীদের সাথে কথা বললে তাঁরা জানান, বিলের সৌন্দর্য উপভোগ করার মতো। কিন্তু সমস্যা হলো উভয় পাশে দুই কিলোমিটারের মধ্যে রোদ বা বৃষ্টিতে মানুষের আশ্রয় নেওয়ার কোন ব্যবস্থা নেই। বিষয়টি কর্ত্তৃপক্ষের ভেবে দেখা দরকার বলে তারা মত দেন।
অন্যদিকে একই দিনে শিমুলতলী ব্রীজে গিয়ে দেখা গেছে সেখানে জমে উঠেছে হাজারো মানুষের সমাবেশ। ব্রীজকে কেন্দ্র করে জমে উঠেছে গ্রামীণ মেলা। এখানকার প্রধান আকর্ষণ হলো ব্রীজের পরেই ভারতীয় সীমান্ত। ব্রীজের উপরে দাঁড়িয়ে দেখতে পাওয়া যাবে ভারতের কাঁটা তারের বেড়া ও বালুরঘাট জেলায় অবস্থিত মোবাইল টাওয়ার। যা দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করতে বাধ্য। নওগাঁর সীমান্ত এলাকায় অবস্থিত জবই বিল ও শিমুলতলী ব্রিজের অনাবিল সৌন্দর্য উপভোগ করতে চাইলে আপনিও এখানে ছুটে আসতে পারেন পরিবার-পরিজন বা বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক, পত্নীতলা, নওগাঁ/ ০২-১০-১৫
তবে এ বছর ঈদুল আযহার ছুটিতে নওগাঁসহ আশেপাশের জেলার মানুষের মূল আকর্ষণ ছিল সাপাহার উপজেলায় অবস্থিত ঐতিহাসিক জবই বিল এবং ধামইরহাট উপজেলার অন্তর্গত আত্রাই নদীর উপর নির্মিত শিমুলতলী ব্রীজ। শুকবারের ছুটির দিনে মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত। এ দুটি স্থানে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভীড়ের যথেষ্ট কারণও আছে। জবই বিল শুষ্ক মৌসুমে মরুরুপ ধারণ করলেও বর্ষায় এই বিলের চেহারা একেবারে আলাদা। চারিদিকে শুধু থৈ থৈ পানি আর পানি। বিলের বড় বড় ঢেউ দেখে অনেকেই সমুদ্র সৈকতের অনুভূতি এখান থেকে লাভ করতে পারেন। এ বছর নওগাঁয় অধিক বৃষ্টিপাত হওয়ায় এবং বিলে পর্যাপ্ত পানি থাকায় দর্শনার্থীদের ভীড় বাড়িয়ে দিয়েছে।
জবই বিল ঘুরে দেখা গেছে জবই বিলের দুপাশে হাজারো মানুষের সমাগম। জবই বিলের উভয় পাশে দু কিলোমিটারের মধ্যে মানুষ ও যানবাহনের গাদাগাদিতে যেন তিল ধারণের ঠাঁই ছিলো না। স্থানীয় উদ্যোগে বিলের পানিতে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন দর্শনার্থীদের আনন্দে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে পাশ্ববর্তী পতœীতলা উপজেলা হতে আসা কয়েকজন দর্শনার্থীদের সাথে কথা বললে তাঁরা জানান, বিলের সৌন্দর্য উপভোগ করার মতো। কিন্তু সমস্যা হলো উভয় পাশে দুই কিলোমিটারের মধ্যে রোদ বা বৃষ্টিতে মানুষের আশ্রয় নেওয়ার কোন ব্যবস্থা নেই। বিষয়টি কর্ত্তৃপক্ষের ভেবে দেখা দরকার বলে তারা মত দেন।
অন্যদিকে একই দিনে শিমুলতলী ব্রীজে গিয়ে দেখা গেছে সেখানে জমে উঠেছে হাজারো মানুষের সমাবেশ। ব্রীজকে কেন্দ্র করে জমে উঠেছে গ্রামীণ মেলা। এখানকার প্রধান আকর্ষণ হলো ব্রীজের পরেই ভারতীয় সীমান্ত। ব্রীজের উপরে দাঁড়িয়ে দেখতে পাওয়া যাবে ভারতের কাঁটা তারের বেড়া ও বালুরঘাট জেলায় অবস্থিত মোবাইল টাওয়ার। যা দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করতে বাধ্য। নওগাঁর সীমান্ত এলাকায় অবস্থিত জবই বিল ও শিমুলতলী ব্রিজের অনাবিল সৌন্দর্য উপভোগ করতে চাইলে আপনিও এখানে ছুটে আসতে পারেন পরিবার-পরিজন বা বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক, পত্নীতলা, নওগাঁ/ ০২-১০-১৫