দু’ মাস আগের ভারী বর্ষণের পানি এখনও ডুডিয়ে রেখেছে শিবগঞ্জের বহু আম বাগান > বিঘ্ন ঘটছে গাছ পরিচর্যা
চলতি বছরে কয়েক দফায় ভারী বর্ষনের ফলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বহু আম বাগান এখনও পানিতে ডুবে আছে। পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় আম বাগানের হাজার হাজার আম গাছ দীর্ঘ ৩/৪ মাস যাবত পানিতে ডুবে থাকার কারণে গাছের গোড়া খুঁড়তে পারছেনা। ফলে আগামী মৌসুমে আম উৎপাদনে বিঘœ ঘটতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
শিবগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, আমের রাজধানী নামে খ্যাত শিবগঞ্জে গত কয়েক মাস আগে কয়েকবার ভারী বর্ষণের কারণে আম বাগানে প্রচুর পানি জমে থাকায় আম গাছের ক্ষতি হচ্ছে। কারণ শরৎ ও হেমন্ত কালে আম গাছের গোড়া খুঁড়ে গাছের গোড়ায় জৈব ও রাসায়নিক সার প্রয়োগ করা হয়। তাছাড়া গাছে নতুন শাখা প্রশাখা বাড়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের ¯েপ্র করা হয়। কিন্তু এ বছর ভারী বর্ষনের ফলে আম গাছের গোড়ায় পানি জমে থাকায় আম চাষীর তা করতে পারছে না। ফলে তাদের আশঙ্কা সামনে মৌসুমে আমের ফলন কমে যাবে।
সরেজমিনে গিয়ে কথা হয়, বিনোদপুর ইউনিয়নের আইড়ামারী গ্রামের নাজিমের সাথে । তিনি জানান, আমাদের ৩০টি আম গাছ প্রায় ৪ মাস থেকে বর্ষার পানিতে ডুবে আছে। ফলে আম বাগানের মেরামত করতে পারছি না। একই এলাকার কাইজার আহমেদের প্রায় ১শ টি, ডলালের ১শটি, হাকিমের ৪ শ’ টি, ভাদুর ৪শ’ টি, জমসেদের ৪শ’ টি, সদর আলীর ৪শ’ টি, মোহব্বত আলীর ৩০টি, হারাধনের ৩০টিসহ শুধু এ এলাকায় প্রায় ২ হাজার আম গাছ পানিতে ডুবে আছে। একইভাবে কানসাট, চককীর্তি, দাইপুকুরিয়া, দৃর্লভপুরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের ও শিবগঞ্জ পৌরসভার বড়বড় আম বাগানের হাজার হাজার আম গাছ এখনো বর্ষার পানিতে ডুবে আছে। এলাকারবাসীর অভিযোগ, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পানি নিস্কাশনের ব্যব্স্থা না থাকায়এভাবে পানি ধরে থাকছে। ফলে আমরা বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। তবে শিবগঞ্জ পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী জানান, পৌরসভাধীন এলাকায় বর্তমানে ১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ ড্রেন আছে এবং আরো ৬১ কিলোমিটার ড্রেনের জন্য সংশ্লিষ্ট উদ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। কানসাটের আম বাগান মালিক আবুল কালাম জানান, কানসাট ইউনিয়নে এখনো অনেক আম গাছ বর্ষার পানিতে ডুবে থাকায় আমরা হতাশায় ভুগছি।
এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের প্রধান কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, দু-এক মাস পর্যন্ত আম গাছ পানিতে ডুবে থাকলে গাছের কোন ক্ষতি হবে না এবং আম উৎপাদনে কোন বিঘœ ঘটবে না। কারণ বর্ষার পানিতে নইট্রেট অর্গানিজম থাকায় তা মাটির সংগে মিশে মাটির উর্বরতা শক্তি বাড়ায়। ফলে আম গাছে আরো নতুন ডগা ও শাখা প্রশাখা বাড়াতে সহায়ক হয়।
উল্লেখ্য যে আমের রাজধানী নামে খ্যাত শিবগঞ্জ উপজেলায় ২শ হেক্টর জমিতে আম বাগান রয়েছে এবং গাছের সংখ্যা প্রায় ৯ লাখ ৯০ হাজার।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ সফিকুল ইসলাম, নিজস্ব প্রতিবেদক, শিবগঞ্জ/ ১৭-১০-১৫
শিবগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, আমের রাজধানী নামে খ্যাত শিবগঞ্জে গত কয়েক মাস আগে কয়েকবার ভারী বর্ষণের কারণে আম বাগানে প্রচুর পানি জমে থাকায় আম গাছের ক্ষতি হচ্ছে। কারণ শরৎ ও হেমন্ত কালে আম গাছের গোড়া খুঁড়ে গাছের গোড়ায় জৈব ও রাসায়নিক সার প্রয়োগ করা হয়। তাছাড়া গাছে নতুন শাখা প্রশাখা বাড়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের ¯েপ্র করা হয়। কিন্তু এ বছর ভারী বর্ষনের ফলে আম গাছের গোড়ায় পানি জমে থাকায় আম চাষীর তা করতে পারছে না। ফলে তাদের আশঙ্কা সামনে মৌসুমে আমের ফলন কমে যাবে।
সরেজমিনে গিয়ে কথা হয়, বিনোদপুর ইউনিয়নের আইড়ামারী গ্রামের নাজিমের সাথে । তিনি জানান, আমাদের ৩০টি আম গাছ প্রায় ৪ মাস থেকে বর্ষার পানিতে ডুবে আছে। ফলে আম বাগানের মেরামত করতে পারছি না। একই এলাকার কাইজার আহমেদের প্রায় ১শ টি, ডলালের ১শটি, হাকিমের ৪ শ’ টি, ভাদুর ৪শ’ টি, জমসেদের ৪শ’ টি, সদর আলীর ৪শ’ টি, মোহব্বত আলীর ৩০টি, হারাধনের ৩০টিসহ শুধু এ এলাকায় প্রায় ২ হাজার আম গাছ পানিতে ডুবে আছে। একইভাবে কানসাট, চককীর্তি, দাইপুকুরিয়া, দৃর্লভপুরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের ও শিবগঞ্জ পৌরসভার বড়বড় আম বাগানের হাজার হাজার আম গাছ এখনো বর্ষার পানিতে ডুবে আছে। এলাকারবাসীর অভিযোগ, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পানি নিস্কাশনের ব্যব্স্থা না থাকায়এভাবে পানি ধরে থাকছে। ফলে আমরা বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। তবে শিবগঞ্জ পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী জানান, পৌরসভাধীন এলাকায় বর্তমানে ১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ ড্রেন আছে এবং আরো ৬১ কিলোমিটার ড্রেনের জন্য সংশ্লিষ্ট উদ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। কানসাটের আম বাগান মালিক আবুল কালাম জানান, কানসাট ইউনিয়নে এখনো অনেক আম গাছ বর্ষার পানিতে ডুবে থাকায় আমরা হতাশায় ভুগছি।
এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের প্রধান কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, দু-এক মাস পর্যন্ত আম গাছ পানিতে ডুবে থাকলে গাছের কোন ক্ষতি হবে না এবং আম উৎপাদনে কোন বিঘœ ঘটবে না। কারণ বর্ষার পানিতে নইট্রেট অর্গানিজম থাকায় তা মাটির সংগে মিশে মাটির উর্বরতা শক্তি বাড়ায়। ফলে আম গাছে আরো নতুন ডগা ও শাখা প্রশাখা বাড়াতে সহায়ক হয়।
উল্লেখ্য যে আমের রাজধানী নামে খ্যাত শিবগঞ্জ উপজেলায় ২শ হেক্টর জমিতে আম বাগান রয়েছে এবং গাছের সংখ্যা প্রায় ৯ লাখ ৯০ হাজার।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ সফিকুল ইসলাম, নিজস্ব প্রতিবেদক, শিবগঞ্জ/ ১৭-১০-১৫