শিবগঞ্জের দু’ শিশু লতিফা ও আখিঁ হত্যা মামলার ৫ মাসেও অগ্রগতি নেই > স্বজনরা হতাশ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার দু’ শিশু তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী লতিফা খাতুন (৯) ও আঁখি আক্তার (৯) হত্যাকান্ডের ঘটনায় ৫ মাস পেরিয়ে গেছে। পুলিশের পর এই চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ডের তদন্তের দায়িত্বভার দেয়া হয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডিতে। এই হত্যাকান্ডের পর পরিবার ও স্থানীয়দের দাবি ছিল যে, শিশু দুইটির কিডনী ও চোখসহ মূল্যবান অঙ্গ প্রতঙ্গ বের করে বিক্রি করেছে ঘাতকরা। তবে সিআইডির তদন্তে এই বিষয়ে কোন তথ্য প্রমান মিলেনি। সিআইডির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার ধারণা বিকৃত রুচির ঘাতকদের চিনে ফেলায় শিশু দু’টিকে হত্যা করা হয়। ঘাতকদের চিহ্নিত করতে সিআইডির তদন্ত সে পথেই এগুচ্ছে বলে সিআইডি সুত্রে জানা গেছে।
এদিকে মামলা তদন্তে দীর্ঘ সময় ও মামলার ১ নং আসামীসহ গ্রেফতারকৃতদের অধিকাংশের জামিন হওয়ায় হতাশা বাড়ছে শিশু দু’টির স্বজনদের মধ্যে। সেই হতাশার কথা জানিয়ে শিশু দু’টির পরিবারের পক্ষ থেকে তদন্তে গতি আনতে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি বরাবারে সম্প্রতি লিখিত আবেদন জানানো হয়েছে। লিখিত আবেদনটি করেন এ মামলার বাদী শিশু লতিফার বাবা আব্দুল লতিফ। আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, মামলার প্রধান আসামীরা বিভিন্ন ভাবে তাদের হুমকি দিয়ে আসছে। এই বিষয়ে শিবগঞ্জ থানায় জিডি করতে গিয়েও পুলিশ তা গ্রহণ করেনি বলে ওই আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারেও পুলিশের টালবাহানার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে আবেদনটিতে।
চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলাটি তদন্ত করছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক কাজী জাহিদুল হাফিজ। মামলা তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে তিনি জানান, “শিবগঞ্জ থানা পুলিশ প্রথমে ৪ জন আসামীকে গ্রেফতার করেছিল, পরে আমি তদন্তভার নেওয়ার পর মামলার প্রধান আসামী আরিফের সহোযোগী রুবেলকে গ্রেফতার করি। এরপর সিআইডির তৎপরতার কারনে এজাহারের দুই নম্বর আসামী আনোয়ারুল ইসলাম ও ছয় নম্বর আসামী কালাম আদালতে আতœসমর্পন করে। কালাম আদালত থেকে জামিন পেয়েছে, তবে আনোয়ারুলের ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিলাম বিজ্ঞ আদালত গত সোমবার ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।”
হত্যাকান্ডের পর নিহত দু’ শিশুর পরিবার ও স্থানীয়দের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল যে, শিশু দুইটির চোখ কিডনিসহ মূল্যবান অঙ্গপ্রতঙ্গ বের করে বিক্রি করেছে ঘাতকরা। অঙ্গপ্রতঙ্গ নেয়ার জন্য এই হত্যাকান্ড না অন্য কোন কারনে খুন হতে হয় শিশু দু’টিকে ? এই প্রশ্নের জবাবে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক কাজী জাহিদুল হাফিজ জানান, “এ বিষয়ে ময়নাতদন্ত রিপোর্টেও কিছু পাওয়া যায়নি, লাশ দুইটি গলিত হওয়ায় ময়না তদন্তে তেমন কিছুই পাওয়া যায়নি। এছাড়া আমিও তদন্তে এই ধরনের কোন আলামত পাইনি।
সিআইডির এই কর্মকর্তা জানান, এখন পর্যন্ত যে সব তথ্য পাওয়া গেছে তাতে আমি ধারণা করছি বিকৃত রুচির ঘাতকদের চিনে ফেলায় এই শিশু দু‘টিকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। তিনি বলেন শিশু দু’টি আম বাগানে আম কুড়াতে গিয়েছিল, সেই সময় কিছু লোক সেখানে গাছে বিষ দিচ্ছিল, ধারণা করছি ঘাতকরা শিশু দু’টির পরিচিত ছিল, শিশু দু’টির সাথে তারা এমন আচারণ করেছে, সেটি যাতে কারো কাছে প্রকাশ হয়ে না যায় সে জন্যই শিশু দু’টিকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। তদন্ত সেই দিকেই এগুচ্ছে। তবে এখনো তদন্ত চলছে, কারা এর সাথে জড়িত এটা নিশ্চিত হতে সময় লাগবে।”
এ দিকে মামলার ১ নং আসামী আরিফসহ অন্য আসামীরা জামিনে মুক্ত হেয়ে এসে হুমকি দিচ্ছে বলে জানান, আঁখির মা লিপি বেগম। তিনি বলেন “আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে, পুলিশ ৪/৫ জনকে গ্রেফতার করলেও এখন তিনজনই জামিনে বাইরে এসে হামরাকে হুমকি দিচ্ছে। হামরা গরিব মানুষ, হামার স্বামী মাছ ধরে সংসার চালায়, পদ্মায় মাছ ধরতে গেলে খুব ভয় হয় আতঙ্কের মধ্যে থাকি, ওরা হয়ত হামার স্বামীকেই ম্যারা ফেলবে।”
এই হত্যা মামলাটি তদারকি কাজ করছেন শিশু আঁখির চাচা পলাশ। তিনি জানান, “আমার ভাতিজি ও আমাদের পার্শ্ববর্তী বাড়ির লতিফা এক সাথেই বেড়ে উঠেছে, তারা এক সাথেই একই স্কুলে পড়ত। বর্তমানে মামলাটি সিআইডিতে রয়েছে। মামলার আসামী তিনজনের জামিন হয়েছে, এখন তারা আমাদের হুমকি দিয়ে বলছে, সবার জামিন হয়ে যাক তারপর তোদের পিছনে লাগব। তিনি আরো জানান, আসামীদের অনেকেই প্রকাশ্যে গ্রামে ঘুরে বেড়াচ্ছে, আবার আমরা শুনেছি কেউ কেউ ভারতে পালিয়ে আছে।”
এদিকে হত্যাকান্ডের শিকার আরেক শিশু লতিফার মা হাসনারা বেগম বলেন, “আমার মেয়ে লতিফা ও আশরাফুলের মেয়ে আঁখি এক সাথে আম বাগানে খেলছিল, আসামী পক্ষের লোকজন তাদের প্রথমে গুম করে রেখেছিল। পরে তাদের লাশ পাওয়া গেছে। এরপর ৫ মাস শেষ হলেও শিবগঞ্জ থানা পুলিশ ২ দিন ও সিআইডি পুলিশ একদিন এসেছিল। আসামীরা আমাদের হুমকি দিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও তাদের ধরছে না পুলিশ। আমি আমার মেয়ের হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।”
লতিফা খাতুন (৯) ও আঁখি আক্তার (৯) চরবাবুপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণিতে পড়ত। ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রিয়াজ উদ্দিন জানান “মেয়ে দু’টি খুব মেধাবী ছিল। আমি এই হত্যাকান্ডের জড়িতদের যাতে দ্রুত বিচারের মাধ্যমে সর্বচ্চো শাস্তি হয় সরকারের কাছে এই দাবি জানাচ্ছি।”
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার বাবুল উদ্দীনী বলেন, “এই হত্যাকান্ডের বিষয়ে প্রথম থেকেই পুলিশ গড়িমশি করছে, এখন সিআইডিতে মামলাটি রয়েছে, আশাকরি দ্রুত তদন্ত শেষে হবে।”
তদন্তের ধীর গতি নিয়ে পরিবারের হতাশার বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চাঁপাইনবাবগঞ্জ সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক কাজী জাহিদুল হাফিজ বলেন-“এই হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনের জন্য আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, আমাদের সোর্স নিয়োগ রয়েছে, এজাহারের মধ্যে কিছু আসামী জড়িত, এর বাইরেও কারো কারো সংস্লিষ্টতা পেয়েছি, তবে এই ব্যাপারে আরো স্বাক্ষ্য প্রমান প্রয়োজন আরো তদন্ত প্রয়োজন। এর জন্য কিছুটা সময় লাগছে”
প্রসঙ্গত, এ বছরের এপ্রিল মাসের ১ তারিখ চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার দোভাগী এলাকায় একটি ভুট্টার ক্ষেতে ওই দুই শিশুর ব্যাগ ভর্তি গলিত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন শিশু লতিফার বাবা আব্দুল লতিফ ১২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনাম ৪/৫ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। পরে শিবগঞ্জ থানার এসআই নুরে আলম সিদ্দিকী মামলাটি তদন্ত কাজ শুর করেন। তবে তিনি কোন ক্লু উদঘাটন করতে না পারায় গত মে মাসের ১২ তারিখ মামলাটি সিআইডিতে স্থানান্তর করা হয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ সফিকুল ইসলাম সফিক, নিজস্ব প্রতিবেদক, শিবগঞ্জ/ ০৮-০৯-১৫
এদিকে মামলা তদন্তে দীর্ঘ সময় ও মামলার ১ নং আসামীসহ গ্রেফতারকৃতদের অধিকাংশের জামিন হওয়ায় হতাশা বাড়ছে শিশু দু’টির স্বজনদের মধ্যে। সেই হতাশার কথা জানিয়ে শিশু দু’টির পরিবারের পক্ষ থেকে তদন্তে গতি আনতে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি বরাবারে সম্প্রতি লিখিত আবেদন জানানো হয়েছে। লিখিত আবেদনটি করেন এ মামলার বাদী শিশু লতিফার বাবা আব্দুল লতিফ। আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, মামলার প্রধান আসামীরা বিভিন্ন ভাবে তাদের হুমকি দিয়ে আসছে। এই বিষয়ে শিবগঞ্জ থানায় জিডি করতে গিয়েও পুলিশ তা গ্রহণ করেনি বলে ওই আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারেও পুলিশের টালবাহানার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে আবেদনটিতে।
চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলাটি তদন্ত করছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক কাজী জাহিদুল হাফিজ। মামলা তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে তিনি জানান, “শিবগঞ্জ থানা পুলিশ প্রথমে ৪ জন আসামীকে গ্রেফতার করেছিল, পরে আমি তদন্তভার নেওয়ার পর মামলার প্রধান আসামী আরিফের সহোযোগী রুবেলকে গ্রেফতার করি। এরপর সিআইডির তৎপরতার কারনে এজাহারের দুই নম্বর আসামী আনোয়ারুল ইসলাম ও ছয় নম্বর আসামী কালাম আদালতে আতœসমর্পন করে। কালাম আদালত থেকে জামিন পেয়েছে, তবে আনোয়ারুলের ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিলাম বিজ্ঞ আদালত গত সোমবার ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।”
হত্যাকান্ডের পর নিহত দু’ শিশুর পরিবার ও স্থানীয়দের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল যে, শিশু দুইটির চোখ কিডনিসহ মূল্যবান অঙ্গপ্রতঙ্গ বের করে বিক্রি করেছে ঘাতকরা। অঙ্গপ্রতঙ্গ নেয়ার জন্য এই হত্যাকান্ড না অন্য কোন কারনে খুন হতে হয় শিশু দু’টিকে ? এই প্রশ্নের জবাবে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক কাজী জাহিদুল হাফিজ জানান, “এ বিষয়ে ময়নাতদন্ত রিপোর্টেও কিছু পাওয়া যায়নি, লাশ দুইটি গলিত হওয়ায় ময়না তদন্তে তেমন কিছুই পাওয়া যায়নি। এছাড়া আমিও তদন্তে এই ধরনের কোন আলামত পাইনি।
সিআইডির এই কর্মকর্তা জানান, এখন পর্যন্ত যে সব তথ্য পাওয়া গেছে তাতে আমি ধারণা করছি বিকৃত রুচির ঘাতকদের চিনে ফেলায় এই শিশু দু‘টিকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। তিনি বলেন শিশু দু’টি আম বাগানে আম কুড়াতে গিয়েছিল, সেই সময় কিছু লোক সেখানে গাছে বিষ দিচ্ছিল, ধারণা করছি ঘাতকরা শিশু দু’টির পরিচিত ছিল, শিশু দু’টির সাথে তারা এমন আচারণ করেছে, সেটি যাতে কারো কাছে প্রকাশ হয়ে না যায় সে জন্যই শিশু দু’টিকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। তদন্ত সেই দিকেই এগুচ্ছে। তবে এখনো তদন্ত চলছে, কারা এর সাথে জড়িত এটা নিশ্চিত হতে সময় লাগবে।”
এ দিকে মামলার ১ নং আসামী আরিফসহ অন্য আসামীরা জামিনে মুক্ত হেয়ে এসে হুমকি দিচ্ছে বলে জানান, আঁখির মা লিপি বেগম। তিনি বলেন “আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে, পুলিশ ৪/৫ জনকে গ্রেফতার করলেও এখন তিনজনই জামিনে বাইরে এসে হামরাকে হুমকি দিচ্ছে। হামরা গরিব মানুষ, হামার স্বামী মাছ ধরে সংসার চালায়, পদ্মায় মাছ ধরতে গেলে খুব ভয় হয় আতঙ্কের মধ্যে থাকি, ওরা হয়ত হামার স্বামীকেই ম্যারা ফেলবে।”
এই হত্যা মামলাটি তদারকি কাজ করছেন শিশু আঁখির চাচা পলাশ। তিনি জানান, “আমার ভাতিজি ও আমাদের পার্শ্ববর্তী বাড়ির লতিফা এক সাথেই বেড়ে উঠেছে, তারা এক সাথেই একই স্কুলে পড়ত। বর্তমানে মামলাটি সিআইডিতে রয়েছে। মামলার আসামী তিনজনের জামিন হয়েছে, এখন তারা আমাদের হুমকি দিয়ে বলছে, সবার জামিন হয়ে যাক তারপর তোদের পিছনে লাগব। তিনি আরো জানান, আসামীদের অনেকেই প্রকাশ্যে গ্রামে ঘুরে বেড়াচ্ছে, আবার আমরা শুনেছি কেউ কেউ ভারতে পালিয়ে আছে।”
এদিকে হত্যাকান্ডের শিকার আরেক শিশু লতিফার মা হাসনারা বেগম বলেন, “আমার মেয়ে লতিফা ও আশরাফুলের মেয়ে আঁখি এক সাথে আম বাগানে খেলছিল, আসামী পক্ষের লোকজন তাদের প্রথমে গুম করে রেখেছিল। পরে তাদের লাশ পাওয়া গেছে। এরপর ৫ মাস শেষ হলেও শিবগঞ্জ থানা পুলিশ ২ দিন ও সিআইডি পুলিশ একদিন এসেছিল। আসামীরা আমাদের হুমকি দিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও তাদের ধরছে না পুলিশ। আমি আমার মেয়ের হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।”
লতিফা খাতুন (৯) ও আঁখি আক্তার (৯) চরবাবুপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণিতে পড়ত। ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রিয়াজ উদ্দিন জানান “মেয়ে দু’টি খুব মেধাবী ছিল। আমি এই হত্যাকান্ডের জড়িতদের যাতে দ্রুত বিচারের মাধ্যমে সর্বচ্চো শাস্তি হয় সরকারের কাছে এই দাবি জানাচ্ছি।”
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার বাবুল উদ্দীনী বলেন, “এই হত্যাকান্ডের বিষয়ে প্রথম থেকেই পুলিশ গড়িমশি করছে, এখন সিআইডিতে মামলাটি রয়েছে, আশাকরি দ্রুত তদন্ত শেষে হবে।”
তদন্তের ধীর গতি নিয়ে পরিবারের হতাশার বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চাঁপাইনবাবগঞ্জ সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক কাজী জাহিদুল হাফিজ বলেন-“এই হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনের জন্য আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, আমাদের সোর্স নিয়োগ রয়েছে, এজাহারের মধ্যে কিছু আসামী জড়িত, এর বাইরেও কারো কারো সংস্লিষ্টতা পেয়েছি, তবে এই ব্যাপারে আরো স্বাক্ষ্য প্রমান প্রয়োজন আরো তদন্ত প্রয়োজন। এর জন্য কিছুটা সময় লাগছে”
প্রসঙ্গত, এ বছরের এপ্রিল মাসের ১ তারিখ চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার দোভাগী এলাকায় একটি ভুট্টার ক্ষেতে ওই দুই শিশুর ব্যাগ ভর্তি গলিত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন শিশু লতিফার বাবা আব্দুল লতিফ ১২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনাম ৪/৫ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। পরে শিবগঞ্জ থানার এসআই নুরে আলম সিদ্দিকী মামলাটি তদন্ত কাজ শুর করেন। তবে তিনি কোন ক্লু উদঘাটন করতে না পারায় গত মে মাসের ১২ তারিখ মামলাটি সিআইডিতে স্থানান্তর করা হয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ সফিকুল ইসলাম সফিক, নিজস্ব প্রতিবেদক, শিবগঞ্জ/ ০৮-০৯-১৫