রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়গভীর রাতে হলে ছাত্রলীগ-শিবিরের মধ্যে উত্তেজনা আটক ৩ > সাধারণ শিক্ষার্থীর মধ্যে আতঙ্ক
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয় শহীদ জিয়াউর রহমান আবাসিক হলে ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা যায় । শনিবার গভীর রাত ২টা দিক থেকে ভোর পর্যন্ত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পুলিশের সামনেই তিন শিবির নেতাকে মারধর করে। এসময় তার সশস্ত্রভাবে বিভিন্ন কক্ষে গিয়ে শিবির সন্দেহে মারধর ও ভাঙচুর চালায়। এসময় হলের সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক অতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ভোরে হল প্রশাসনের সহায়তায় উদ্ভূত পরিবেশ শান্ত হয়।
এদিকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হাতে মারধরের শিকার অর্থনীতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষ শিক্ষার্থী তানজীল আহমেদ ও পরিসখ্যান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের রাতুল আহমেদ আপনকে পুলিশে সোপর্দ করে। এছাড়া পুলিশ শিবির সন্দেহে আরবী বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এনায়েতকে আটক করে।
হল সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত ২টার দিকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বিশ^বিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আতিকুর রহমান সুমনের নেতৃত্বে পুলিশের সামনেই লেহার-রড ও দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়। এসময় সুমনের নেতৃত্বে বিশ^বিদ্যালয় ছাত্রলীগের গনযোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক আজহারুল ইসলাম শাওন, হল ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী ও রসায়ন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ইমাম মেহেদীসহ ৫-৭জন ২২৪ নম্বর কক্ষে গিয়ে অর্থনীতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও শিবির নেতা তানজীল আহমেদকে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তাকে লোহার রড, লাঠি-শোঠা ও কিল -ঘুষি মারতে থাকে। পরে রাত ৩টার দিকে ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আশিক ২১০ নম্বর কক্ষ থেকে ও পরিসখ্যান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আপনকেৃ ২২৪ নম্বর কক্ষে নিয়ে আটকে রাখা হয়। তাদের তিনজনকে প্রায় দুই ঘন্টা যাবৎ আটকে রেখে লেহার রড, কিল-ঘুষিসহ বিভিন্নভাবে তাদের উপর ব্যাপকভাবে মারধর করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
এছাড়া হলে শিবির খুঁজতে পুলিশের সামনেই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা লেহার রড, লাঠি-শোঠা নিয়ে সশস্ত্র মহড়া দিতে থাকে। তারা ৪১৯, ৪২৮ ও ৪২৯ নম্বরসহ বিভিন্ন কক্ষের দরজা-জানালায় ভাঙচুর করে। এসময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। ভোর বেলা হল প্রশাসন ও পুলিশ প্রসানের সহায়তায় হলের পরিবেশ শান্ত হয়। এসময় ছাত্রলীগের হাতে মারধরের শিকার শিবিরের দুই কর্মীকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয় এবং পুলিশ ও হল প্রশাসন তল্লাশি চালিয়ে শিবির সন্দেহে আরবী বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এনায়েতকে আটক করে।
বিশ^বিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান রান বলেন, ‘শিবির এই ক্যাম্পাসে জঙ্গিবাদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে, আর ছাত্রলীগ থাকতে তাদের চেষ্টা কখনো সফল হতে পারে না। তাই আমরা তাদেরকে প্রতিহত করেছি।’
শহীদ জিয়াউর রহমান রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ ড.অনিল চন্দ্র দেব বলেন, ‘রাতে দুই গ্রুপের মধ্যে একটু উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল, তবে হলের বর্তমান অবস্থা শান্ত আছে।’
এ ব্যাপারে মতিহার থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফের সাথে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও পাওয়া যায়নি।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক, রাবি/ ৩০-০৮-১৫
এদিকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হাতে মারধরের শিকার অর্থনীতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষ শিক্ষার্থী তানজীল আহমেদ ও পরিসখ্যান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের রাতুল আহমেদ আপনকে পুলিশে সোপর্দ করে। এছাড়া পুলিশ শিবির সন্দেহে আরবী বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এনায়েতকে আটক করে।
হল সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত ২টার দিকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বিশ^বিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আতিকুর রহমান সুমনের নেতৃত্বে পুলিশের সামনেই লেহার-রড ও দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়। এসময় সুমনের নেতৃত্বে বিশ^বিদ্যালয় ছাত্রলীগের গনযোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক আজহারুল ইসলাম শাওন, হল ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী ও রসায়ন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ইমাম মেহেদীসহ ৫-৭জন ২২৪ নম্বর কক্ষে গিয়ে অর্থনীতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও শিবির নেতা তানজীল আহমেদকে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তাকে লোহার রড, লাঠি-শোঠা ও কিল -ঘুষি মারতে থাকে। পরে রাত ৩টার দিকে ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আশিক ২১০ নম্বর কক্ষ থেকে ও পরিসখ্যান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আপনকেৃ ২২৪ নম্বর কক্ষে নিয়ে আটকে রাখা হয়। তাদের তিনজনকে প্রায় দুই ঘন্টা যাবৎ আটকে রেখে লেহার রড, কিল-ঘুষিসহ বিভিন্নভাবে তাদের উপর ব্যাপকভাবে মারধর করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
এছাড়া হলে শিবির খুঁজতে পুলিশের সামনেই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা লেহার রড, লাঠি-শোঠা নিয়ে সশস্ত্র মহড়া দিতে থাকে। তারা ৪১৯, ৪২৮ ও ৪২৯ নম্বরসহ বিভিন্ন কক্ষের দরজা-জানালায় ভাঙচুর করে। এসময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। ভোর বেলা হল প্রশাসন ও পুলিশ প্রসানের সহায়তায় হলের পরিবেশ শান্ত হয়। এসময় ছাত্রলীগের হাতে মারধরের শিকার শিবিরের দুই কর্মীকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয় এবং পুলিশ ও হল প্রশাসন তল্লাশি চালিয়ে শিবির সন্দেহে আরবী বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এনায়েতকে আটক করে।
বিশ^বিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান রান বলেন, ‘শিবির এই ক্যাম্পাসে জঙ্গিবাদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে, আর ছাত্রলীগ থাকতে তাদের চেষ্টা কখনো সফল হতে পারে না। তাই আমরা তাদেরকে প্রতিহত করেছি।’
শহীদ জিয়াউর রহমান রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ ড.অনিল চন্দ্র দেব বলেন, ‘রাতে দুই গ্রুপের মধ্যে একটু উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল, তবে হলের বর্তমান অবস্থা শান্ত আছে।’
এ ব্যাপারে মতিহার থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফের সাথে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও পাওয়া যায়নি।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক, রাবি/ ৩০-০৮-১৫