শিবগঞ্জে যুবলীগ নেতা মনিরুল হত্যা মামলায় আখেরুলকে প্রধান আসামী করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল

দীর্ঘ ৯মাস পর চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থল বন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের অর্থ সম্পাদক ও শাহবাজপুর ইউনিয়নের যুবলীগের ১নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল হত্যার  মামলার চার্জসীট চলতি সপ্তাহে  আমলী আদালতে দাখিল করা করেছে পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চাঁপাইনবাবগঞ্জ সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মতিউর রহমান সিদ্দিকী জানান, গত ২৪ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে শিবগঞ্জ স্টেডিয়ামের পার্শ্বে ব্যবসায়ী মনিরুলকে সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের তৎকালীন সভাপতি আখিরুল ইসলাম তার সহযোগী তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক তোহরুল ইসলাম টুটুল ও সিরাজুল মুন্সিসহ আরো ১২ জন নারী পুুরুষসহ দৃস্কৃতিকারীরা পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে গুলি করে মনিরুলকে হত্যা করে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে নিহতের লাশ উদ্ধার করে। সেসময় সন্দেহভাজন হিসেবে ঘটনার প্রায় ১ ঘন্টার মধ্যে তৎকালীন শিবগঞ্জ থানার ওসি আশিকুর রহমান ও সদর সার্কেল মতিউর রহমানের নেতৃত্বে পুকুরিয়াস্থ স্থানীয় এমপি গোলাম রাব্বানীর বাড়ির পার্শ্বের একটি আমবাগান থেকে গোপন বৈঠক করার সময় তাদের গ্রেপ্তার করে এবং তাদের ব্যবহৃত রক্তমাখা একটি প্রাইভেট কার শিবগঞ্জ পৌর এলাকার একটি গ্যারেজ থেকে উদ্ধার করে। সেসময় গাড়িতে থাকা দুটি খালি ম্যাগ্যাজিন ও তাজা চার রাউন্ড এবং গুলির খোঁসা উদ্ধার করা হয়। পরে আসামীদের একাধিক বার রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে। পরে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তদন্ত প্রাপ্ত আসামী সিরাজ রাজ, শরীফ, সালাম, মাসুদ, সেন্টু, মালেক, লালচাঁন মাসুদ এবং পারুলগণকে গ্রেপ্তার করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তারা বিভিন্ন ভাবে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। তদন্তকারী কর্মকর্তা আরও জানান, প্রধান আসামী আখিরুল ইসলাম পূর্ব পরিকল্পনায় তদন্ত প্রাপ্তে ৮ জন আসামীদেরকে অর্থের বিনিময়ে হত্যাকান্ডের ঘটনার সাথে সহযোগী হিসেবে সংগঠিত করে বলে তিনি জানান। আদালতে আখিরুলকে প্রধান আসামী করে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে চার্জসীট দাখিল করা হয়েছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে মোবাইল কললিস্ট ও ট্যাকিং এর মাধ্যমে আসামীদের দ্রুত সনাক্ত করা হয়। চার্জসীটে আধুনিক প্রযুক্তি সম্পূর্ণ স্বাক্ষ্য প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়েছে যাতে আসামীদের সবোর্চ্চ শাস্তি নিশ্চিত এবং বাদী যেন ন্যায় বিচার পান বলে তিনি জানান। ঘটনার একদিন পর নিহত মনিরুলের স্ত্রী মোসা. রহিমা বেগম বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে শিবগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। উল্লেখ্য, সোনামসজিদ স্থল বন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের অবৈধ উত্তোলিত অর্থ নিয়ে তৎকালীন সভাপতি আখিরুল ইসলাম ও তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক তোহরুল ইসলাম টুটুলের সাথে ভাগ বাটোয়ারাকে কেন্দ্র করে মনিরুলের সাথে দন্দের সূত্রপাত ঘটে।


চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক, শিবগঞ্জ/ ২২-০৭-১৫

,