ভোলাহাটে নারীর শ্লীলতাহানির ঘটনায় গ্রাম্য সালিশে পুলিশের উপস্থিতি > অতঃপর পুলিশ জনতা সংঘর্ষ > পুলিশের গুলি > আহত ৮
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলায় এক নারীর শ্লীলতাহানির ঘটনাকে ঘিরে ঝাউবোনা এলাকায় বসা গ্রাম্য সালিশে পুলিশের উপস্থিতিকে কেন্দ্র করে সোমবার রাতে পুলিশ জনতার সংর্ঘষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে চার পুলিশসহ ৮ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছে চার জন। সংর্ঘষ চলাকালে পুলিশের পিকআপ ভাঙ্গচুরের ঘটনাও ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মূল ঘটনার সূত্রপাত গত রবিবার রাতে। ঝাউবোনা গ্রামের সুকুমার শীলের ছেলে বিজয় শীল (৪০) সেরাতে একই গ্রামের এক মুসলিম নারীর বড়িতে ঢুকে শ্লীলতাহানীর চেষ্ট করে। এ ঘটনায় পরের দিন সোমবার রাতে গ্রাম্য সালিশের (সামাজিকভাবে বিচারের ব্যবস্থা) আয়োজন করা হয়। সময় ঠিক করা হয়। এদিকে বিচারের দাবিতে স্থানীয় লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে রাত দশটার দিকে বিজয়কে তার বাড়ীতে ঘিরে ফেললে স্থানীয় লোকজনই পুলিশকে খবর দেয়। সংবাদ পেয়ে পুলিশ এসে জনতাকে থানায় অভিযোগ দায়েরের জন্য বলে অভিযুক্ত বিজয়কে আটক করে থানায় নিয়ে যাবার চেষ্টা করলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। স্থানীয় জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশকে ঘিরে ফেলে এবং ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েক রাউন্ড শর্টগানের গুলি নিক্ষেপ করে। পুলিশের গুলি ও জনতার ইটপাটকেলে চার পুলিশসহ ৮জন আহত হয়। এ সময় স্থানীয়রা পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যান ভাংচুর করে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সংঘর্ষে ঝাউবোনা গ্রামের মুসলিমের ছেলে রবু (৪০), মাহালোর ছেলে সাইফুদ্দীন (৫৫), গাজির ছেলে হানিফ (৩০), ইনতাজের ছেলে আনোয়ার (৩২) এবং জনতার ইটের আঘাতে আহত পুলিশ সদস্যরা হলো উপপরিদর্শক শিশির চক্রবর্তী, কনেস্টবল ইফতেখার, মাহবুব ও মঈনুদ্দীন আহত হয়।
এদিকে, এ ঘটনায় পুলিশের উপ পরিদর্শক শিশির চক্রবর্তী বাদী হয়ে সোমবার রাতেই ৩৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো অন্তত: ৫০ জনের বিরুদ্ধে ভোলাহাট থানায় সরকারি কাজে বাধাদান, গাড়ি ভাংচুরের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এরপর পুলিশ সারারাত ও আজ মঙ্গলবার দুপুর পর্য়ন্ত অভিযান চালিয়ে ১১ জনকে আটক করেছে।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার সকালে শ্লীলতাহানীর অভিযোগ এনে ঝাউবোনা গ্রামের ওই নারী বাদি হয়ে ভোলাহাট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অপর একটি মামলা দায়ের করেছেন।
এ ব্যাপারে ভোলাহাট থানার ওসি মহাসিন আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ ডটকমকে বলেন, বিজয় কুমার শীলসহ আটক ১২ জনকে মঙ্গলবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ০২-০৬-১৫
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মূল ঘটনার সূত্রপাত গত রবিবার রাতে। ঝাউবোনা গ্রামের সুকুমার শীলের ছেলে বিজয় শীল (৪০) সেরাতে একই গ্রামের এক মুসলিম নারীর বড়িতে ঢুকে শ্লীলতাহানীর চেষ্ট করে। এ ঘটনায় পরের দিন সোমবার রাতে গ্রাম্য সালিশের (সামাজিকভাবে বিচারের ব্যবস্থা) আয়োজন করা হয়। সময় ঠিক করা হয়। এদিকে বিচারের দাবিতে স্থানীয় লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে রাত দশটার দিকে বিজয়কে তার বাড়ীতে ঘিরে ফেললে স্থানীয় লোকজনই পুলিশকে খবর দেয়। সংবাদ পেয়ে পুলিশ এসে জনতাকে থানায় অভিযোগ দায়েরের জন্য বলে অভিযুক্ত বিজয়কে আটক করে থানায় নিয়ে যাবার চেষ্টা করলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। স্থানীয় জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশকে ঘিরে ফেলে এবং ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েক রাউন্ড শর্টগানের গুলি নিক্ষেপ করে। পুলিশের গুলি ও জনতার ইটপাটকেলে চার পুলিশসহ ৮জন আহত হয়। এ সময় স্থানীয়রা পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যান ভাংচুর করে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সংঘর্ষে ঝাউবোনা গ্রামের মুসলিমের ছেলে রবু (৪০), মাহালোর ছেলে সাইফুদ্দীন (৫৫), গাজির ছেলে হানিফ (৩০), ইনতাজের ছেলে আনোয়ার (৩২) এবং জনতার ইটের আঘাতে আহত পুলিশ সদস্যরা হলো উপপরিদর্শক শিশির চক্রবর্তী, কনেস্টবল ইফতেখার, মাহবুব ও মঈনুদ্দীন আহত হয়।
এদিকে, এ ঘটনায় পুলিশের উপ পরিদর্শক শিশির চক্রবর্তী বাদী হয়ে সোমবার রাতেই ৩৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো অন্তত: ৫০ জনের বিরুদ্ধে ভোলাহাট থানায় সরকারি কাজে বাধাদান, গাড়ি ভাংচুরের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এরপর পুলিশ সারারাত ও আজ মঙ্গলবার দুপুর পর্য়ন্ত অভিযান চালিয়ে ১১ জনকে আটক করেছে।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার সকালে শ্লীলতাহানীর অভিযোগ এনে ঝাউবোনা গ্রামের ওই নারী বাদি হয়ে ভোলাহাট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অপর একটি মামলা দায়ের করেছেন।
এ ব্যাপারে ভোলাহাট থানার ওসি মহাসিন আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ ডটকমকে বলেন, বিজয় কুমার শীলসহ আটক ১২ জনকে মঙ্গলবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ০২-০৬-১৫