আমগাছে ঝুলছে সাগর কলা!

একেবারে কলার মতো আম। দূর থেকে দেখে মনে হবে আমগাছে ঝুলছে সাগর কলা! তবে ব্যানানা ম্যাঙ্গো গায়ে-গতরে মোটা। পাকলে সাগর কলার রূপ নেয়। কলার রঙে নিজেকে রাঙিয়ে অনেকের দৃষ্টি কাড়ে। দেশের বিভিন্ন উদ্যানকেন্দ্র ও শৌখিন আমচাষিদের বাগানে এখন ব্যানানা ম্যাঙ্গো শোভা পাচ্ছে। আর এই আম দেখার জন্য অনেকেই গাছের সামনে দাঁড়িয়ে থাকছে। মাগুরা উদ্যানকেন্দ্রের তিনটি গাছে ব্যানানা ম্যাঙ্গো ধরেছে।

আমটি দেখতে যেমন বাহারি তেমনি সুমিষ্ট। পাতলা খোসা। চিকন আঁটি। সাধারণত আম এক বছর ধরে এক বছর ধরে না। কিন্তু ব্যানানা ম্যাঙ্গো প্রতিবছরই ধরে। ফলনও হয় খুব ভালো। মাগুরা উদ্যানকেন্দ্রের ছোট ছোট তিনটি গাছে প্রতিটিতে ২০-২৫টি করে আম ধরেছে। এই আম একেবারে মৌসুমের শেষে পাকে। ইংল্যান্ড-আমেরিকায় এ আমের খুব কদর।

থাইল্যান্ড থেকে বিমানে চেপে ব্যানানা ম্যাঙ্গো বাংলাদেশে এসেছে। ১০ বছর আগে প্রথম এই আমের চারা নিয়ে আসেন উদ্যানতত্ত্ববিদ সঞ্জয় কুমার। এরপর কৃষিবিদ এস এম কামরুজ্জামান থাইল্যান্ড থেকে ব্যানানা ম্যাঙ্গোর বেশকিছু চারা নিয়ে আসেন। বংশ বিস্তার করে বিভিন্ন উদ্যানকেন্দ্রের মাধ্যমে তিনি মাঠপর্যায়ের আগ্রহী কৃষকদের মাধ্যমে ব্যানানা ম্যাঙ্গো ছড়িয়ে দেন। মাগুরা উদ্যানকেন্দ্রের উদ্যানতত্ত্ববিদ আমিনুল ইসলাম বলেন, 'তিন বছর আগে কৃষিবিদ এস এম কামরুজ্জামান ব্যানানা ম্যাঙ্গোর চারা আমাদের দিয়েছিলেন। পাঁচ-সাত ফুট উঁচু গাছে ফল এসেছে। আম আষাঢ় মাসের দিকে পাকবে। এই আম খুবই মিষ্টি।' এস এম কামরুজ্জামান বলেন, 'বসতবাড়ির আঙিনায় বাহারি এই আমের চারা রোপণের জন্য আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। আন্তর্জাতিক বাজারে এই আমের চাহিদা রয়েছে। এ জন্য বাণিজ্যিক চাষের মাধ্যমে ব্যানানা ম্যাঙ্গো ভাগ্য বদলের হাতিয়ার হতে পারে।'

চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ কালের কণ্ঠ থেকে/ ২৪-০৫-১৫