কানসাট-চৌডালা সড়কে উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে ডাকাতির ঘটনা > রোববার ১৩ কৃষকের সর্বস্ব লুুট

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাট-চৌডালা আঞ্চলিক সড়কে দিনদিন ডাকাতির ঘটনা বেড়েই চলেছে। এই সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারীরা প্রায়শই পড়ছেন ডাকাতদের কবলে। হারাচ্ছেন সর্বস্ব। দফায় দফায় যাত্রীরা ডাকাতদের কবলে পড়লেও পুলিশের তেমন কোন ভূমিকা নেই বলে অভিযোগ করেছেন ঘটনার শিকার ব্যক্তিরা। শনিবার রাতেও গোমস্তাপুর উপজেলা থেকে কানসাট আসার সময় এক ব্যক্তি ডাকাতদের হামালা শিকার হয়েছে। আবার রাতে একই স্থানে আক্রান্ত হয়েছে একদল কৃষক।
স্থানীয় সূত্র জানায়, শনিবার রাতে কানসাট-পুশকুনি এলাকায় ১৪/১৫ জনের ডাকাতদল গোমস্তাপুর থেকে মটরসাইকেলযোগে কানসাট আসা এক ব্যক্তিকে পথরোধ করে তাকে বেদম মারধর করে। পরে তার মটরসাইকেল ও সর্বস্ব ছিনতাই করে নেয়।
ওই সূত্র জানায়, প্রায় একই এলাকায় রবিবার ভোর সাড়ে ৪টার সময় নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার তেলপুখুরিয়া এলাকা থেকে ধান কেটে আসা শিবগঞ্জের ১৩ জন কৃষকের নিকট থেকে মোবাইল ফোন ও নগদ অর্থসহ ধান বোঝায় ট্রলি ছিনতাই করে ডাকাতরা। এ সময় তাদের আম গাছের সাথে দড়ি দিয়ে বেঁধে বেধড়ক মারধর করে পালিয়ে যায় একদল ডাকাত। ঘটনায় ওই ১৩ কৃষক আহত হয়।
আহত কৃষকের মধ্যে শিবগঞ্জ উপজেলার দূর্লভপুর ইউনিয়নের লোকমান আলী ছেলে টুটুল (৩৭), একই এলাকা আশরাফুল ইসলামের ছেলে মিজানুর (২৭), দূর্র্লভপুর-গঙ্গারামপুর এলাকার ট্রলি চালক আমির আলী ছেলে ফাজু (২২) ও তার সহকারি  একই এলাকার আলমের ছেলে হিমেল (১৬) বলেন, আমরা সাধারণ কৃষক। পেটের দায়ে অন্যের জমিতে কৃষি কাজ করি। নিয়ামতপুরে কাজ শেষে ধান নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ডাকাতারা আমাদের উপর হামলা করে সব কিছু কেড়ে নিয়ে চলে যায়’।
কৃষকরা জানায়, ডাকাতির সময় কৃষকদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে তাদের আহত অবস্থায় উদ্ধার করে।
উল্লেখ্য, কানসাট-চৌডালা সড়কটি ডাকাতদের ‘অভয়ারণ্যে’ পরিণত হয়েছে। এ সড়কে খোদ পুলিশের লোকজনও ডাকাতদের হামালা শিকার হয়েছে।
এব্যাপারে শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এম.এম ময়নুল ইসলাম জানান, রবিবার পুশকুনি এলাকায় ডাকাতি হয়েছে কিনা তা তদন্ত করা হচ্ছে। কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ জাকির হোসেন পিংকু, নিজস্ব প্রতিবেদক/ ১৭-০৫-১৫