সোনামসজিদ স্থলবন্দরের পণ্য পরিবহন ২য় দিনেও বন্ধ > রহনপুরে নতুন চেকপোষ্ট শ্রমিকদের

চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থল বন্দরে অবৈধ চাঁদা আদায়সহ বিভিন্নভাবে শ্রমিকদের নির্যাতনের প্রতিবাদে রোবাবার থেকে শুরু হওয়া বন্দরের পণ্য পরিবহন বন্ধের ২য় দিনের মত চলছে। এদিকে গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুরে সোমবার নতুন করে চেক পোষ্ট বসিয়েছে শ্রমিকরা।
সোমবার সকাল থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের কেন্দ্রীয় ট্রাক ট্রামিনালে জেলা ট্রাক মালিক সমিতি ও মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্যরা সোনামসজিদ স্থলবন্দরগামী ট্রাক আটকে দিয়ে রাস্তায় অবস্থান নেয়।
জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি আমিনুল ইসলাম সেন্টু ও জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেক অভিযোগ করে বলেন, সোনামসজিদ স্থলবন্দর থেকে পণ্য পরিবহনে এক শ্রেণীর মধ্যস্বত্তভোগী দালালদের ট্রাক প্রতি ১২’শ থেকে ৫ হাজার টাকা এবং ফলের ট্রাক থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করে থাকে। একটি ট্রাকের ভাড়া ২৮ হাজার টাকা হলে অগ্রীম ৫ হাজার টাকা দিয়ে ভাড়া ধরতে হয়। মালিক পায় ২৩ হাজার। অন্যথায় জেলার ট্রাকগুলোকে ভাড়া দেয়া হয়না। তারা বলেন, ‘এই হয়রানীর প্রতিবাদে এই কর্মসুচি চলছে’।
দ্বিতীয় দিনেরম মত কর্মসুচি অব্যাহত থাকায় কেন্দ্রীয় ট্রাক ট্রার্মিনালে আটকে পড়ে শত শত ট্রাক। । শ্রমিকদের এই অবস্থান কর্মসুচি চলাকালে সোনামসজিদ স্থলবন্দর থেকে ছেড়ে আসা পণ্যবাহী ট্রাকও আটকে দেয়া হয়। এরমধ্যে বেশকিছু পেঁয়াজভর্তি ট্রাকও আটকা পড়ে। ফলে বিপাকে পড়েছে আমদানীকারকরা।
এ ব্যাপারে আমিনুল ইসলাম সেন্টুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘কারো মাল পচন ধরল কি না তা আমাদের দেখার বিষয় নয়। চাঁদাবাজি ও হয়রানী বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত কোন খালি ট্রাক সোনামসজিদ বন্দরে যেতে দেয়া হবে না। সমস্যর স্থায়ী সমাধান না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসুচী চলতে থাকবে’।
এদিকে শিবগঞ্জ থেকে আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক সফিকুল ইসলাম সফিক জানান, ট্রাক মালিক সমিতি ও মটর শ্রমিক ইউনিয়নের কর্মবিরতীর কারণে দ্বিতীয় দিনের মত স্থবির হয়ে পড়েছে সোনামসজিদ স্থল বন্দরের পণ্য পরিবহন ব্যবস্থা। রোববার রাতে অল্পকিছু ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করলেও সকালের পর আর কোন ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করতে দেখা যায়নি। তবে ভারত থেকে পন্যবাহী ভারতীয় ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করেছে স্বাভাবিকভাবেই। ফলে বন্দরে পণ্য জটের সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভারতীয় পণ্যভর্তি প্রায় ৩’শ ট্রাকের বিপরীতে বন্দরে খালি ট্রাক ছিল ৫০-এর নিচে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের অপারেশন অফিসার মঈনুল ইসলাম।
অন্যদিকে হঠাৎ করে ট্রাক বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমদানিকৃত পণ্য নিয়ে বিপাকে পড়েছেন আমদানিকারকরা।
এদিকে, যে চাঁদাবাজির অভিযোগে কর্মবিরতী সেই চাঁদাবাজির অভিযোগ সোনামসজিদ শ্রমিক সম্বন্বয়ের সভাপতি সাদিকুল ইসলাম মাষ্টার আবারও মিথ্যা বলে দাবি করেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ০৪-০৫-১৫