খাদ্য গুগামে গম কেনা > শিবগঞ্জে মুনাফা যাচ্ছে ফড়িয়া দালালদের পকেটে

চাঁপাইনবাগবঞ্জের শিবগঞ্জের খাদ্য গুদামে সরকারিভাবে শুরু হওয়া গম সংগ্রহ অভিযানে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কৃষক সুবিধার জন্য গম কেনা শুরু হলেও মুনাফা যাচ্ছে ফড়িয়া দালালদের পকেটে। ক্ষমতাসীন দলের একটি প্রভাবশালী চক্রকে ম্যানেজ করে ফড়িয়ারা লুটে নিচ্ছে কৃষকের টাকা।
অভিযোগ পাওয়া গেছে,  এ বছরে গম সংগ্রহের ব্যাপারে প্রকৃত কৃষকদের কাছ থেকে গম সংগ্রহ না করে ফড়িয়া দালালদের কাছ থেকে গম সংগ্রহ করছে সংশ্লিষ্টরা।  সংগৃহিত গম খোলা আকাশের নীচে পড়ে আছে। পোর্টের মাধ্যমে ভারত থেকে  আমদানীকৃত গম যা দেশীয় গমের চেয়ে খারাপ তা দালালদের মাধ্যমের ক্রয় করা হচ্ছে।
গম ক্রয়ের ক্ষেত্রে  ইউনিয়নভিত্তিক কৌটা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না বলে কৃষকদের অভিযোগ। তারা আরো অভিযোগ করেন যে, সরকার দলীয় কিছু প্রভাবশালীর মাধ্যমে কিছু দালাল ফড়িয়া কৃষি কার্ড সংগ্রহ করে কৃষকদের অধিকার হরণ করে ফায়দা লুটছে। ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সাধারণ কৃষক।
সূত্র জানিয়েছে, এ বছরে প্রায় এক মাস দেরীতে গত ২৯ এপ্রিল থেকে শিবগঞ্জে গম কেনা শুরু হয়। শুরুতেই অনিয়মের কারণে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বজলার রহমান সনু প্রতিবাদ করেন এবং কয়েকদিন গম সংগ্রহ বন্ধ থাকে।   নাম  প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কৃষক জানান, শিবগঞ্জ উপজেলার কৃষকদের কাছ থেকে গম সংগ্রহ না করে  ফড়িয়া দালালগণ খাদ্য পরিদর্শকদের সাথে আঁতাত করে নওগাঁ থেকে গম আমদানী করে সে গম খাদ্য গুদামে বিক্রী করছে।   এলাকার বিভিন্ন হাট বাজারে ঘুরে দেখা গেছে কৃষকরা ২৩/২৪টাকা কেজি দরে গম বিক্রী করছে এবং এ গম ফড়িয়া দালালেরা ক্রয় করে সরকারী দর ২৮কেজি দরে বিক্রী করছে।
কানসাট এলাকার কৃষক রফিক ও লিয়াকত, মনাকষা এলাকার কৃষক মুখলেশুর সহ প্রায় ২০/২৫ কৃষক জানান   আমরা অধিক মুনাফার আশায় প্রচুর গম উৎপাদন করেও উপযুক্ত দর পাচ্ছি না বরং বিভিন্নভাবে হয়রানী হচিছ।
এদিকে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, গম কেনা নিয়ে তুঘলকি কান্ডের কারণে সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তার নির্দেশে গত ১৪ মে বৃহস্পতিবার থেকে গম সংগ্রহ বন্ধ আছে।
এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ এলএসডির খাদ্য পরিদর্শক জানমোহাম্মদ আলী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন ‘আমরা কৃষি অফিসারের স্বাক্ষরিত কৃষি কার্ডের ভিত্তিতে নায্য দরে কৃষকদের কাছ থেকেই  ১ হাজার  ৫শ ১০ মেঃটন গম ক্রয় করছি এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে টার্গেট অনুযায়ী গম সংগ্রহ শেষ হবে। গম রাখার জায়গা না থাকায় বর্তমানে গম সংগ্রহ স্থগিত আছে, তবে কয়েকদিনের মধ্যে আবার গম সংগ্রহ শুরু হবে’।
তিনি জানান, জায়গার অভাবে বর্তমানে প্রায় ৫মেঃটন গম বাইরে পড়ে আছে।


চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক, শিববগঞ্জ/ ২১-০৫-১৫

,