রায় শুনে খুশি হতে পারেনি শহীদ পরিবারের স্বজনরা
মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবাতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আটক চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মাহিদুর রহমান ও আফসার হোসেন ওরফে চুটুর আমৃত্যু কারাদন্ড’র রায়ে খুশি হতে পারেনি শহীদ পরিবারের স্বজনরা। তবে তারা বলেন আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমরা এ রায় মেনে নিচ্ছি।
এ দুই রাজাকারসহ ১২ জনের নামে প্রথম চাঁপাইনবাবগঞ্জের আদালতে মামলা করেছিলেন ১৯৭১ সালে বাবাকে হারানো শিবগঞ্জের মনাকষা ইউনিয়নের পারচৌকা গ্রামের শহীদ মুসলিম উদ্দীনের ছেলে বদিউর রহমান বুদ্ধু। রায়ের প্রতিক্রিয়ায় তিনি জানান, এই দুই রাজাকার ১৯৭১ সালে ৬ ও ৭ অক্টবর মনাকষা, বিনোদপুর ও দুর্লভপুরের আমার বাবাসহ ৩৯ জন নিরীহ মানুষকে হত্যো করেছে, ধর্ষণ করেছে অনেক মা-বোনকে এমনকি পুড়িয়েছে অনেক বাড়ি ঘর। এ মামলায় আমরা আশা করেছিলাম, তাদের ফাঁসি হবে। কিন্তু আদালত তাদের আমৃত্যু কারাদন্ডের দিয়েছে। আইনের প্রতি শ্রোদ্ধা রেখে বলছি এ রায়ে পুরোপুরি সন্তুষ্ট নয়। আসামীদের সর্বচ্চো শাস্তি ফাঁসী যাতে হয় সেজন্য আপিলের উদ্যোগ নিব আমি।
একই রকম হতাশার কথা জানান, উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের চানশিকারী গ্রামের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ফজলুর রহমানের ছেলে আঃ রাকিব হোসেন আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এ রায়কে মেনে নিয়ে বলেন আমার বাবসহ ৩৯ জন লোককে হত্যার সুনির্দিষ্টভাবে প্রমাণিত হওয়ার পরও যদি তাদের শাস্তি আমৃত্যু কাড়াদন্ড হয় তবে আর কত জনকে হত্যা করলে তাদের শাস্তি মৃত্যুদন্ড হত।
বিনোদপুর ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ রুহুল আমিন জানান, আমৃত্যু কারাদন্ডের রায়ে আমি সন্তষ্টু হতে পারেনি, তবে মেনে নিচ্ছি।
শিবগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোহাম্মদ বজলার রহমান সোনু জানান, এই রায়ে আমরা হতাশ হয়েছি, মুক্তিযোদ্ধারা বসে রায়ের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নিব।
এদিকে রায় ঘোষনার পর বিনোদপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এলাবাকাবাসী আনন্দ মিছিল বের করে।
চাঁপাইনবাগঞ্জ নিউজ/ সফিকুল ইসলাম সফিক, নিজস্ব প্রতিবেদক, শিবগঞ্জ/ ২০-০৫-১৫
এ দুই রাজাকারসহ ১২ জনের নামে প্রথম চাঁপাইনবাবগঞ্জের আদালতে মামলা করেছিলেন ১৯৭১ সালে বাবাকে হারানো শিবগঞ্জের মনাকষা ইউনিয়নের পারচৌকা গ্রামের শহীদ মুসলিম উদ্দীনের ছেলে বদিউর রহমান বুদ্ধু। রায়ের প্রতিক্রিয়ায় তিনি জানান, এই দুই রাজাকার ১৯৭১ সালে ৬ ও ৭ অক্টবর মনাকষা, বিনোদপুর ও দুর্লভপুরের আমার বাবাসহ ৩৯ জন নিরীহ মানুষকে হত্যো করেছে, ধর্ষণ করেছে অনেক মা-বোনকে এমনকি পুড়িয়েছে অনেক বাড়ি ঘর। এ মামলায় আমরা আশা করেছিলাম, তাদের ফাঁসি হবে। কিন্তু আদালত তাদের আমৃত্যু কারাদন্ডের দিয়েছে। আইনের প্রতি শ্রোদ্ধা রেখে বলছি এ রায়ে পুরোপুরি সন্তুষ্ট নয়। আসামীদের সর্বচ্চো শাস্তি ফাঁসী যাতে হয় সেজন্য আপিলের উদ্যোগ নিব আমি।
একই রকম হতাশার কথা জানান, উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের চানশিকারী গ্রামের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ফজলুর রহমানের ছেলে আঃ রাকিব হোসেন আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এ রায়কে মেনে নিয়ে বলেন আমার বাবসহ ৩৯ জন লোককে হত্যার সুনির্দিষ্টভাবে প্রমাণিত হওয়ার পরও যদি তাদের শাস্তি আমৃত্যু কাড়াদন্ড হয় তবে আর কত জনকে হত্যা করলে তাদের শাস্তি মৃত্যুদন্ড হত।
বিনোদপুর ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ রুহুল আমিন জানান, আমৃত্যু কারাদন্ডের রায়ে আমি সন্তষ্টু হতে পারেনি, তবে মেনে নিচ্ছি।
শিবগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোহাম্মদ বজলার রহমান সোনু জানান, এই রায়ে আমরা হতাশ হয়েছি, মুক্তিযোদ্ধারা বসে রায়ের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নিব।
এদিকে রায় ঘোষনার পর বিনোদপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এলাবাকাবাসী আনন্দ মিছিল বের করে।
চাঁপাইনবাগঞ্জ নিউজ/ সফিকুল ইসলাম সফিক, নিজস্ব প্রতিবেদক, শিবগঞ্জ/ ২০-০৫-১৫