গুজব > হরিমোহন স্কুলের ভবন দেবে গেছে !
শক্তিশালী ভুমিকম্পের পর আত্মংকিত মানুষের মাধ্যমে নানান গুজবের ‘ডালপালা’ ছড়িয়ে পড়ে জেলাজুড়ে। দ্বিতীয় দফার ভুমিকম্পের আগেই বেলা সাড়ে ১২টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ ডটকমসহ গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে নানান ধরণের ‘ক্ষতিগ্রস্তের’ সংবাদ আসতে শুরু করে।
প্রথম দফার ভুমিকম্প থেমে যাওয়ার পর চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের ক্লাব সুপার মার্কেটের সামনে শত শত উৎসক জনতা হরিমোহন স্কুল মুখি হয়ে ভিড় জামায়। ওই সময় তারা জানায়, হরিমোহন স্কুলের পুর্ব ব্লকের ৪ তলা ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে। স্কুলের বাইরে সড়কে শত শত জনতা আর স্কুল মাঠে শত শত শিক্ষার্থী। এক আত্মংকিত পরিবেশ। এরই মাঝে গুজব ছড়িয়ে পড়ে ‘হরিমোহন স্কুলের ভবন দেবে গেছে’। মুর্হুতেই এ গুজব ছড়িয়ে পড়ে জেলা শহর থেকে উপজেলাগুলোতেও। অথচ এ গুজবের অনুসন্ধান করতে গিয়ে এর কোন অস্থিত্বই পাওয়া যায়নি।
সরজমিনে হরিমোহন স্কুলে গিয়ে দেখা গেছে, স্কুলের পূর্বব্লকের চার তলা ভবনের সাথে যুক্ত নুতন একতলা টয়েলেটের সংযোগস্থলে দু’ ভবনের আলাদা আলাদ বিমের মধ্যখানে ‘চির’ দেখা যায। এতেই ‘ভবনে ফাটল ধরেছে’ এমন কথা প্রচার হয়। অথচ অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ভেতরের দিকে ‘চির’ দেখা গেলেও একই বিমের বাইরের অংশে থাকা পলেস্তার অটুট রয়েছে।
শিক্ষকরা জানান, ওই দু’ বিমের মধ্যখানের ওই চির স্বাভাবিকভাবে আগে থেকেই ছিল। আগে কেউ খেয়াল করেনি বা আমনে নিয়ে আসেনি। ভুমিকম্পের পর তা দেখে আত্মংকটি ছড়ায়।
এদিকে, ভুমিকম্পে অসুস্থ্য হয়ে শত শত মানুষ চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এমন সংবাদের অনুসন্ধান করতে গিয়ে হাসপাতালে গেলে হাসপাতাল সুত্র জানায়, মাত্র ৯ জন রোগি মাথাঘুরে ‘অজ্ঞান’ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছিল।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ২৫-০৪-১৫
প্রথম দফার ভুমিকম্প থেমে যাওয়ার পর চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের ক্লাব সুপার মার্কেটের সামনে শত শত উৎসক জনতা হরিমোহন স্কুল মুখি হয়ে ভিড় জামায়। ওই সময় তারা জানায়, হরিমোহন স্কুলের পুর্ব ব্লকের ৪ তলা ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে। স্কুলের বাইরে সড়কে শত শত জনতা আর স্কুল মাঠে শত শত শিক্ষার্থী। এক আত্মংকিত পরিবেশ। এরই মাঝে গুজব ছড়িয়ে পড়ে ‘হরিমোহন স্কুলের ভবন দেবে গেছে’। মুর্হুতেই এ গুজব ছড়িয়ে পড়ে জেলা শহর থেকে উপজেলাগুলোতেও। অথচ এ গুজবের অনুসন্ধান করতে গিয়ে এর কোন অস্থিত্বই পাওয়া যায়নি।
সরজমিনে হরিমোহন স্কুলে গিয়ে দেখা গেছে, স্কুলের পূর্বব্লকের চার তলা ভবনের সাথে যুক্ত নুতন একতলা টয়েলেটের সংযোগস্থলে দু’ ভবনের আলাদা আলাদ বিমের মধ্যখানে ‘চির’ দেখা যায। এতেই ‘ভবনে ফাটল ধরেছে’ এমন কথা প্রচার হয়। অথচ অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ভেতরের দিকে ‘চির’ দেখা গেলেও একই বিমের বাইরের অংশে থাকা পলেস্তার অটুট রয়েছে।
শিক্ষকরা জানান, ওই দু’ বিমের মধ্যখানের ওই চির স্বাভাবিকভাবে আগে থেকেই ছিল। আগে কেউ খেয়াল করেনি বা আমনে নিয়ে আসেনি। ভুমিকম্পের পর তা দেখে আত্মংকটি ছড়ায়।
এদিকে, ভুমিকম্পে অসুস্থ্য হয়ে শত শত মানুষ চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এমন সংবাদের অনুসন্ধান করতে গিয়ে হাসপাতালে গেলে হাসপাতাল সুত্র জানায়, মাত্র ৯ জন রোগি মাথাঘুরে ‘অজ্ঞান’ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছিল।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ২৫-০৪-১৫