কাঁপল মানুষ, কাঁপল জনপদ > স্মরণকালে এমন ভুমিকম্পের দেখা মেলেনি > অজ্ঞান হয়ে ২৯জন হাসপাতালে (আপডেট ভিডিওসহ)

শনিবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে স্মরণকালের মধ্যে শক্তিশালী ভুমিকম্পে দেশের অন্যান্যস্থানের মত চাঁপাইনবাবগঞ্জও কেঁপে উঠেছিল। প্রথম দফার প্রায় ১ মিনিট স্থায়ী ভুমিকম্পের প্রায় ১৯/২০ মিনিট পর দ্বিতীয় দফার ভুমিকম্পে আত্মংকিত হযে পড়ে মানুষ। হাজার হাজার মানুষ অবকাঠামো ছেড়ে বেরিয়ে রাস্তায় নেমে আসে। ছুটি দিয়ে দেয়া হয়, বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের। প্রলংকরী এই ভুমিকম্পে চাঁপাইনবাবগঞ্জের কোথাও বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওযা যায়নি। তবে ভুমিকম্পের ‘মাথাঘুরে’ অসুস্থ্য হয়ে কয়েকজন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে।
সাধারণ মানুষ জানান, দুপুরে হটাৎকরেই মাটি বাড়িঘর দোলখাওয়া শুরু করে। তাৎক্ষণিক মানুষ ভুমিকম্পের বিষয়টি বুঝতে পেরে রাস্তায় ও খোলা মাঠে গিয়ে আশ্রয় নেয়। বড় মাপের এই ভুমিকম্পটি প্রায় ৫০ সেকেন্ডের মত একই গতিতে আঘাত হানে। ভুমিকম্প শুরুর পর র্দীঘক্ষণও না থামায় সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক আত্মংক ছড়িয়ে পড়ে। শহরের মার্কেটগুলোয় দেখা যায় দোকানদাররা দোকান ছেড়েই রাস্তায় নেমে আসে। সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষও। রাস্তাগুলো লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও দেখা যায় শত শত শিক্ষার্থী শ্রেণীকক্ষ ছেড়ে স্কুলের মাঠে চলে আসে।
ভুমিকম্পের পরপরই কিছুক্ষণ সেল ফোনের নেটওয়ার্কও বন্ধ হয়ে গেছিল।
এদিকে, প্রথম দফার ভুমিকম্পের পর আবারও দ্বিতীয় দফায় আঘাত হানে ভুমিকম্প। দ্বিতীয় দফার ভুমিকম্পের পর সাধারণ মানুষের মাঝে আত্মংক আরো বেড়ে যায়। দ্বিতীয় দফার ভুমিকম্পের পর তা থেকে গেলেও সাধারণ মানুষ দীর্ঘক্ষণ ঘরে ফিরে যায়নি।
ভুমিকম্পে অসুস্থ্য হয়ে দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে ৯ জন মহিলা ভর্তি হয়। এদের মধ্যে ৩ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। রাতে সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন, ভুমিকম্পের কারণে অজ্ঞান হয়ে হাসপাতালে মোট ২৯ জন শিশু ও মহিলা আসে। এদের মধ্যে ১৫ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। বাকীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। ভর্তি হওয়ারা আশংকামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। 
ভুমিকম্পের ঘটনায় গোমস্তাপুর ও সদরের দু’ একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পুরাতন ভবনে সামান্য ফাটল ছাড়া বড় ধরণে ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া য়ায়নি।
প্রায় ৪০ উর্দ্ধো কয়েক জন মানুষ জানান, স্মরকালের মধ্যে এতো দীর্ঘস্থায়ী ও শক্তিশালী ভুমিকম্প তারা দেখেনি।
অন্যদিকে শিবগঞ্জ থেকে আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক সফিকুল ইসলাম ও ভোলাহাট থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক তাজামুল হক আরাফাত জানান, শিবগঞ্জ ও ভোলাহাট এলাকাতেও তীব্র ভুকম্পন অনুভুত হয়েছে। তবে কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ২৫-০৪-১৫