ভোলাহাটে যৌথবাহিনীর অভিযানে বাড়ি ঘর ভাঙ্গচুরের অভিযোগ > এলাকা পুরুষ শূণ্য


চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার গোহালবাড়ি ইউনিয়নের তিলকী গ্রামে ইসলামী জালসা চলাকালে পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় মঙ্গলবার গভীররাতে যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়েছে ভোলাহাটে তিনগ্রামে। তিলকী, সূরানপুর, বীরেশ্বরপুর গ্রামে চালানো যৌথবাহিনীর এই অভিযানে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযানকালে প্রায় ২০ থেকে ২৫ টি বাড়িতে ব্যাপক ভাঙ্গচুরের অভিযোগ করা হয়েছে। যৌথবাহিনীর অভিযানের ফলে গ্রেফতার আত্মংকে পুরুষ শুণ্য হয়ে পড়েছে তিন এলাকা।
এলাকাবাসী জানায়, মঙ্গলবার গভীররাতে বিজিবি ও পুলিশের সমন্বয়ে যৌথবাহিনী অভিযান শুরু করে। তারা সুরানপুর গ্রামের মুসলেউদ্দিনের ছেলে আব্দুর রউফ, রাশেদ আলীর ছেলে জাহিরুল ইসলাম, তিলকী গ্রামের সেরাজুল ইসলামের ছেলে তাজামুল হক, চাঁনমোহম্মদের ছেলে রফিকুল ইসলাম, শফিকুল ইসলামের ২০/২৫ টি বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় আটক করা হয় তিলকী গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে ইসমাইল হোসেনকে আটক করা হয়। এলাকাবাসী অভিযোগ করেন যৌথবাহিনীর অভিযানকালে বাড়িঘরে ঢুকে ঘরের খাট, আলমারী, ফ্রিজ, টেলিভিশনসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙ্গচুর করা হয়। তিলকী গ্রামের শফিকুলের স্ত্রী হামেদা বেগম, ৮০ বছরের বৃদ্ধা মৃত্যু আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী রহিমা বেওয়া, শাম মোহম্মদের স্ত্রী রাশেদা বেগম, আবুল কাশিমের স্ত্রী রেহেনা বেগম অভিযোগ করেন বলেন, ‘ আসামী ধরার নামের বিজিবি, পুলিশ বাড়িতে ঢুকেই এলাপাতাড়ি ভাঙ্গচুর শুরু করে। ছাপের খাট, টিভি এমনটি মাটির কুঠিও (খাদ্য শষ্য রাখার স্থান) ভাঙ্গচুর করে। তারা অভিযানকালে লুটপাটেরও অভিযোগ করেন।
এলাকাবাসী জানায়, যৌথবাহিনীর অভিযানের পর বহু পুরুষ মানুষ এলাকা ছেড়ে পালিয়ে রয়েছে।
এ ব্যাপারে ভোলাহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় দায়ের মামলার আসামী ধরতে যৌথবাহিনীর এই অভিযান পরিচালিত হয়। বিধি অনুসরণ করেই অভিযান হয়েছে। কারো বাড়িতে ভাঙ্গচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ভিত্তিহীন’। তিনি বলেন, ‘তারা নিজেরই কিছু আসবাবপত্র ভাঙ্গচুর করে যৌথবাহিনীর উপর দায় চাপানো চেষ্টা করছে’।
ওসি আব্দুল রাজ্জাক জানান, এ অভিযানে এজনকে আটক করা হয়েছে। তবে, তিনি এজাহার নামীয় আসমী নন।
উল্লেখ্য, সোমবার দিবাগত গভীর রাতে প্রশাসনের বিনা অনুমতিতে অনুষ্ঠিত ইসলামী জালসায় সরকারের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য দেয়া হচ্ছে এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভোলাহাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থল তীলকী গ্রামে গেলে জালসার আয়োজকরা পুলিশের উপর হামলা চালায়। এতে ৩ এসআইসহ ৭ পুলিশ আহত হয়। এ ঘটনায় ওই রাতেই পুলিশ বাদি হয়ে ৩০ জনের নামে এবং অজ্ঞাত ১৫০/২০০জনের নামে মামলা করে। ওইদিন রাতেই ৯ জনকে আটক করা হয়।












চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক, ভোলাহাট/ ০৮-০৪-১৫

,