পত্রিকার প্রতি প্রেম ভোলাহাটের রইশুদ্দিনের

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলার বজরাটেক গ্রামের মৃত্যু কলিমুদ্দিনের ছেলে মুদি দোকান্দার রইশুদ্দিন। তিনি ১৯৮২ সাল থেকে মুন্সিগঞ্জ বাজারে ছোট একটি মুদি দোকান দিয়ে কোন রকম সংসার চালান। সেই ছোট দোকানে জাতীয়  আঞ্চলিক দৈনিক ও সাপ্তাহিক মিলিয়ে নিয়মিত ৪/৫টি পত্রিকা পড়ে থাকেন।
রইশুদ্দিনের সাথে আলাপচারিতায় জানা য়ায়, তিনি ১৯৯২ সালে মহানন্দা নদীর ঘাটে ইজারাদারের দায়িত্ব পালন করতেন। সে সময় ভোলাহাটে একটি মাত্র আঞ্চলিক পত্রিকা আসতো তখন থেকে নিয়মিত পত্রিকা পড়তেন তিনি। এখনও তিনি নিয়মিত পত্রিকা পড়েন বলে জানান। এলাকায় অনেক শিক্ষিত মানুষ পত্রিকা ক্রয় করে পড়ার আগ্রহ দেখায় না। কিন্তু আপনি মুদি দোকান দিয়ে ৪/৫টি পত্রিকা কেন পড়েন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, মুদি দোকানে বসে থেকে টেলিভিশন কিংবা রেডিও শুনা সম্ভব হয় না ফলে পত্রিকা পড়ে দেশ বিদেশ ও নিজ উপজেলার সব ধরণের খবর জানার আগ্রহ থেকেই তার পত্রিকা পড়া বলে জানান। আপনি পত্রিকা পড়লে দোকানে আসা ক্রেতারা বিরক্ত হয়ে চলে গেলে ব্যবসার ক্ষতি হয় না ? এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, তার ক্রেতারা তাকে পত্রিকা পড়তে দেখলে দাঁড়িয়ে থাকেন, পত্রিকা পড়া হলে পণ্য ক্রয় করে নিয়ে যান। তিনি আরো বলেন, পত্রিকা হাতে পাওয়ার সাথে সাথে প্রধান প্রধান শিরোনাম এবং নিজ উপজেলার খবরের প্রতি দৃষ্টি দেন। পরে দোকানের বেচা-বিক্রয় শেষে বাড়ীতে গিয়ে বসে বসে সব খবর পড়ে খাওয়া দাওয়া করে সুয়ে পড়েন বলে জানান। তবে তিনি জানান, অনেকেই বন্ধুদেরে চা সিগারেট খাইয়ে আপ্যায়ন করেন কিন্ত তিনি তার ক্রয় করা পত্রিকা বন্ধুদের পড়িয়ে আপ্যায়ন করে থাকেন। এ দিকে ভোলাহাটের পত্রিকা এজেন্ট মতিউর রহমান জানান, রইশুদ্দিন একজন মুদি দোকান্দার হয়ে র্দীঘ দিন থেকে পত্রিকা পড়েন। এক দিন কোন কারণে পত্রিকা না পেলে তাৎক্ষণিক তিনি পত্রিকা না পওয়ার কারণ জানতে চান এ পত্রিকা প্রেমী।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক, ভোলাহাট/ ১৩-০৩-১৫

,