ওয়াহেদপুর সীমান্তে বিএস্এফ’র গুলিতে বাংলাদেশী নিহত > বিএসএফ’র দুঃখ প্রকাশ (আপডেটসহ)
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার পাকা ইউনিয়নের ওয়াহেদপুর সীমান্তে বিএসএফ-এর গুলিতে এক বাংলাদেশী গরু ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। নিহত গরু ব্যবসায়ীর নাম তরিকুল ইসলাম। সে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার জামাইপাড়া গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে।
বিজিবি’র ৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল আবু জাফর শেখ মোহাম্মদ বজলুল হক জানান, রোববার দিবাগত গভীর রাতে ওয়াহেদপুর সীমান্তের ১৬/৪-এস পিলারের কাছ দিয়ে ৫/৬ জন গরু চোরাকারবারী ভারতে প্রবেশ করলে ভারতের ২০ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের চাঁদনীচক ক্যাম্পের টহল দল তাদেরকে লক্ষ করে ছোড়রা গুলি করে। এতে তরিকুল গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মকভাবে আহত হয়। গুলিবিদ্ধ তরিকুলকে অন্যান্য সহযোগীরা উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসলে রাত আড়াইটার দিকে সে মারা যায়।
এ এঘটনায় বিজিবি টেলিফোনে বিএসএফ’র ২০ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্টের কাছে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েএ বিষয়ে কোম্পানী কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের আহবান জানানো হয়।
শিবগঞ্জ থেকে আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক সফিকুল ইসলাম সফিক জানান, নিহতের ভাই জমশেদ আলী দাবি করেছেন তরিকুল দীর্ঘ দিন ধরে রকমারী ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। প্রায় মাস খানেক আগে ওই ব্যবসার করার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। তিনি জানান, বিএসএফ’র ছোড়া গুলি নাভির নিচে বিদ্ধ হয়ে আহত হওয়ার পর মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে।
পাঁকা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক জানান, বাংলাদেশের এই সীমান্ত এলাকায় কোন কাঁটাতারের বেড়া না থাকায় অনেক সময় চরের লোকজন ভারতে সীমানার দিকে চলাফেরা করে। বিএসএফের গুলিতে নিহত তরিকুল ইসলাম হরেকমালের ব্যবসা করতো বলেই জানি। কিন্তু গভীর রাতে কি কারণে সীমান্ত এলাকায় গিয়েছিল সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। যদি অবৈধভাবে কোন কিছু করার জন্য গিয়ে থাকে, তাহলে ভারতীয় আইনে তার বিচার হতে পারে।
বিজিবি অধিনায়ক জানান, সোমবার সকাল সাড়ে ১০ থেকে ১১ টা পর্যন্ত ঘন্টাব্যাপি বিজিবি বিএসএফ’র মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিজিবি’র পক্ষে নেতৃত্ব দেন ৯ ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর মিন্নাত এবং বিএসএসফ পক্ষে নেতৃত্ব দেন বিএসএফ’র চাদনী চক ক্যাম্পের ইন্সপেক্টর নিরাজ সিং। বৈঠকে বিএসএফ এ ঘটনায় তাদের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করলেও ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে। বিষয়টি তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেয় বিএসএফ কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ২৩-০৩-১৫
বিজিবি’র ৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল আবু জাফর শেখ মোহাম্মদ বজলুল হক জানান, রোববার দিবাগত গভীর রাতে ওয়াহেদপুর সীমান্তের ১৬/৪-এস পিলারের কাছ দিয়ে ৫/৬ জন গরু চোরাকারবারী ভারতে প্রবেশ করলে ভারতের ২০ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের চাঁদনীচক ক্যাম্পের টহল দল তাদেরকে লক্ষ করে ছোড়রা গুলি করে। এতে তরিকুল গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মকভাবে আহত হয়। গুলিবিদ্ধ তরিকুলকে অন্যান্য সহযোগীরা উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসলে রাত আড়াইটার দিকে সে মারা যায়।
এ এঘটনায় বিজিবি টেলিফোনে বিএসএফ’র ২০ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্টের কাছে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েএ বিষয়ে কোম্পানী কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের আহবান জানানো হয়।
শিবগঞ্জ থেকে আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক সফিকুল ইসলাম সফিক জানান, নিহতের ভাই জমশেদ আলী দাবি করেছেন তরিকুল দীর্ঘ দিন ধরে রকমারী ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। প্রায় মাস খানেক আগে ওই ব্যবসার করার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। তিনি জানান, বিএসএফ’র ছোড়া গুলি নাভির নিচে বিদ্ধ হয়ে আহত হওয়ার পর মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে।
পাঁকা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক জানান, বাংলাদেশের এই সীমান্ত এলাকায় কোন কাঁটাতারের বেড়া না থাকায় অনেক সময় চরের লোকজন ভারতে সীমানার দিকে চলাফেরা করে। বিএসএফের গুলিতে নিহত তরিকুল ইসলাম হরেকমালের ব্যবসা করতো বলেই জানি। কিন্তু গভীর রাতে কি কারণে সীমান্ত এলাকায় গিয়েছিল সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। যদি অবৈধভাবে কোন কিছু করার জন্য গিয়ে থাকে, তাহলে ভারতীয় আইনে তার বিচার হতে পারে।
বিজিবি অধিনায়ক জানান, সোমবার সকাল সাড়ে ১০ থেকে ১১ টা পর্যন্ত ঘন্টাব্যাপি বিজিবি বিএসএফ’র মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিজিবি’র পক্ষে নেতৃত্ব দেন ৯ ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর মিন্নাত এবং বিএসএসফ পক্ষে নেতৃত্ব দেন বিএসএফ’র চাদনী চক ক্যাম্পের ইন্সপেক্টর নিরাজ সিং। বৈঠকে বিএসএফ এ ঘটনায় তাদের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করলেও ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে। বিষয়টি তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেয় বিএসএফ কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ২৩-০৩-১৫