মজুদ পর্যাপ্ত তবুও শিবগঞ্জে সার বিক্রি হচ্ছে চড়া মূল্যে

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায় চলতি বোরো মৌসুমে চাহিদা মাফিক সার মজুদ থাকলে উপজেলার প্রত্যন্তাঞ্চলের কৃষকদের বেশি দামে সার কিনতে হচ্ছে। ফলে কৃষকরা সার নিয়ে প্রতারণার পাশাপাশি আর্থিকভাকে ক্ষতির মুখে পড়েছে।
উপজেলার ১৫ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে কৃষকদের সাথে আলোচনা করে বিভিন্ন ধরনের সারের দর সম্পর্কে সরকারী দর থেকে প্রতি বস্তা সারে ৫০ টাকা থেকে ৩শ  টাকা পর্যন্ত পার্থক্য দেখা গেছে।
উপজেলার বিভিন্ন ছোট বড় শ খানেক বাজারে  ইউরিয়া সার ৮৫০ থেকে ৯০০টাকা,বিএডিবির ডিএপি সার বস্তা প্রতি ১৪৫০ টাকা,কারগিল ডিএপি সার বস্তা প্রতি ১৫০০ টাকা ও  অষ্ট্রোলিয়া ডিএপি সার বস্তা প্রতি ১৫৫০ থেকে ১৬০০ টাকা, পটাশ সার বস্তা প্রতি ৮৫০ টাকা ও টিএসপি সার বস্তাপ্রতি ১১৫০ থেকে ১২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
পারচৌকার মিলন, মালেক  পলাশ কালিগঞ্জের জগলুল, দূর্লভপুরের সাদিকুল সহ প্রায় ৫০জন প্রান্তিক চাষী জানান তারা বাজার থেকে ইউরিয়া সার প্রতি কেজি সাড়ে ১৭ থেকে ১৮ টাকা ডিএপি সার প্রতি কেজি ৩৩ থেকে ৩৪ টাকা,  পটাম সার প্রতি কেজি ১৬ থেকে সাড়ে ১৬ টাকা এবং টিএসপি  সার কেজি প্রতি   সাড়ে ২২ থেকে ২৩ টাকা দরে আমাদেরকে  কিনতে হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদুল ফারুক  বলেন, চলতি  মৌসুমে শিবগঞ্জে প্রায় ৯ হাজার হেক্টর জমিতে ইরি বোরো ধানে আবাদ হচ্ছে। উপজেলার কোথাও সারের কোন সংকট নেই বরং বর্তমানে  ১০হাজার বস্তা ইউরিয়া সার মজুদ আছে এবং আরো ২৫হাজার বস্তা ইউরিয়া সারের চাহিদা পাঠানো হয়েছে।
সারের বেশী দরের অভিযোগটি অস্বীকার করে তিনি বলেন ইউরিয়া সারের সরকারী দর ৮শ টাকা হলেও   বিক্রি হ্েচ্ছ ৭৭০ থেকে ৭৮০ টাকা, ডিএপি সারের সরকারী দর বস্তা প্রতি ১২৪০ টাকা হলেও বিক্রি হচ্ছে ১২২০থেকে ১২৩০ টাকা, পটাশ সারের বস্তা প্রতি সরকারী দর ৭৫০ টাকা হলেও বিক্রি হচ্ছে ৭২০ থেকে ৭৩০ টাকা এবং টিএসপি সারের বস্তা প্রতি সরকারী দর ১১০০ টাকা হলেও বিক্রি হচ্ছে ১০৫০ টাকায়।


চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ সফিকুল ইসলাম সফিক, নিজস্ব প্রতিবেদক/ ০৪-০২-১৫