জামায়াত-বিএনপি’র হাতে মার খেয়ে উল্টো পুলিশী মামলার আসামী!

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে জামায়াত-বিএনপি’র  হাতে মার খেয়ে আহত মেহেদী হাসান নামের এক  মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পুলিশী মামলার আসামী হয়েছেন। তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা ও শ্যামপুর ইউপি আ’লীগের সহ-সভাপতি মফিজ উদ্দিন এ মিথ্যা মামলার সুষ্ঠ তদন্ত ও দায়ী এসআই’র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
মেহেদীর পরিবার জানিয়েছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শ্বিগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের ওমরপুর গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে মেহেদী হাসান প্রতিদিনের ন্যায় গত ৫ জানুয়ারী তার চাকুরীস্থল চককীর্তি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডিউটি শেষে ফেরার পথে কানসাটের গোপালনগরের মোড়ে বিএনপি-জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিলের মুখে পড়ে। এসময় বিএনপি-জামায়াতের ১৪/১৫ জন কর্মী মেহেদী হাসানকে ধরে নিয়ে গিয়ে চাইনিজ কুড়াল ও হাসুয়া দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে শিবগঞ্জ স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং পরে তার অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে ৩১ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মেহেদীর মা শেফালি খাতুন জানান, আমার ্স্বামী একজন মুক্তিযোদ্ধা এবং স্থানীয় অ’লীগের নেতা হওয়ায় জামায়াত-শিবিরের হামলার ভয়ে তার নিজ বাড়ী শ্যামপুরে থাকতে পারছেন ন্া এবং সবসময় আতঙ্কের মধ্যে বাস করতে হচ্ছে। অথচ শিবগঞ্জ থানা পুলিশ ষড়যন্ত্র ও সম্পূর্ণ উদ্দোশ্যমুলকভাবে আমার ছেলে মেহেদী হাসানকে জিআর-১১/১৫ (শিব) ও  জিআর-১২/১৫ (শিব) মামলায় আসামী করেছে। এমনকি মেহেদী আ’লীগ নেতার ছেলে হওয়ায় জামায়াত-বিএনপি নেতাদের ২০১৩ সালে আদালতে দায়ের করা তিনটি মামলায় তাকে আসামী করা হয়েছে। এ থেকেই বোঝা যায় যে, মেহেদী জামায়াত-বিএনপি বিরোধী পরিবারের সন্তান। 
এ ব্যাপারে শ্যামপুর ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি আসাদুজ্জামান ভোদন জানান, মেহেদী হাসানের বাবা ও ২ চাচা আ’লীগ ও অঙ্গসংগঠনের রাজনীতির সাথে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত। সে বিএনপি-জামায়াতের কাছে মার খেয়ে গুরুতর আহত হয়েও তাকে জামায়াত-বিএনপি’র কর্মী সাজিয়ে পুলিশের দায়েরকৃত মামলাটি অন্যয়। 
অন্যদিকে, শিবগঞ্জ উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট আতাউর রহমান জানান, আওয়ামীলীগ পরিবারের সন্তান মেহেদী হাসানকে জামায়াতের সহিংস্য মামলায় আসামী করার বিষয়টি আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে। কেননা, সেদিন কানসাটে মেহেদী হাসানকে  বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা তার হাত-পা ভেঙ্গে  গুরুতর আহত করে।
শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এম এম ময়নুল ইসলাম জানান, শিবগঞ্জ থাানয় গত ৫ জানুয়ারী পুলিশের দায়েরকৃত ২টি মামলায় মেহেদী হাসানের নাম আসার বিষয়টি শুনেছি, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ২১-০১-১৫