'বালা-মুসিবত' থেকে বাঁচতে পানিপড়া নিলেন এমপি বদি

সময়টা ভালো যাচ্ছে না কক্সবাজার-৪ আসনের বিতর্কিত সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির। এই তো সেদিন কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। দুর্নীতির মামলায় আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠিয়েছিলেন। খারাপ সময়টা অনুকূলে আনতে অর্থাত্ মুসিবত দূর করতে শুভাকাঙ্ক্ষীদের পরামর্শে তাই ছুটে গেলেন বৈদ্যর কাছে। তাঁর পানিপড়া খেয়ে যদি দিন ফেরে এমন আশায়।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে সংসদ সদস্য বদি নিজে গিয়েই রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের ধেছুয়া পালং গ্রামের ফাতেমা বেগম নামের ওই কথিত বৈদ্যর কাছ থেকে পানিপড়া আনেন।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মাবুদ সংসদ সদস্যের পানিপড়া নিতে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এলাকাবাসী জানায়, ফাতেমা বেগম খুনিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল গণির স্ত্রী। এলাকায় প্রচার পায় সম্প্রতি তিনি স্বপ্নে আদিষ্ট হয়ে 'নেয়ামত' লাভ করেছেন। এর পর থেকে ফাতেমা বেগমের কাছ থেকে পানিপড়া থেকে শুরু করে দোয়া নিতে ভিড় জমাতে থাকে বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ।
তবে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি এমনও দাবি করেছে, যারা ফাতেমার পক্ষে সাফাই গেয়ে যাচ্ছে তারা মূলত দালাল। অসংখ্য দালালের মাধ্যমে এই উদ্ভট খবর প্রচার করে মানুষের সঙ্গে প্রতারণায় নেমেছে একটি পক্ষ।
সংসদ সদস্য বদির পানিপড়া আনতে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কথিত বৈদ্য ফাতেমার স্বামী খুনিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল গণি। গত রাতে তিনি  বলেন, 'অ-য় অবাজি, আজিয়া এমপি বদি অাঁর বাড়িত আসসিল। তেই অাঁর বউয়রত্তুন পানিপড়া লইগিইয়ে। বালাই-মছিবদত্তুন দূরে থাহিবেল্লাই তেই পানি পড়া লই গিইয়ে।'
ফাতেমার ছেলে মাহমুদুল হক মান্নাও সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদির পানিপড়া আনতে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তাঁর ভাষ্য, 'সংসদ সদস্যের উপস্থিতি আমাদের অনেকটা অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। আমাদের বাড়িতে তাঁর আগমনে আমার মা ফাতেমা বেগমের সেবা আরো প্রসারিত হবে।'