পদ্মার ভাঙ্গন কবলিত এলাকার মানুষের ভাগ্যে জুটলো না ঈদের ত্রান

শিবগঞ্জে পদ্মা নদীর  ভাঙ্গন কবলিত এলাকার নতুন ভাবে গড়ে হঠাৎ পাড়া নামে ৬ টি পাড়ার প্রায় ৫শ পরিবারের প্রায়  দুই হাজার মানুষ এবারও ত্রান থেকে বঞ্চিত হলো বলে অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে ঘুরে  নদী ভাঙ্গন কবলিত মানুষের  সাথে কথা বলে জানা গেছে  নদী ভাঙ্গনের কারনে যে সমস্ত এলাকায় বেশ কিছু পরিবার অস্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেছে সে সমস্ত এলাকাকে হঠাৎপাড়া নাম করন করা হয়েছে। এ ৬টি হঠাৎ গ্রামের মধ্যে রয়েছ ফুল দিয়াড়ী হঠাৎ পাড়া, সামাদ মন্ডলের পাড়া হঠাৎপাড়া, গোরস্থান হঠাৎপাড়া,ফিল্ডের হাট হঠাৎ পাড়া, দ্বোভাগী হঠাৎপাড়া মনোহরপুর হঠাৎপাড়া। 
এসব এলাকার মানুষের আশা ছিল ঈদের আগে তারা সরকারি সহায়তা পাবে। কিন্তু সে আশার গুঁড়ে বালি। আইয়ুব বিশ্বাসের গ্রাম থেকে আসা বর্তমানে ফুলদিয়াড়ী হঠাৎ পাড়া গ্রামের মোস্তফা, সেলিম, আলিম, আফান, আফসার আলি মনসুর আলি আঃ রাজ্জাক হামিদ, রুলী বেওয়া, সালেহা বেওয়া সহ আরো অনেকে এ প্রতিবেদককে জানান কোরবানী দেয়া তো দূরের কথা আমারো ঈদের দিনে কি খাওয়া নিয়েই দুশ্চিন্তাই আছি। আশা ছিল কিছু ত্রান পাবো। কিন্তু তাও পেলাম না।
একই সুরে কথা বলেন, মনোহর পুরকুপপাড়া গ্রামের মৃত রবিউলের বিধবা স্ত্রী নাজিরা বেগম, মৃত এবরানআলীর বিধবা স্ত্রী জামিলা বেগম, মৃত ইসমাইলের বিধবা স্ত্রী জলেনুর বেগম সহ প্রায় ৩০/৪০জন মানুষ।   
অসহায় সাদিকুল( পূর্বে অনেক কিছু ছিল তবে বর্তমানে নিঃস্ব)বলেন শুধু পেটে খাবারের চিন্তা করতে হচ্ছে তাই নয়  ঈদের নামাজ পড়ার সথানের সংকুলান হয়নি। তবে ফুলদিয়াড়ী হঠাৎপাড়া মানুষ সাহেবের ঘাট ্এলাকায় গোরস্থানে ঈদের নামাজ পড়া হবে। তিনি আরো বলেন মেম্বার চেয়ারম্যান ও প্রশাসনের নিষ্ঠুর আচরনে ভাবতে কষ্ট হয় যে আমরা বাংলাদেশের ভূখন্ডে বাসকরছি।
এদিকে, ইউনিয়ন পরিষদ জানিয়েছে, ঈদের আগে ভাঙ্গন কবলিত এলাকার মানুষকে ত্রান (ভিজিএফ ) দেয়া হচ্ছে না। তাদেরকে ঈদের পরে তাদের দেয়া হবে বলে জানিয়ছেন, ইউপি সদস্য এমরান আলি, তোজাম্মেল হক ও সদস্যা সায়েমা বেগম। এ ব্যাপারে দূর্লভপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবু আহম্মেদ নজমুল কবির মুক্তা বলেন  ঈদের আগে খুব ঝামেলা হবে  তাই তাদেরকে ঈদের পরে ত্রান দেয়া হবে না । @ সফিকুল ইসলাম সফিক

, ,