মিড-ডে মিল প্রকল্প > ভোলাহাটে শত ভাগ শিশু শিক্ষার্থীর উপসি'তি

ভোলাহাট উপজেলায় ঝরে পড়া শিশু শিক্ষার্থীর হার কমাতে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ৪টি ইউনিয়নে ৪টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এলাকার বিত্তবানদের অর্থায়নে মিড ডে মিল প্রকল্প চালু করা হয়। সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী জিয়াউল বাসেত প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।
প্রকল্প আওতাধীন ইমামনগর সরকারী প্রাথমীক বিদ্যালয়ে সরজমিন গিয়ে প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমানের সাথে কথা বলে জানান যায়, এ প্রকল্প চালুর পূর্বে তার স্কুলে ২শতাংশ ঝরে পড়া শিশুশিক্ষার্থী হার থাকলেও বর্তমান মিড ডে মিল প্রকল্পের আওতায় থেকে শূণ্যের ঘরে নেমে েেসছে এ হার। উল্লেখযোগ্য শিক্ষার্থীদের উপসি'তির কারণে পর্যাপ্ত শ্রেনী কক্ষ, শিক্ষক,শিক্ষা উপকরণ, ল্যাট্রিন না থাকায় চরম বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে বলে জানান। অপর দিকে শ্রেনী কক্ষ না থাকার কারণে খোলা আকাশের নীচে ক্লাস নিতে হচ্ছে। তিনি বলেন, পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের বিশেষ কোচিংএর ব্যবস'া নিয়েছেন তিনি। তবে তিনি বলেন, স্কুলটি মিড ডে মিল প্রকল্পের আওতায় আসার পর থেকে যেম ঝরে পড়া শিশুশিক্ষার্থীর হার উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে তেমনী পড়াশুনার মানন্নয়ন ঘটেছে চোখে পড়ার মত। সমপ্রতি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক জাহাংগীর কবীর তার স্কুল পরির্দশনে আসলে সার্বিক বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়েছেন বলে জানান। উপজেলার এ প্রকল্পের আওতায় অন্যান্য স্কুল আদমপুর সরকারী প্রাথমীক বিদ্যালয়, তীলোকী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ভবানীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় (জাতীয়করণকৃত) এও উল্লেখযোগ্য হারে ঝরে পড়া শিশু শিক্ষার্থীদের হার কমেছে। শিক্ষাবিদেরা মনে করেন, উপজেলার প্রত্যেকটি স্কুল মিড ডে মিল প্রকল্পের আওতায় নেয়া হলে শিশু শিক্ষার্থীর হার শূণ্যের ঘরে নেমে আসবে। এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার নূরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মিড ডে মিল প্রকল্পের আওতায় ৪টি স্কুলে ব্যাপক হারে শিশু শিক্ষার্থীর উপসি'তি দেখ যাচ্ছে। তবে তিনি মনে করেন এ প্রকল্প বিত্তবানদের অর্থায়নে না চালিয়ে সরকারী অর্থায়নে চালু করলে প্রকল্পটি র্দীঘ মেয়াদী হবে। তিনি বলেন, বিত্তবানদের অর্থায়নে এ প্রকল্পটি চালু থাকায় যে কোন মূহূর্তে বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে ফলে সরকারী বরাদ্ধের মাধ্যমে প্রত্যেকটি স্কুল এ প্রকল্পের আওতায় এনে শিশু শিক্ষার্থীর ঝরে পড়া হার শত ভাগে কমানো সম্ভব হবে বলে জানান। @ গোলাম কবির

, ,