শিবগঞ্জে পাগলা কুকুরের কামড়ে ৩০ জন আহত > হাসপাতালে নেই এ আর ভি ইনজেকশন

শিবগঞ্জে পাগলা কুকুরের কামড়ে গত দু’দিনে ৩০ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ১২জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ফলে পাগলা কুকুরের ভয়ে আত্মংকে দিন কাটাচ্ছে শিবগঞ্জের মনাকষা, দাদনচকসহ আশেপাশের এলাকার হাজার মানুষ। জনগন ক্ষিপ্ত হয়ে কুকুর নিধনে ব্যসত্ম হয়ে পড়েছে।
এলাকাবাসী জানায়,  গত ২৮ ও ২৯ আগষ্ট দু’দিনে খড়িয়াল গ্রামে ২জন, মনাকষা শেখ টোলা গ্রামে ১জন,  মনাকষা পুলের উপর গ্রামে ৬ জন, হাউসনগর গ্রামে ১জন, চৌধুরী টোলা গ্রামের ১জন, মনোহরপুর গ্রামে ১জন, দাদনচক ক্যাটানীটোলা গ্রামের ৩জন, বনকুল  গ্রামে ৪জন, বালুটুঙ্গি গ্রামের ৪জনকে পাগলা কুকুরে কামড়দিয়ে গুরুতর আহত করেছে। সূত্র জানায়, এদের মধ্যে ১২জনকে মারাত্মকভাবে আহত অবস'ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কুকুরের কামড়ে গুরুতর আহত হয়েছে তারা হলো  মনাকষা শেখ টোলা গ্রামের দুরুলের ছেলে আজিম (১২), মনাকষা পোড়াডিহি গ্রামের ফড়ৃুর ১২ বছরের এক ছেলে,খড়িয়াল গ্রামের মৃত কাতলু মাঝির ছেলে হাকিম উদ্দিন (৬০) মনোহর পুর গ্রামের মৃত জহাক আলির ছেলে ভোগলু (৭০) মনাকষা পুলের উপরগ্রামের ভুলুর ছেলে মিঠন (১২), একই গ্রামের শফিকুলের স্ত্রী মোসাঃ সুফিয়া  বেগম (৩৫) মনাকষা চৌধূরী টোলা গ্রামের মহসিন আলি (৭০) হাউসনগর গ্রামের মৃত আমিনুর রহমানের ছেলে ইয়াশিন আলি (৬৫) দাদনচক ক্যাটানী টোলা গ্রামের রবিউরের স্ত্রী মোসাাঃ বেগম ,দাদনচক চালকাপাড়া গ্রামের মইমুলের মেয়ে মোসাঃ রূপালী খাতুন (১২) দাদনচক মিয়া পাড়া গ্রামের ডায়বেটিকস ও প্যারালাইসিস রোগী মোসাঃ কিসুআরা বেগম (৬০) বনকুল গ্রামের আলাউদ্দিনের স্ত্রী। অনেকে আর্থিক সংকটের  কারনে চিকিৎসা নিতে পারছে না বলে জানা গেছে। অথচ কুকুর নিধন ও চিকিৎসা প্রশ্নে সংল্লিষ্ঠ বিভাগ এখনো নিরব রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাবী। কুকুর আত্মংকে অনেকে ছেলেমেয়েদেরকে বিদ্যালয় পাঠানোবন্ধ করে দিয়েছে। ছোট ছোট বাচ্চাদেরও রেখেছেন খুব সাবধানে।
এদিকে কুকুর আত্মংকে থাকা বনকুল, দাদনচক, মনাকষা শেখটোলা, মনাকষা পুলের উপর বালুুটুঙ্গি সহ কয়েকটি গ্রামের মানুষ নিজেরাই কুকুর নিধনে নেমে পড়েছে। এ পর্যনত্ম দাদনচক গ্রামে ১১টি, বনকুলে ৮টি  মনাকষা বাজারে ২টি কুকুরকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। বর্তমানে বিক্ষিপ্ত জনতা যেখানে কুকুর দেখছে সেখানেই পিটিয়ে হত্যা করছে।
অন্যদিকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাওয়ারা চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেনা বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন। চিকিৎসা নিতে যাওয়া রোগীদের জানিয়ে দেয়া হচ্ছে হাসপাতালে ঔষধ নেই, নেই এ আর ভি ইঞ্জেকশন। এ ব্যাপারে  শিবগঞ্জ স্বাথ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আঃ রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। @ সফিকুল ইসলাম সফিক

,