পিছিয়ে পড়া কমিউনিটির উন্নয়নে কাজ করছে এনজিও ফোরাম

চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহী জেলার বিভিন্ন উপজেলার পিছিয়ে পড়া কমিউনিটি গুলোর উন্নয়নে কাজ করছে এনজিও ফোরাম ফর পাবলিক হেলথ রাজশাহী কার্যালয়। সুইস এজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্ট এন্ড কোঅপারেশনের সহায়তা সহযোগি সংস'া এসডোর মাধ্যমে ওইসব পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্প বাস-বায়ন করা হচ্ছে।
গত মঙ্গলবার এনজিও ফোরাম ফর পাবলিক হেলথ রাজশাহী কার্যালয়ে পি ওয়াস প্রকল্পের আওতায় সবার জন্য পানি ও স্যানিটেশন অধিকার শীর্ষক মিডিয়া এ্যাডভোকেসী সভায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলার খরাপ্রবন ৪টি ইউনিয়ন ও রাজশাহী জেলার তানোর উপজেলার তালোন্দ ইউনিয়নে ওয়াটার এন্ড স্যানিটেশনসহ বিভিন্ন বিষয়ে কয়েকটি প্রকল্প বাস-বায়ন করার কথা জানানো হয়। সভায় আরো জানানো হয় তানোর উপজেলার কালনা গ্রামে ৯৫টি, মহোর গ্রামে ৬৫টি এবং নারায়নপুর গ্রামে ১১টি আদিবাসী পরিবার এবং হতদরিদ্র ৯৫টি পরিবার বাস করে। এই গ্রামে মোট জনসংখ্যা ৪৮৭ জন। আগে ৩১ ভাগ স্বাস'্য সম্মত পায়খানা থাকলেও বর্তমানে ৫৬ ভাগ স্বাস'্য সম্মত পায়খানার আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। এ ছাড়া খোলা পায়খানা রয়েছে ৪৪ ভাগ। এই ইউনিয়নে বিশুদ্ধ পানির অভাব রয়েছে।
পরে একই দিন সংস'াটির উদ্যোগে এনজিও প্রতিনিধি ও গণমাধ্যম কর্মীরা তানোর উপজেরার তালোন্দ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম পরিদর্শন করেন। এ সময় তলোন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান জানান, কালনা, মহোর ও নারায়নপুর গ্রামে আদিবাসীসহ অতিদরিদ্র পরিবারের বহু লোক স্বাস'্য সম্মত পায়খানা ব্যবহার করতে পারেনা। এই ৩টি গ্রামে ১ হাজার পরিবারে অনত্মত ৪ হাজার মানুষ বসবাস করেন। আগের নলকুপ গুলো অনেকটাই অকেজো হয়ে পড়েছে। আগে ৪০ থেকে ৫০ ফুটের মধ্যে ভগর্ভস' পানির সত্মর থাকলেও বর্তমানে তা অনেক নিচে নেমে গেছে। ফলে ১শ’ থেকে ১২০ ফুট গভীরে খনন করে গভীর নলকুপের সাহায্যে পানি পাওয়া যেতে পারে। এতে ব্যয় হবে কমপড়্গে ৫০ হাজার টাকা। কিন' ওইসব পরিবারের লোকদের সেই সামর্থ্য না থাকায় তারা অনেকেই এখনও পুকুরের পানি পান করেন এবং স্বাস'্য সম্মত পায়খানা তৈরী করতে না পারায় তারা মাঠে ময়দানে মলমুত্র ত্যাগ করেন বলে চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান জানান। তবে আশার কথা হচ্ছে ২০১৩ সালের শুরম্নতে এইসব পরিবারের ২৭টি স্বাস'্যসম্মত পায়খানা থাকলেও বর্তমানে এনজিও ফোরামের সহযোগিতায় ৫৭টিতে উন্নীত হয়েছে। এই সংখ্যা আরো বৃদ্ধি করার জন্য তিনি এনজিওদের প্রতি আহবান জানান।
ওই গ্রামের বাসিন্দা রইস উদ্দিন, আদিবাসী নারী ঝুমুর সরেন জানান, তাদের অনেক পরিবারের লোকেরা এখনও খোলা আকাশের নীচে মলমুত্র ত্যাগ করেন।
পরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার নাচোল ইউনিয়নে একুইফার রিচার্জ প্রকল্পসহ অন্যান্য প্রকল্প পরিদর্শন করা হয়। এ সময় দেখা দেখা যায় নাগরিকদের বাড়ির ছাদের বৃষ্টির পনি পাইপলাইনের মাধ্যমে একটি নিদৃষ্ট কুয়ায় নিয়ে তা নলকুপের নিচ স-রে দিয়ে পানির স-র বৃদ্ধি করা হচ্ছে। এতে ওই এলাকার পানির স-র স্বাভাবিক রাখা যাবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। এ ছাড়া নেজাম পুর ইউনিয়নের বরিশাল্লা গ্রামে আদিবাসী পল্লীতে ২৬টি পরিবার বাস করে। সেখানে এনজিও ফোরামের সহযোগিতায় ৯টি স্বাস'্য সম্মত পায়খানা এবং একটি নলকুপ স'াপন করে দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া ঝিনাইপুকুর গ্রামে ইকোসান টয়লেট ও কসবা ইউনিয়নে পাইলাইনের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস'া করা হয়েছে।
এ সময় উপসি'ত ছিলেন, এনজিও ফোরাম ফর পাবলিক হেল্‌থ এর এ্যাডভোকেসী এন্ড ইনফরমেশন সার্ভিস সেলের হেড ও পিওযাস প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বকারী জোসেফ হালদার, রাজশাহী কার্যালয়ের প্রোগ্রাম ফেসিলেটেটর সাবিত জাহান শিশির, এসেডোর নির্বাহী পরিচালক রবিউল আলমসহ ত্মাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের গণমাধ্যম কর্মীরা।


,