আম ও মাছসহ অন্য কোল খাদ্যদ্রব্যে ফরমালিন ব্যবহার হয়না

জেলা প্রশাসক সরদার সরাফত আলী বলেছেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের প্রধান আম বাজার কানসাটসহ প্রত্যেকটি আম বাজারে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হচ্ছে। আম ও মাছসহ যে কোন খাদ্যদ্রব্যে ফরমালিনের অস্তিত্ব পাওয়া যাচ্ছেনা। টানা ৭দিন যদি ফরমালিন না পাওয়া যায় তাহলে কানসাট আম বাজারকে ফরমালিন মুক্ত ঘোষণা করা হবে। রোববাবর সন্ধ্যয়ি প্রাইম ব্যাংকের অর্থায়নে ও এফবিসিসিআই এর উদ্যোগে চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির কাছে ফরমালিন সনাক্তকরণ মেশিন হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এফবিসিসিআই এর পরিচালক ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বারের সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মেশিন হস্তান্তর অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, এফবিসিসিআই এর সহসভাপতি হেলাল উদ্দিন, এফবিসিসিআই এর পরিচালক আলহাজ্ব আবু মোতালেব, বাবু বিজয় কুমার কেজরীওয়াল, কানসাট বাজার আম ব্যবসায়ি সমিতির সভাপতি নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
এফবিসিসিআই এর সহসভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশে বিভিন্ন কলকারখানায় গড়ে ৭০ টর ফরমালিন লাগে। কিন্তু আমদানী হয় সাড়ে ৭ শ’ টন। এত ফরমালিন যায় কোথায়? আমরাই কোন না কোনভাবে এই ফরমালিন ব্যবহার করি। ফলে এর দায় আমরা ব্যবসায়িরা এড়াতে পারিনা। আপনারা যারা আম ব্যবসায়ি, মাছ ব্যবসায়ি এবং অন্যান্য পণ্যের ব্যবসা করেন তারা যদি সৎ থাকেন তাহলে কেউ আপনাদের হয়রানী করতে পারবেনা। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাজারে কিংবা রাস্তায় যদি কেউ হয়রানীর শিকার হন তাহলে আমাদের জানাবেন। আমরা ব্যবস্থা নেব। তিনি বলেন, বলেন শুধু মেশিন দিলেই চলবেনা। এর জন্য চাই শুক্ত আইন। শুধু তাই নয় এ জন্য চাই প্রকৃত অপরাধীদের মানসিকতার পরিবর্তন। 
আব্দুল ওয়াহেদ ব্যবসায়িদের উদ্দেশ্যে বলেন, সামনে রজমান মাস। কোন ধরণের পণ্যে ভেজাল দেবেন না। রমজানের পবিত্রতা বজায় রেখে ব্যবসা করবেন। আম পরিবহনে রাস্তা পথের ঝামেলা এড়াতে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ কামনা করে তিনি বলেন, কোন পণ্যে যদি কেমিক্যাল পাওয়া যায় তাহলে সাথে সাথে ধংস না করে ল্যাবরেটরীতে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর যেন ব্যবস্থা নেয়া হয়। কোন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ির শেষ সম্বলটুকু যেন বন্ধ না হয়ে যায়।