ওসি’র বিরুদ্ধে ডাকা মানববন্ধনে দাঁড়াতেই দেয়নি পুলিশ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জসিম উদ্দীনের অপসারণের দাবিতে রোববার চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে ডাকা মানববন্ধন কর্মসুচি প- করে দিয়েছে পুলিশ। আয়োজকদের ছত্রভাঙ্গ করতে পুলিশ রাবার বুলেট নিড়্গেপসহ লাঠিচার্জ করেছে। এতে ৬/৭ জন আহত হয়েছে।
প্রত্যড়্গদর্শী ও স'ানীয় সূত্র জানায়, আওয়ামীলীগ সমর্থিত ছাত্রলীগ ও জাসদ সমর্থিত ছাত্রলীগের পৃষ্টপোশকতায় সচেতন ছাত্র জনতার ব্যানারে সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে সদর থানার ওসিকে প্রত্যাহারের দাবিতে পূর্ব ঘোষিত মানববন্ধন কর্মসুচি হবার কথা ছিল। সকাল থেকেই ব্যাপক সংখ্যক পুলিশ প্রেসক্লাব এলাকা ঘিরে ফেললে আয়োজকরা অবস'ান নেয় শহরের পাঠানপাড়া এলাকার ওয়ালটোল মোড়ে। বেলা ১১টার দিকে পুলিশ ওয়ালটোন মোড়ে গিয়ে অবস'ান নেয়া দুই ছাত্রলীগ কর্মীদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় পুলিশ ৩ থেকে ৪ রাউন্ড রাবার বুলেট নিড়্গেপসহ ব্যাপক লাঠিচার্জ করে। এর পরপরই পুলিশ পুরাতন জেলখানার মোড় থেকে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান আরমানকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনার পর ছাত্রলীগ নেতা কর্মীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বিড়্গোভ সমাবেশ করার চেষ্টা করলে সেখানে পুলিশ বাধা দিয়ে সমাবেশ প- করে দেয়। এ নিয়ে শহরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আটকের প্রায় দেড় ঘণ্টা পর জিয়াউর রহমান আরমানকে পুলিশ ছেড়ে দিলে পরিসি'তি শানত্ম হয়।
এ ব্যাপারে সদর থানার ওসি জসিম উদ্দীনের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি কোন মনত্মব্য করতে চাননি। তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার মতিউর রহমান বলেন, আমরা তো একটা প্রশাসন আমাদের বিরম্নদ্ধে কোন বক্তব্য থাকলে সুনির্দিষ্টভাবে তা কর্তৃপড়্গের কাছে বলতে হবে। তা না করে রাসত্মায় রাসত্মায় এটা সেটা করে বেড়াবে সে তো হতে দেয়া যায়না’। মানববন্ধন কর্মসুচি প- করে দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘ আমরা কোন মানববন্ধন দেখিনি। আইন শৃংখলা পরিসি'তি যাতে কেউ নষ্ট করতে না পারে সে জন্য আমাদের নজরদারী ছিল মাত্র। আমরা তাদেরকে বাধা দেইনি। তারাই আসেনি’।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক ওহিদুজ্জামান অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা শানিত্মপূর্ণভাবে বসে ছিলাম। ওসির নির্দেশে দারোগা মনির আমাদের উপর লাঠিচার্জ করে অমানুষিক নির্যাতন চালায়’। জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান আরমান বলেন, ‘ওসি’র প্রত্যাহারের দাবিতে আমাদের কর্মসুচি ছিল। কিন' পুলিশ আমাদের দাঁড়াতেই দেয়নি’। তিনি বলেন, ‘থানায় একটা সাধারণ ডাইরি করতে গেলে ৫শ টাকা ঘুষ লাগে। ওসি’র গ্রেফতার বাণিজ্য ও ঘুষের কথা বলতেই আমারা জমায়েত হতে চেয়েছিলাম’।

,