পুলিশে রাজনৈতিক তদবির বন্ধ হলেই জনগন সুশাসন পাবে

পুলিশের ওপেন হাউস ডে অনুষ্ঠানে অভিমত
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানা চত্বরে বুধবার অনুষ্ঠিত ‘ওপেন হাউস ডে’ অনুষ্ঠানে বক্তারা অভিমত ব্যক্ত করেছেন, মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসীসহ দুস্কৃতকারীদের পড়্গে রাজনৈতিক দলের নেতাদের তদবির বন্ধ হলে সমাজে শানিত্ম প্রতিষ্ঠাসহ আইন শৃংখলা পরিসি'তির ব্যাপক উন্নতি হবে। সর্বসত্মরের জনগনও লাভ করবে সুশাসন। পাশাপাশি পুলিশের ‘ঘুষ বাণিজ্য’ বন্ধ করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য জন কল্যাণে পুলিশকে জনগনের বন্ধু হিসেবে কাজ করতে হবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জসিম উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওপেন হাউস ডে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি’র বক্তব্য রাখেন, পুলিশ সুপার বশির আহম্মদ পিপিএম। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রম্নহুল আমিন, পৌর মেয়র মাওলানা আব্দুল মতিন, কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সদস্য সচিব মহিত কুমাদ দা, ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর কবির, দুরম্নল হোদা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল হুদা অলক, পৌর কাউন্সিলর শাখাওয়াত হোসেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কামালউদ্দিন, সাবেক ছাত্রনেতা মসফিকুর রহমান টিটো প্রমুখ। এ সময় উপসি'ত ছিলেন সদর সার্কেল এএসপি মতিউর রহমান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে পুলিশ সুপার বশির আহম্মদ বলেন, ‘নানা সীমাবদ্ধতার মধ্য দিয়ে জনগনের জন্য এবং সমাজে শানিত্ম প্রতিষ্ঠার লড়্গে কাজ করে চলেছে’। তিনি বলেন, ‘ মাদক ও সন্ত্রাসী কর্মকা-ের ব্যাপারে মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীদের কোনই ছাড় দেয়া হবেনা। এড়্গেত্রে পুলিশের কোন গাফেলতি থাকলেও ওই পুলিশের বিরম্নদ্ধে ব্যবস'া নেয়া হবে’। তিনি মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীদের বিরম্নদ্ধে পুলিশের পাশে জনগনকে এগিয়ে আসার আহবান জানান। পাশাপাশি প্রতিমাসেই ওপেন হাউস ডে অনুষ্ঠান আয়োজন করার নির্দেশ প্রদান করেন যাতে করে জনগন তাদের পুলিশ ও মামলা সংক্রানত্ম অভাব অভিযোগ সরাসরি বলতে পারেন।
অনুষ্ঠানের আলোচক রম্নহুল আমীন তার বক্তব্যে বলেন, ‘ আমরা সন্ত্রাসী ও দুস্কৃতকারীদের পড়্গ অবলম্বন করা বন্ধ করলেই আইন শৃংখলা পরিসি'তি ব্যাপক উন্নতি হবে। সদর উপজেলা আইন শৃংখলার দিক থেকে মডেল হিসেবে বিবেচিত হবে’। ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর কবির বলেন, ‘আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য জনগনকে আরো সচেতন হতে হবে’। জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল হুদা অলক বলেন, প্রত্যানত্ম এলাকার শ্রমজীবি মানুষ যারা জীবিকার জন্য বিদেশ যেতে চান তারা পাসপোর্ট তৈরীর সময় পুলিশী হয়রানীর শিকার হন। সহায় সম্বল বিক্রি করে এবং বেশীর ভাগ ড়্গেত্রে চড়া সুদে টাকা ধার নিয়ে তাদেরকে বিদেশে যেতে হয়। এসব নিরীহ শ্রমজীবি মানুষদের পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের সময় পুলিশকে ৫ শ থেকে হাজার-বারো শ পর্যনত্ম টাকা দিতে হয়। এমনকি হজ্ব যাত্রীদের পাসপোর্ট তৈরীর সময় ৫শ টাকা করে দিতে হয়। যা বন্ধ হওয়া উচিত। তিনি বলেন, সমাজে ঘটা নানা অনিয়ম ও সন্ত্রাসী কর্মকা-ের ব্যাপারে রাজনৈতিক দলের নেতা ও তাদের অনুসারীদের তদবিরের কারণে ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ ন্যয় বিচার পায়না, হয়রানীর শিকার হয়। পুলিশের উপর রাজনৈতিক তদবির বন্ধ হলে সমাজে বহুলাংশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা পাবে’।
অনুষ্ঠানে উন্মুক্ত আলোচনা শহরের হুজরাপুরের ইব্রাহিম আলী জেম সদর থানার এসআই মনিরের বিরম্নদ্ধে নির্যাতন ও হয়রানী মূলক গ্রেফতারের অভিযোগ তুলেন। প্রেড়্গিতে পুলিশ সুপার বিষয়টি তদনেত্মর নির্দেশ প্রদান করেন।