বর্ষবরণের উৎসবে মেতেছে জেলা শহর চাঁপাইনবাবগঞ্জ

সোমবার পহেলা বৈশাখ। বাংলা সনের প্রথম দিন। ১৪২০ সনকে পেছনে ফেলে সাদের মত জেলাবাসীও ১৪২১ সনকে স্বাগত জানিয়েছে। জরা জির্ণতাকে মুছে দিয়ে নতনকে বরণ করতে জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন আয়োজন করে নানা কর্মসূচি।
সোমবার সকাল ৭টা থেকে পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ি গ্রীণভিউ উচ্চ বিদ্যালয়ে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ জমায়েত হতে থাকেন। বাঙালির চিরায়ত পোশাকে বর্ণিলসাজে ছোট বড় সকলের মঙ্গলশোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। ঘর ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন উৎসব প্রিয় হাজার হাজার মানুষ। প্রশাসন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন এনজিও ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যরা ব্যানার, ফেস্টুন, চিরায়ত লোক ঐতিহ্যবাহী পাল্কী, গরু গাড়ি, ঘোড়াগাড়ি নিয়ে মঙ্গলশোভাযাত্রায় অংশ নেন। 
সকাল ৮টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ৈর সামনে থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল ওদুদ, জেলা প্রশাসক সরদার শরাফত আলী, পুলিশ সুপার বশির আহম্মদ পিপিএম, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান রুহুল আমিনসহ সকলের অংশগ্রহণে শুরু হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। শহরের প্রধান সড়ক গুলো প্রদক্ষিণ শেষে গ্রীণভিউ স্কুলের পার্শ্বে আম্রকাননে শেষ হয় শোভাযাত্রা। এরপর সেখানে নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে শুরু হয় প্রভাতি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। জেলা শিল্পকলা একাডেমীর শিল্পীদের অংশগ্রহণে বর্ষবরণের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সবাইকে মুগ্ধ করে। “এসো হে বৈশাখ এসো এসো” কবি গুরুর এই অমর সঙ্গিতের মুর্ছনায় আম্রকানন হয়ে ওঠে মুখোরিত।
এর পর দুপুরে কারাগার, হাসপাতাল, সরকারি-বেসরকারি শিশু পরিবার ও এতিমখানায় উন্নতমানের ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবার পরিবেশন করা হয়।
বিকেলে হরিমোহন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ৫ দিন ব্যাপী বৈশাখী মেলার উদ্বোধন করা হয়। মেলা মঞ্চে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের অংশগ্রহণে প্রতিদিন বিকাল ৪ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত আয়োজন করা হয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের।
এদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সাধারণ পাঠাগারেও ছিল বর্ষবরণের নানা আয়োজন, চিড়া,দই মিষ্টি খেয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নেন সদস্যরা। সেই সাথে সকাল থেকেই পাঠাগার চত্বরে গান, কবিতা আবৃত্তি, নাচ, আলকাপ গানের আয়োজন করা হয়। অপর দিকে নবাবগঞ্জ ক্লাব চত্বরে দই চিড়া আর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে প্রথম আলো বন্ধু সভা ও জাগোনারী বহ্নিশিখা।