খুলনায় ইউপি সদস্য খুনের পর ‘ঘাতক’ ‘ক্রসফায়ারে’
খুলনায় এক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য খুন হওয়ার
পর সন্দেহভাজন এক খুনি পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।
দুর্বৃত্তদের হামলায় নিহত শহীদুল ইসলাম ডুমুরিয়া উপজেলার ধামালিয়া
ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ছিলেন। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব
পালনকারী শহীদ আওয়ামী লীগের সমর্থক ছিলেন।
পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে
নিহতের নাম সোহান। শহীদ হত্যাকাণ্ডের পর জনতা তাকে ধরে পুলিশে দিয়েছিল।
খুলনা জেলার সহকারী পুলিশ সুপার
আব্দুল কাদের বেগ জানান, শুক্রবার রাতে ডুমুরিয়া উপজেলার টোলনা গ্রামে শহীদকে
হত্যার পর সোহানকে ধরে আনার পথে শাহপুরে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সে নিহত হয়।
কাদের বেগ বলেন, রাতে শহিদুল নিজ
বাড়ির পুকুরঘাটে এলে সোহানসহ ৩/৪ জন যুবক তাকে গুলি করে।
গুরুতর অবস্থায় শহিদুলকে খুলনা
মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
গুলি করে পালানোর সময় এলাকাবাসীর
হাতে একটি পিস্তলসহ সোহান ধরা পড়েন বলে পুলিশ জানিয়েছে। রাতেই পুলিশ সোহানকে নিয়ে
তার সহযোগীদের ধরতে শাহপুরে অভিযান চালায়।
সহকারী পুলিশ সুপার বলেন, “এ সময়
সোহানের সহযোগীরা খবর পেয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায় এবং গুলি ছোড়ে। এক পর্যায়ে
দুপক্ষের গুলিবিনিময়ে গুলিবিদ্ধ হন সোহান।”
সোহানকে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে
নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, দুটি
শটগান ও চারটি বোমা উদ্ধারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।
গোলাগুলিতে আল-মামুন ও ইসরাফিল
নামে দুই কনস্টেবলও আহত হয় বলে জানায় পুলিশ। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে
পুলিশ কর্মকর্তা ফরিদ বেগ জানান।