রাজশাহীতে বোমা হামলায় আহত পুলিশ সদস্যের মৃত্যু
রাজশাহীতে
বৃহস্পতিবার পুলিশের গাড়িতে ১৮ দলের নেতা-কর্মীদের বোমা হামলায় আহত পুলিশ সদস্য সিদ্ধার্থ
চন্দ্র সরকার মারা গেছেন। গুরুতর আহত সিদ্ধার্থ
চন্দ্র সরকারকে
চিকিৎসকদের পরামর্শে হেলিকপ্টারে করে তাৎক্ষণিক ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক
হাসপাতালে নেওয়া হলেও তাকে বাঁচানো
গেল না।
রাজশাহী নগরে ১৮-দলীয় জোটের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ শেষে ফেরার পথে
সিদ্ধার্থসহ তাঁর সহকর্মীদের
বহনকারী গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালিয়েছেন বলে পুলিশ সূত্র জানায়। এতে
সিদ্ধার্থসহ নয়জন পুলিশ সদস্য আহত হন। এ
ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৩৩ জনকে আটক করা
হয়েছে।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন আনন্দ কুমার সাহা, আসাদুজ্জামান, শাহরিয়ার, তৌহিদুল ইসলাম, রায়হান, রাফি, আবদুল মজিদ ও সোহেল। তাঁদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন আনন্দ কুমার সাহা, আসাদুজ্জামান, শাহরিয়ার, তৌহিদুল ইসলাম, রায়হান, রাফি, আবদুল মজিদ ও সোহেল। তাঁদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, সিদ্ধার্থের বাড়ি রংপুরের কাউনিয়ায়। তাঁর স্ত্রী দীপ্তি রানী সরকারও পুলিশ বাহিনীতে কর্মরত।
পুলিশের
বোয়ালিয়া জোনের সহকারী কমিশনার সাইফুল ইসলাম
বলেন, হামলার পর গাড়িতে লোহার পেরেক, মাছ ধরার
জালে ব্যবহূত লোহার কাঠি, পাথরের
টুকরা ও টিনের কুচি ইত্যাদি পাওয়া গেছে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার
অসীম সরকার জানান, পুলিশের
সদস্য সিদ্ধার্থের বুকের ডান পাশে ফাঁক হয়ে ফুসফুস বেরিয়ে
গেছে। এ ধরনের অস্ত্রোপচার করার যন্ত্রপাতি
এখানে না থাকায় তাঁকে ঢাকায় পাঠানোর
পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া
তৌহিদের দুই চোখে বোমার স্প্লিন্টার ঢুকে
গেছে। তাঁর চোখে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। শাহরিয়ারের চোখ থেকে টিনের টুকরো অপসারণ করা হয়েছে। বোমায়
আসাদুজ্জামান বাহু ও পিঠ, সোহেল বাঁ হাত ও আনন্দ মাথায় আঘাত পেয়েছেন।
ঘটনার সময় পুলিশের গাড়িতে থাকা কনস্টেবল আলমগীর বলেন, বোয়ালিয়া জোনের সহকারী কমিশনার সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে দুটি গাড়িতে তাঁরা টহল দিচ্ছিলেন। সামনের গাড়িতে সহকারী পুলিশ কমিশনারসহ ১০ জন এবং ট্রাকে তাঁরা ১৪ জন পুলিশ সদস্য ছিলেন। দুটি গাড়ি হেতেমখাঁ মোড় হয়ে মালোপাড়া মোড়ের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় মিছিল শেষে ফিরে যাচ্ছিলেন ১৮ দলের নেতা-কর্মীরা। গাড়িটি রাজাহাতা এলাকার লোকনাথ স্কুলের মোড়ে পৌঁছলে ট্রাকে একটি শক্তিশালী বোমা এসে পড়ে। বোমাটি সিদ্ধার্থের বুলেটপ্রুফ জ্যাকেটের ওপর পড়ে বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। তবে আলমগীর ট্রাকের পেছনের দিকে থাকায় তাঁর দেহে আঘাত লাগেনি।
ঘটনার সময় পুলিশের গাড়িতে থাকা কনস্টেবল আলমগীর বলেন, বোয়ালিয়া জোনের সহকারী কমিশনার সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে দুটি গাড়িতে তাঁরা টহল দিচ্ছিলেন। সামনের গাড়িতে সহকারী পুলিশ কমিশনারসহ ১০ জন এবং ট্রাকে তাঁরা ১৪ জন পুলিশ সদস্য ছিলেন। দুটি গাড়ি হেতেমখাঁ মোড় হয়ে মালোপাড়া মোড়ের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় মিছিল শেষে ফিরে যাচ্ছিলেন ১৮ দলের নেতা-কর্মীরা। গাড়িটি রাজাহাতা এলাকার লোকনাথ স্কুলের মোড়ে পৌঁছলে ট্রাকে একটি শক্তিশালী বোমা এসে পড়ে। বোমাটি সিদ্ধার্থের বুলেটপ্রুফ জ্যাকেটের ওপর পড়ে বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। তবে আলমগীর ট্রাকের পেছনের দিকে থাকায় তাঁর দেহে আঘাত লাগেনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিক্ষোভে অংশ নিতে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে
নগরের ভুবনমোহন পার্কে জড়ো হচ্ছিলেন ১৮ দলের
সমর্থকেরা। লোকনাথ
স্কুলের সামনে একটি অটোরিকশার কাচ ভাঙচুরকে
কেন্দ্র করে পুলিশ কয়েকজনকে আটক করে। এ
খবর জোটের নেতা-কর্মীদের মধ্যে
জানাজানি হলে সমাবেশে কিছুটা উত্তেজনা দেখা দেয়। সমাবেশ শেষে একটি মিছিল
গরের সোনাদিঘী, সাহেববাজার জিরো পয়েন্ট, গণকপাড়া ও
মালোপাড়া ঘুরে পার্কে গিয়ে শেষ হয়। সেখান থেকে ফেরার পথে দুপু সাড়ে ১২টার
দিকে নগরের রাজাহাতা মোড়ে পুলিশের ট্রাকের
সামনের দিক দিয়ে একটি বোমা ছুড়ে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে
যায়। ট্রাকে বোমাটি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়।
নগরের
বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
(ওসি) বলেন, সব মিলিয়ে ৩৩ জনকে আটক করা হয়েছে। থানায় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, ‘আমাদের মিছিলে কর্মসূচি
শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয়েছে। পুলিশের গাড়িতে কারা হামলা চালিয়েছে, জানি না। ২৯ ডিসেম্বরের কর্মসূচি বাধাগ্রস্ত
করতে সরকারের এজেন্টরা এটি করতে পারে।’