চেক ডিজঅনার মামলায় জেলা বিএনপির সদস্য সচিবের এক বছরের কারাদণ্ড
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. জহির জামান (জনি) এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
দন্ডপ্রাপ্ত রফিকুল ইসলাম চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার প্রফেসরপাড়ার আবুল কালাম আজাদের ছেলে।
বাদি পক্ষের আইনজীবী মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ২০১৩ সালের ২৭ মার্চ মামলাটি দায়ের করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার রামকৃষ্টপুরের বাসিন্দা মো. হাম্মাদ আলী। বাদী তাঁর আরজিতে উল্লেখ করেন, ব্যবসার জন্য হাম্মাদ আলীর কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা ধার নেন বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম। কিছুদিনের মধ্যে টাকাগুলো ফেরত দেয়ার কথা থাকলেও তা দিতে তিনি গড়িমশি করেন। একপর্যায়ে ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারী হাম্মাদ আলীকে ১০ লাখ করে মোট ৪০ লাখ টাকা চারটি চেক প্রদান করেন রফিক। পরে হাম্মাদ আলী চেকগুলো জমা দিলে পর্যান্ত টাকা না থাকায় ব্যাংক সেগুলো প্রত্যাখান করে ডিজঅনার সনদ প্রদান করে। ব্যবসায়ী হাম্মদ আলী টাকা না পেয়ে ওই সালেরই ৭ ফেব্রুয়ারি লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করেন রফিককে। এরপরেও টাকা না দেয়ায় বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। দীর্ঘ শুনানী ও স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে প্রায় সাড়ে ১২ বছর পর আদালতের বিচারক রায় ঘোষণা করেন।
এদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী আব্দুর রাজ্জাক খান বলেন, ‘চেক ডিজঅনার মামলায় ব্যবাসী রফিকুল ইসলাম ওরফে চাইনিজ রফিককে ১ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেছেন আদালতের বিচারক। একই সঙ্গে তাকে চেকে বর্ণিত সমপরিমাণ টাকার জরিমানা করা হয়। আইনী লড়াই করতে হলে অবশ্যই আপিল করতে হবে। তবে তিনি এই রায়ের বিপক্ষে আপিল করবেন কি-না এখনও আমাকে নিশ্চিত করেন নি।’
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. জহির জামান (জনি) বলেন, হাম্মাদ আলী নামে এক ব্যবসায়ী ১৮৮১ সালের হস্তহান্তর যোগ্য দলিল আইনে ১৩৮ ধারায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ মামলায় জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক রফিকুল ইসলামকে ১ বছরের কারাদণ্ড ও ৪০ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন। রায় ঘোষণার সময় তিনি অনুপস্থিত ছিলেন ।
রায়ের ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম ন্যায় বিচার না পাওয়ায় তিনি উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানান।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ / নিজস্ব প্রতিবেদক / ২১ অক্টোবর ২০২৫