ভারতীয় আগ্রাসন প্রতিরোধে ঢাকা থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জে লংমার্চ ও জেয়াফত




ভারতীয় আগ্রাসন প্রতিরোধ ও  ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলিতে সকল নিহতের আত্নার মাগফেরাত কামনায় ঢাকা থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ লংমার্চ এবং সামাজিক জেয়াফত (ভোজসভা) করেছেন ‘বাংলাদেশের জনগণ’ নামের একটি সংগঠন।
রোববার সকাল থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ সরকারি মডেল হাইস্কুলে জেয়াফত উপলক্ষে গরু জবাই করে ভোজনের আয়োজন করা হয়। দিনব্যাপী সেখানে নানা আয়োজন করা হয়।
'বাংলাদেশের জনগণ' নামের একটি সংগঠন এই লংমার্চ ও সামাজিক জেয়াফতের আয়োজন করে।
এদিকে দুপুরে মিছিলের সামনে একটি গরু নিয় মিছিল বের করা হয়। এসময় সবার হাতে হাতে ভারতবিরোধী ও আগ্রাসনের প্রতিবাদ স্লোগান লেখা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করতে দেখা যায়।
মিছিলটি শিবগঞ্জ পৌর এলাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে পাইলিং মোড়ে আমবাগানে সমাবেশে মিলিত হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশের জনগণ সংগঠনের মুখপাত্র আবু মোস্তাফিজ, আমজনতার নেতা মাসুদ জাকারিয়া, শহিদুল হক মিন্টু, তারেক রহমান, কর্ণেল অবসরপ্রাপ্ত মিয়া মশিউজ্জামান, হেফাজতের রাজশাহী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ইমরান উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি আতিকুর রহমান, প্রচার সম্পাদক নাইমুল হাসান ও হেফাজতের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখা সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান মোহাম্মদ ইসহাক প্রমুখ। সমাবেশে বক্তারা বলেন, কাঁটাতারে ঝুলন্ত শুধু ফেলানীর লাশের ছবি নয়, এই ছবি যেন কাঁটাতারে বিদ্ধ বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব। বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির ফল ফেলানীসহ অসংখ্য ভাইবোন বিএসএফের হাতে হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছেন। তাই নতজানু পররাষ্ট্রনীতি ও রাজনীতিকদের ভারত তোষণনীতির বিরুদ্ধে আমাদের এই লংমার্চ তীব্র ধিক্কার।
বক্তারা আরো বলেন, ফারাক্কা বাঁধ দিয়ে ভারত আমাদেরকে পানির ন্যায্য প্রাপ্য থেকেও বঞ্চিত করেছে। এভাবে আর চলতে দেয়া হবে না। ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দেশের মানুষ এখন সোচ্চার হয়েছে। আগামী দিনে ভারতীয় যেকোনো আগ্রাসন প্রতিরোধ করা হবে।
বাংলাদেশের জনগণ সংগঠনের প্রতিনিধি ওয়ারেছুল ইসলাম নাসির জানান, ফারাক্কার ন্যায্য পানির হিস্যা এবং ভারতীয় আগ্রাসন প্রতিরোধে সীমান্তের নাগরিকদের সচেতন, সজাগ ও উদ্বুদ্ধ করতেই এই লংমার্চের আয়োজন করা হয়েছে। সীমান্তের সকল নাগরিকদের সচেতন করা হচ্ছে। আমরা পুরো দেশের নাগরিকরা সীমান্তবাসীর সঙ্গে রয়েছি। পাশাপাশি সীমান্তে সকল ধরনের আগ্রাসন ও হত্যা বন্ধের হুঁশিয়ারিও দেন তারা।
এ সময় লংমার্চ ও সামাজিক জেয়াফতে অংশগ্রহণকারীরা ‘কাঁটাতারের ফেলানী আমরা তোমাকে ভুলিনি’, ‘ভারতীয় আগ্রাসন রুখে দাও জনগণ, ‘সীমান্তে হত্যা বন্ধ করো, করতে হবে’, ‘বেশি করে গরু খান, আগ্রাসন রুখে দেন’, ‘দিল্লি না, ঢাকা ঢাকা ঢাকা’, ‘ভারতের দালালেরা হুঁশিয়ার সাবধান’-সহ নানান ধরনের স্লোগান দিতে থাকে।
এর আগে, শনিবার দিবাগত মধ্যরাতে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে লংমার্চ শুরু হয়। লংমার্চটি সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ মডেল সরকারি হাই স্কুলে পৌঁছায়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ / নিজস্ব প্রতিবেদক / ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫