চাঁপাইনবাবগঞ্জে হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড



চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটে এক নারীকে ধর্ষণের পর গলা কেটে হত্যার দায়ে তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।
বুধবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ নারী ও শিশু দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক এবং সিনিয়র 
জেলা ও দায়রা জজ নরেশ চন্দ্র সরকার আসামীর উপস্থিতে এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জেলার ভোলাহাট উপজেলার বালুটুংগী গ্রামের মৃত গামজাদের ছেলে জাক্কার, একই গ্রামের মৃত- মিয়ারুদ্দিনের ছেলে মুনসুর আলী ও মুশরীভূজা গ্রামের আঃকরিমের ছেলে মো. মফিদুল ইসলাম ওরফে সহিরুল।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এনামুল হক- মামলার বরাত দিয়ে জানান, ভোলাহাট উপজেলার ঘাইবাড়ি গ্রামের মৃত এন্তাজ আলীর মেয়ে সেমালী খাতুন ওরফে কান্দুনী (৪৫) প্রতিদিনের ন্যায় ২০২০ সালের ১৭ আগস্ট সকাল ১১ টার দিকে বাড়ি হতে রাঙ্গামাইট্যা বিলে গরু ও ছাগলের জন্য ঘাস কাটতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। পরের দিন ধান ক্ষেত থেকে মাথা বিহীন রক্ত মাখা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ১৮ আগস্ট নিহতের কন্যা শারাবনী বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে ভোলাহাট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা  ভোলাহাট থানার পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন জাক্কার, মফিদুল ও মুনসুরকে অভিযুক্ত করে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
 মামলার দীর্ঘ শুনানী শেষে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নরেশ চন্দ্র সরকার জাক্কার ও মো. মফিদুল ইসলাম ওরফে সহিরুলকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ এর ৯(৩) ধারায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন। একই সঙ্গে আসামি মুনসুর আলীকে ৩০২ ধারায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং এই তিনকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ২০১ ধারায় ৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৬ মাস সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।
 রায়ে সকল সাজা এক সঙ্গে চলবে উল্লেখ করা হয়। 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ / নিজস্ব প্রতিবেদক / ০৩ জুলাই, ২০২৪