চাঁপাইনবাবগঞ্জে পিঠা উৎসবে মেতেছে শিক্ষার্থীরা



পিঠার নাম শুনলেই জিভে জল আসে না এমন বাঙালি পাওয়া যাবে না। বিশেষ করে শীতে পিঠা বাঙালির জীবন ও সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। সেই ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে এবং পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে তা ছড়িয়ে দিতে নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের আয়োজন করেছে পিঠা উৎসবের। 
বুধবার সকালে নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজে মাঠে 
 পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য আব্দুল ওদুদ। 
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. সৈয়দ মোঃ মোজহারুল ইসলাম তরু, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন আখতার, কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোঃ আমিনুল ইসলাম, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক দুরুল হোদা, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফরহাদ আহমেদ।



নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের আয়োজনে  এবারের উৎসবে হাঁরঘে হাইস্যাল ঘর, পিঠাওয়ালির পিঠা ঘর, নেশার পিঠা, পিঠাপুলির বাড়ি, পৌষ পিঠা ঘর, পিঠের হাঁড়ি, হাঁরঘে সাধের পিঠা ঘর, রসায়ন পিঠা ঘর, মর্ডান হট ধুপি স্টোর, পিঠার আড্ডাসহ ৪০টি স্টলে প্রায়  ৫০ পদের বেশি পিঠা নিয়ে হাজির হয়েছেন কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। 
দিনব্যাপী চলা পিঠা উৎসবের মধ্যে রয়েছে —ভাপা পিঠা, তাল পিঠ, তিল পিঠা, তেল পিঠা, লাভপুডিং, নকশা পিঠা, শিউলি ফুল পিঠা, পুরি পিঠা, বিবিখানা পিঠা, মালপোয়া, চুটকি পিঠা, নারিকেল নাড়ু, চানাচুর নাড়ু, চিতই পিঠ,তেল পিঠা, পাটিসাপ্ট পিঠা, আলুর জিলাপিসহ দুধ, খেজুর রস ও গুড়ের রস দিয়ে বানানো বাহারি রকমের পিঠা। 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ড. প্রফেসর সৈয়দ মোজহারুল ইসলাম তরু শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা দেখে খুবই মুগ্ধ। প্রথমবারের মতো এ পিঠা উৎসবে শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের অভূতপূর্ব সাড়া পেয়ে বিস্মিত।

অধ্যক্ষ মোজাহারুল ইসলাম তরু বলেন, অসাধারণ! প্রথমবারের মতো কলেজে অনুষ্ঠিত এ পিঠা উৎসবে শিক্ষার্থীরা উৎসবে মেতেছে। স্থানীয়রাও আমাদের ডাকে সাড়া দিয়ে কলেজে উপস্থিত হয়ে স্টল থেকে পিঠা কিনে খাচ্ছে। অপ্রচলিত ভিন্ন স্বাদেও পিঠা খেয়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ সবাই।
তিনি বলেন, বাঙালির ঐতিহ্য আর সংস্কৃতিতে সকলের মাঝে তুলে ধরতে এ পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। প্রতিবছরই এসব অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ / নিজস্ব প্রতিবেদক / ১৭ জানুয়ারি, ২০২৪