বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা দর্শন মানব জাতির জন্য অমূল্য সম্পদ


জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর শাসনামলে শিক্ষক ও শিক্ষাবিদদের যথার্থ সম্মান দিয়ে উপযুক্ত পদে পদায়ন করেছেন, মূল্যায়ন করেছেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক পদে শিক্ষাবিদরা থাকবেন এটা শিক্ষকরা প্রত্যাশা করেছিলেন। তিনি এ প্রত্যাশাও পূরণ করেছেন। বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে এসে দেশবরণ্য শিক্ষাবিদ ড. মুহাম্মদ কুদরাত-এ-খুদার নেতৃত্বে ১৯ বিশিষ্ট জাতীয় শিক্ষা কমিশন গঠন করেন। ১৯৭২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর এই কমিশনের কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। তাঁর শিক্ষা দর্শন তো শুধু বাংলাদেশ নয়- সারাবিশ্বের জন্য অনুসরণীয়। তবে তাঁর শিক্ষা দর্শন মানব জাতির জন্য অমূল্য সম্পদ। 
এছাড়াও সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বায়ত্বশাসন প্রদান, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন ও ইসলামী ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা তার শিক্ষাদর্শনেরই প্রতিফলন।
নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের এনএম খান মিলনায়তনে আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাদর্শন : শিক্ষা ও শিক্ষকদের উন্নয়নে তাঁর অবদান’ শীর্ষক এক সেমিনারে এসব কথা বলেন বক্তারা। কলেজটির রাষ্টবিজ্ঞান বিভাগ এই সেমিনারের আয়োজন করে।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকার সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ড. ডি.এম. ফিরোজ শাহ। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন; বঙ্গবন্ধু শুরুতে রাজনীতিবিদ থেকে রাষ্ট্রনায়ক পরিচয়ে পরিচিত হলেও এখন তিনি সমাজসংস্কারক এবং শিক্ষাবিদ। জাতীয় শিক্ষা কমিশন গঠন, শিক্ষার গতিধারা নির্ধারণ, শিক্ষা ও সমাজকে দুর্নীতিমুক্তকরণ, শিক্ষাকে সুসংহত করার জন্য সহযোগী প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব।
সেমিনারে আরো বক্তব্য দেন, জেলা প্রশাসক এ কেএম গালিভ খাঁন, নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. শংকর কুমার কুন্ডু, নবাবগঞ্জ সরকরি কলেজের রাষ্টবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. আ জ ম রুহুল কাদীর, নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক দুরুল হোদা। সেমিনার সঞ্চালনা করেন রাষ্ট বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফরহাদ আহমেদ।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ / নিজস্ব প্রতিবেদক / ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩