বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীরের ৫০তম শাহাদত বার্ষিকী আজ।
চপাইনবাবগঞ্জকে শত্রুমুক্ত করতে গিয়ে ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকবাহিনীর সাথে সম্মুখযুদ্ধে মারা যান তিনি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরকে শত্রুমুক্ত করতে ১৪ ডিসেম্বর ভোররাতে ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীর তার বাহিনীকে ভাগ করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহর দখলের জন্য আক্রমণ শুরু করেন। তিনিও একটি ছোট নৌকা নিয়ে মহানন্দা নদী পার হয়ে রেহাইচর গ্রামে অবস্থান নিয়ে তুমুল লড়াইয়ের মুখোমুখি হন শত্রুদের সঙ্গে। এ সময় ধ্বংস করে দেন শত্রু বাহিনীর ১৮টি ট্রেঞ্চ ও ২০ থেকে ২২টি বাংকার। এক পর্যায়ে একটি গুলি এসে তার কপালে লাগলে ঘটনাস্থলে মারা যান তিনি। পরে ১৫ ডিসেম্বর বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীরকে ঐতিহাসিক ছোট সোনামসজিদ প্রাঙ্গণে সমাহিত করা হয়।
বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীরের শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে সকালে রেহাইচরে শাহাদতস্থলে পতকা উত্তোলন ও স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান ও দোয়া করা হবে। এছাড়াও সোনামসজিদ প্রাঙ্গনে সমাধিস্থলের কাছে দোয়া ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছে জেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ মুক্ত করতে গিয়ে শহীদ হওয়া এই বীর সন্তানের নামে পরবর্তীতে ৩টি কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায়। মহানন্দা নদীর উপর নির্মিত ব্রীজটির নামকরণ করা হয় বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সেতুর। ব্রীজ চত্বরে বারঘরিয়া নামক স্থানে শহীদদের স্মরণে একটি স্মৃতি স্তম্ভও তৈরী করা হয়। একটি পিস্তলের উপর ২টি শান্তির পায়রা খঁচিত স্তম্ভটি কালের সাক্ষি হয়ে থাকবে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে। অনেক পরে হলেও ২০১১ সালে বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের শহীদ স্থলে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ১৪ ডিসেম্বর, ২০২১