চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৪৪০টি ঈদগাহে অনুষ্ঠিত হবে ঈদ জামায়াত


করোনাভাইরাসের মহামারির মধ্যে আবারও এসেছে মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। বাঙালি সমাজে ‘কোরবানির ঈদ’ নামেও পরিচিত এই উৎসব। যুগ যুগ ধরে এই ঈদ ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর করে আসছে। বুধবার সকালে ঈদের নামাজ শেষে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে পশু কোরবানি করবেন সামর্থ্যবান মুসলমানরা। কিন্তু মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে ঈদকে ঘিরে যে আনন্দ-উচ্ছ্বাস থাকার কথা তা অনেকটাই ম্লান করে দিয়েছে বৈশ্বিক অতিমারি।
করোনা মোকাবিলায় ও সংক্রমণ বিস্তার রোধকল্পে গত বছরের মতো এই ঈদেও সরকারের নির্দেশনায় শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের প থেকে ঈদের জামাত শেষে কোলাকুলি এবং হাত মেলানো থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক আবুল কালাম জানান, ঈদগাহে নামাজ আদায়ের নির্দেশনা থাকলেও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের জামায়ামত অনুষ্ঠিত হবে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় এবার ৪৪০টি ঈদগাহে অনুষ্ঠিত হবে ঈদের জামায়াত। তার মধ্যে প্রধান জামায়াত অনুষ্ঠিত হবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পুরাতন স্টেডিয়ামে। স্বাস্থ্যবিধি মানার কারণে অনেক ঈদগাহে একাধিক জামায়াত অনুষ্ঠত হবে বলে তিনি জানান।
করোনা মোকাবিলায় ও সংক্রমণ বিস্তার রোধে ঈদুল ফিতরের মতো বতর্মান করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ১২ জুলাই জারীকৃত বিজ্ঞপ্তি অনুসরণপূর্বক যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে পবিত্র ঈদুল আযহার নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদের খতিব-ইমাম, ধর্মপ্রাণ মুসল্লী ও সংশিষ্ট সকলকে অনুরোধ করা হয়েছে।
যথাযথ ধর্মীয় মর্যদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে রাজধানীসহ সারাদেশে মুসলিম সম্প্রদায় ঈদুল আজহা উদযাপন করবে। মহান আল্লাহর অপার অনুগ্রহ লাভের আশায় ঈদুল আজহার জামাত শেষে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা সামর্থ অনুয়ায়ি পশু কোরবানি করবেন। কুরবানিকৃত পশুর রক্ত বা বর্জ্য পদার্থ দ্বারা যাতে পরিবেশ দুর্গন্ধময় না হয় সে বিষয়ে খেয়াল রাখার জন্য সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রায় চার হাজার বছর আগে আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি লাভের জন্য হজরত ইব্রাহিম (আ.) নিজ পুত্র হজরত ইসমাইলকে (আ.) কোরবানি করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু পরম করুণাময়ের অপার কুদরতে হজরত ইসমাইল (আ.)-এর পরিবর্তে একটি দুম্বা কোরবানি হয়ে যায়। হজরত ইব্র্রাহিম (আ.)-এর ত্যাগের মহিমার কথা স্মরণ করে বিশ্বব্যাপী মুসলিম সম্প্রদায় জিলহজ মাসের ১০ তারিখে আল্লাহ পাকের অনুগ্রহ লাভের আশায় পশু কোরবানি করে থাকেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/  ২১ জুলাই, ২০২১