বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দুর্গোৎসব

প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দুর্গোৎসব।  সোমবার সকাল ৯টা ৫৭ মিনিট থেকে দশমী বিহিত পূজার লগ্ন শুরু হয়। সেই লগ্নে দশমীর বিহিত পূজা শেষে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজার ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়।
এদিকে দশমীর বিহিত পূজা শেষে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা চাঁপাইনবাবগঞ্জে  বিভিন্ন মন্দির থেকে মহানন্দা, পাগলা, পুনর্ভবা ও পদ্মা নদীসহ বিভিন্ন পুকুরে প্রতিমা বিসর্জন দেন। এবারো পূজা অর্চনার পর ঢাকের তালে বিদায়ের সুর বেজে ওঠে। সন্ধ্যায় ভক্তরা নেচে গেয়ে মহানন্দা, পাগলা, পুনর্ভবা ও পদ্মা নদীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গাকে বিদায় জানান। শহরের হুজরাপুর, কালিতলা, ওয়ালটন মোড়, বড় ইন্দারা মোড়, হাসপাতাল মোড়, উদয় সংঘ মোড়, শিবতলা, বারঘরিয়া ২২ পুতুলসহ বিভিন্ন স্থানে হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। পূজার ধর্মীয় আচারে কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি।
এ দিকে জেলার মন্দিরে গিয়ে দেখা গেছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে নারীরা সিঁদুর দিয়ে দেবী দুর্গাকে বিদায় দিচ্ছেন ও সিঁদুর খেলায় মেতে উঠেছেন। সেই সাথে জেলার বিভিন্ন পূজা মণ্ডপে গিয়ে দেখা গেছে, নারীরা দেবী দুর্গাকে সিঁদুর দিয়ে বিদায়ের পাশাপাশি আনন্দে মেতে উঠেছেন। তবে দেবী দুর্গাকে বিদায়ের ক্ষণে তাঁদের মধ্যে ছিল দুঃখ।
পুরাণ মতে, মহিষাসুরের সঙ্গে ৯ দিন ৯ রাত যুদ্ধের পর দশম দিনে জয়ী হন দেবী দুর্গা। এজন্যই বিজয়া। সেই লোকাচার বাংলার ঘরে ঘরে সিঁদুর খেলা হিসেবে পরিণত হয়েছে। সিঁদুর খেলার পাশাপাশি চলে কোলাকুলিও। তবে করোনা মহামারির কারণে এবার কোলাকুলি হয়নি।
গত ২২ অক্টোবর ষষ্ঠী বিহিত পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হয় পাঁচ দিনের দুর্গাপূজা। এবার দেবীর আগমন ঘটেছিল দোলায়। ভক্তদের অঞ্জলি আরতি গ্রহণ করে আজ গজে বিদায় নিলেন দেবী দুর্গা। গজে বিদায়ের তাৎপর্য হলো ‘শস্যপূর্ণ বসুন্ধরা’, অর্থাৎ ফলে-ফসলে সমৃদ্ধ হবে দেশ।
এবারের পূজায় বেশ কিছু বিধি-নিষেধ প্রদান করা হয়েছিল। মণ্ডপে দর্শনার্থীদের উপস্থিতি সীমিত করা ও সন্ধ্যায় আরতির পরই বন্ধ করে দেওয়া হয় পূজামণ্ডপ। ছিল না সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ধুনুচি নাচের প্রতিযোগিতা। জনসমাগমের কারণে স্বাস্থ্যবিধি যাতে ভঙ্গ না হয় সেদিকে খেয়াল রেখেই প্রসাদ বিতরণ ও বিজয়া দশমীর শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ করা হয়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ২৬-১০-২০