প্রবাসে বন্ধু, দেশে অপহরণকারী
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাট রানীনগর গ্রামের রুমন আলী (৩২) আর বগুড়ার কাহালু উপজেলার আব্দুস সবুব (৩৮)। শ্রমিক হিসেবে মালয়েশিয়াতে গিয়ে দু’জনের পরিচয়। পরিচয় থেকে বন্ধুত্ব। প্রবাস জীবন শেষে দেশে ফিরে বন্ধুত্বের রেশ ধরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে এসে অপহরণের শিকার হন সবুর। অপহরণকারী খোদ প্রবাসের বন্ধু রুমন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশের উপ পরিদর্শক আবু আব্দুল্লাহ জাহিদ জানান, মালয়েশিয়াতে কর্মজীবন শেষে প্রায় চার বছর আগে সবুর দেশে ফিরে আসলেও তাদের বন্ধুত্বের সর্ম্পক বাজায় ছিল। দেশে এসে ঢাকায় ব্যবসা শুরু করা সবুর রুমনের বাড়িতে বগুড়ার দই পাঠালে রুমনের পরিবার থেকে সবুরের পরিবারে পাঠানো হতো চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম। রুমন কিছুদিন আগে দেশে ফিরে আসলে বন্ধুত্বের জেরে সবুরকে তার বাড়ি বেড়াতে আসার আমন্ত্রণ জানায়। সেই আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে গেল ১৬ ডিসেম্বর বন্ধুর বাড়ির উদ্দেশ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ এসে অপহরণের শিকার হয়। পরে বেরিয়ে আসে অপহরণকারী আর কেউ নয় প্রবাস জীবনের বন্ধু রুমন।
তিনি জানান, সবুর কানসাটে পৌছলে পুর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী রুমন তার কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে সবুবকে অপহরণ করে কানসাট রানীনগরের একটি আখ ক্ষেতে বেঁধে রাখে। পরে দু’টি বাড়িতে চার দিন আটকে রেখে সবুরের ব্রাক ব্যাংকের এটিএম কার্ড দিয়ে দু’ লাখ ৩৫ হাজার টাকা তুলে নেয়। পরে সবুরের ফোন ব্যবহার করে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। অপহরণ ও চাঁদা দাবির ঘটনার পর সবুরের স্বজনরা চাঁপাইনবাবগঞ্জ পুলিশের স্মরণাপন্ন হলে পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে গেল ২১ ডিসেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুরের নন্দীপুর থেকে সবুরকে উদ্ধার করা হয়। এসময় আটক করা হয়, অপহরণ চক্রের সঙ্গে জড়িত রুমনের বন্ধু সুমন রেজাকে। গতকাল সোমবার সুমন রেজা সোপার্দ করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সুমনের জবানবন্দিতে অপহরণের চাঞ্চল্যকর এই তথ্য বেরিয়ে এসেছে। অপহরণ চক্রের অন্য সদস্যদের আটকে পুলিশের অভিযান অব্যহত রয়েছে’।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ২৩-১২-১৯
চাঁপাইনবাবগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশের উপ পরিদর্শক আবু আব্দুল্লাহ জাহিদ জানান, মালয়েশিয়াতে কর্মজীবন শেষে প্রায় চার বছর আগে সবুর দেশে ফিরে আসলেও তাদের বন্ধুত্বের সর্ম্পক বাজায় ছিল। দেশে এসে ঢাকায় ব্যবসা শুরু করা সবুর রুমনের বাড়িতে বগুড়ার দই পাঠালে রুমনের পরিবার থেকে সবুরের পরিবারে পাঠানো হতো চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম। রুমন কিছুদিন আগে দেশে ফিরে আসলে বন্ধুত্বের জেরে সবুরকে তার বাড়ি বেড়াতে আসার আমন্ত্রণ জানায়। সেই আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে গেল ১৬ ডিসেম্বর বন্ধুর বাড়ির উদ্দেশ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ এসে অপহরণের শিকার হয়। পরে বেরিয়ে আসে অপহরণকারী আর কেউ নয় প্রবাস জীবনের বন্ধু রুমন।
তিনি জানান, সবুর কানসাটে পৌছলে পুর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী রুমন তার কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে সবুবকে অপহরণ করে কানসাট রানীনগরের একটি আখ ক্ষেতে বেঁধে রাখে। পরে দু’টি বাড়িতে চার দিন আটকে রেখে সবুরের ব্রাক ব্যাংকের এটিএম কার্ড দিয়ে দু’ লাখ ৩৫ হাজার টাকা তুলে নেয়। পরে সবুরের ফোন ব্যবহার করে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। অপহরণ ও চাঁদা দাবির ঘটনার পর সবুরের স্বজনরা চাঁপাইনবাবগঞ্জ পুলিশের স্মরণাপন্ন হলে পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে গেল ২১ ডিসেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুরের নন্দীপুর থেকে সবুরকে উদ্ধার করা হয়। এসময় আটক করা হয়, অপহরণ চক্রের সঙ্গে জড়িত রুমনের বন্ধু সুমন রেজাকে। গতকাল সোমবার সুমন রেজা সোপার্দ করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সুমনের জবানবন্দিতে অপহরণের চাঞ্চল্যকর এই তথ্য বেরিয়ে এসেছে। অপহরণ চক্রের অন্য সদস্যদের আটকে পুলিশের অভিযান অব্যহত রয়েছে’।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ২৩-১২-১৯