ওজন জটিলতায় কানসাটে আম বেচা কেনা বন্ধ, পরে সমঝোতা

ওজন নিয়ে জটিলতায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের বৃহত্তর বাজার কানসাটে আড়তে আম বেচা কেনা বন্ধ হয়ে যায়। তবে উভয়পক্ষকে নিয়ে বৈঠকের পর বিষয়টি সমাধান করার পর রাতেই আবারো প্রশাসনের নির্দেশে শুরু হয় আম বেচা কেনা।
আম ব্যবসা সংশ্লিষ্টরা জানান, দীর্ঘদিন ধরেই কানসাট আম বাজারের আড়তগুলো ৪৫ বা ৪৬ কেজিতে মণ হিসাব করে আম কেনা বেচা হয়ে আসছে। কিন্তু এই বছর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৪০ কেজিতে মণ হিসেবেই আম বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শুক্রবার সন্ধ্যায় স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিবগঞ্জ ও কানসাট এলাকায় ৪০ কেজিতে মন আম কেনা বেচার নির্দেশণা জারি করা হয়। এর প্রেক্ষিতে শনিবার আড়ৎদাররা আম কেনা বন্ধ করে দেন। এতে আম নিয়ে বিপাকে পড়ে স্থানীয় আম চাষী ও ব্যবসায়ীরা। আড়তে আম বিক্রি করতে না পেওে অনেকে তা ফেরত নিয়ে যান।
কানসাট আম আড়ৎদার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওমর ফরুক টিপু জানান, এই মৌসুমে সবে কানসাট বাজারে জমে উঠতে শুরু করেছে। আর এমন সময়ে প্রশাসন ৪০ কেজিতে মণ হিসেবে আম বিক্রির যে নির্দেশনা দিয়েছিল, তাতে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হতাম। কারণ অন্য বাজারগুলোতে আগের নিয়মেই অর্থাৎ ৪৫ বা ৪৬ কেজিতে মণ ধনে আম কেনা-বেচা চলছে। তিনি আরো বলেন, জেলার সব বাজাওে যদি একই নিয়ম চালু করা হয়, তবে আমাদের সেই নিয়ম মেনে নিতে কোনো আপত্তি নেই।
ওমর ফরুক টিপু আরও জানান, আদিকাল থেকেই জেলায় কাঁচা মাল বিশেষ করে আম ফল ৪৫/৪৬ কেজিতে এক মন বিক্রি হয়। যা এক রকম নিয়মেই পরিনত হয়েছে।
এদিকে বৃহত্তর কানসাট বাজাওে আম কেনা-বেচা বন্ধ হয়ে গেলে দ্রুত সমস্যা নিরসনে উদ্যোগ নেন উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানসাট আম বাজারে গিয়ে ব্যবসায়ী ও আড়তদারদের সঙ্গে কথা বলেন।
পরে উভয়পক্ষের সম্মতিতে আবারো আগেই নিয়মেই আম কেনা-বেচার সিদ্ধান্ত হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চৌধুরী রওশন ইসলাম জানান, যে নিয়মে আম বেচা-কেনা হলে স্থানীয় চাষী, ব্যবসায়ী ও আড়ৎদারদের সুবিধা হবে সেটাই করা হবে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব বাজাওে একই নিয়ম চালুর উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এসব বিষয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্যই ব্যবসায়ীদেও প্রতি আহ্বান জানান তিনি।


চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ১৬-০৬-১৯