ভোলাহাটে বাবার কবরের পাশে শায়িত হলেন প্রখ্যাত নাট্যকার অভিনেতা মমতাজ উদ্দীন

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটে বাবার কবরের পাশে শায়িত হলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃতিসন্তান, ভাষাসংগ্রামী, প্রখ্যাত নাট্যকার ও অভিনেতা মমতাজ উদ্দীন আহমদ। সোমবার রাত সাড়ে ১০টায় বজারাটেক পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় দেশের এই বরেণ্য সন্তানকে।
রবিবার বিকেলে পৌনে চারটার দিকে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের নাট্য-আন্দোলনের পথিকৃৎ ছিলেন মমতাজ উদ্দীন আহমদ। গুণী এই ব্যক্তির লাশ সোমবার রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটে এসে পৌছে। পৌত্রিক বাড়িতে লাশ এসে পৌছলে পুরো এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে।
স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের নাট্য আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ মমতাজউদদীন আহমদ ১৯৩৫ সালের ১৮ জানুয়ারি চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার হাবিবপুর থানার আইহো গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯৭ সালে নাট্যকার হিসেবে একুশে পদক লাভ করেন।
এছাড়া ঢাকা ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগে খণ্ডকালীন শিক্ষকতা করেছেন। এছাড়া জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচী প্রণয়নে কাজ করেছেন। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরিচালকও ছিলেন।
১৭ বছর বয়সে রাজশাহী সরকারি কলেজের ছাত্রাবস্থায় ভাষা আন্দোলনে যোগ দেন মমতাজউদদীন। বায়ান্নর ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজশাহী সরকারি কলেজে ইট কাদামাটিতে যে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়েছিল তাতে মমতাজউদদীনও ভূমিকা রেখেছিলেন।
মমতাজউদ্দীনের লেখা নাটক 'কী চাহ শঙ্খচিল' এবং 'রাজার অনুস্বারের পালা' কলকাতার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্য তালিকাভুক্ত হয়েছিল। তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার, শিশু একাডেমি পুরস্কার, আলাউল সাহিত্য পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন।
তার রচিত নাটকের মধ্যে 'নাট্যত্রয়ী', 'হৃদয়ঘটিত ব্যাপার স্যাপার', 'স্বাধীনতা আমার স্বাধীনতা', 'জমিদার দর্পণ', 'সাত ঘাটের কানাকড়ি' অন্যতম।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ০৩-০৬-১৯