নাচোলে ছাত্র নির্যাতন ❀ অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ বাবার

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর এক ছাত্রকে অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। গুরুতর আহত হয়ে নির্যাতিত ছাত্র আল ইমরান(১৩) নাচোল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে। তার শরীরে সেলাই দিতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক। অভিযুক্ত শিক্ষক হচ্ছেন ওই বিদ্যালয়ের অঙ্কের শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম (ছোট রফিক)। ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার ওই শিক্ষকের অঙ্ক ক্লাশ নেয়ার সময়। এদিকে আল ইমরানের বাবা মাহিদুর রহমান ছেলে নির্যাতনের ঘটনায় নাচোল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ করলেও ন্যায়বিচার না পেয়ে বাধ্য হয়ে ঘটনার দিনই অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন নাচোল থানার অফিসার ইনচার্জ।
অভিযোগে জানা গেছে, মঙ্গলবার পড়ালেখাকে কেন্দ্র করে আল ইমরানের প্রতি নাচোল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রফিকুল ইসলাম ক্ষুব্ধ হন। একপর্যায়ে তিনি আল ইমরানের মাথা ধরে টেবিলের সঙ্গে ঠুকে দেন। এতে আল ইমরানের থুঁতনি ও দুই ঠোঁটই কেটে যায়। আল ইমরানের শরীর রক্তে ভিজে গেলেও শিক্ষক রফিক কোনোরকম চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে উপরন্তু তাকে জোর করে ছুটি দিয়ে স্কুল থেকে বের করে দেন। রক্তাক্ত অবস্থায় সে বাড়ি পৌঁছলে তার পরিবারের সদস্যরা দ্রুত তাকে নাচোল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এদিকে ইমরানের বাবা খবর পেয়ে দ্রুত হাসপাতালে ছুটে যান।
মাহিদুর রহমান বলেন, ‘ইমরান নানা-নানির বাড়িতে থেকেই লেখাপড়া করত। খবর পেয়ে দ্রুত হাসপাতালে ছুটে যাই এবং ছেলের অবস্থা দেখে হতবিহ্বল হয়ে পড়ি। ন্যায়বিচারের আশায় ঘটনার পরদিন বুধবার দুপুরে নাচোল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে মৌখিকভাবে অবহিত করি। কিন্তু তিনি শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে ওই সময় উপস্থিত স্কুলের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) বাইরুল ইসলামকে ছেলের চিকিৎসা খরচ দেয়ার জন্য বলেন।’ তিনি আরো বলেন, ‘বিচারের আশায় বাধ্য হয়ে নাচোল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।’ অভিযোগ দায়েরের কারণে তাকে মোবাইল ফোনে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ মাহিদুরের। 
এ বিষয়ে সহকারী শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জানান, ছাত্রটি ক্লাশে অমনোযোগী থাকায় শাসন করতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটেগেছে।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বাইরুল ইসলাম জানান, বিষয়টি স্থানীয় ভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে নিস্পত্তি হয়েছে।
নাচোল উপজেলার ভারপ্রাপ্ত মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দুলাল উদ্দিন খান জানান,আধুনিক যুগে শিক্ষার্থীর উপর নির্যাতœন এটি দু:খ জনক। তবে অভিযোগ পেলে শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নাচোল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবিহা সুলতানা জানান, মৌখিক অভিযোগ পাওয়ার পর শিক্ষককে ডেকে শতর্ক করা হয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক নাচোল/ ২৪-০১-১৯

,