পত্নীতলায় এসএসসি’র প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে শিক্ষকসহ ৭জন আটক

নওগাঁর পত্নীতলায় এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কোচিং সেন্টারের দুই শিক্ষকসহ ৭ জনকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)  বলে। রোববার দুপুরে নওগাঁ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানানো হয় শনিবার রাতে জেলার পত্নীতলা, ধামইরহাট উপজেলায় ও জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর থেকে তাঁদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়

আটককৃতরা  হলেন, পত্মীতলা উপজেলার নজিপুর পৌরসভায় অবস্থিত আশির্বাদ কোচিং সেন্টারের শিক্ষক আনোয়ার হোসেন (৩০), রেসিডেন্সিয়াল কোচিং সেন্টারের শিক্ষক আল মামুন (২৯), শিক্ষার্থী জাহিদ হাসান (১৭), মর্তুজা আহমেদ (১৬), প্রভাত কুমার মহন্ত (১৭), জহিরুল ইসলাম (১৮) ও ইসরাফিল আলম (১৬)।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রফিক জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত শনিবার নজিপুর পৌরসভার আশির্বাদ ছাত্রাবাস থেকে প্রথমে চার শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়। এ সময় তাঁদের মোবাইলে অনুসন্ধান করে রোবারের অনুষ্ঠিত এসএসসি’র তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পাওয়া যায়। পরে ওই শিক্ষার্থীদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রশ্ন ফাঁসের মূল হোতা কোচিং সেন্টারের শিক্ষক আনোয়ার হোসেন ও আল মামুনকে আটক করা হয়। আনোয়ার ও মামুনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ধামইরহাট উপজেলা থেকে জহুরুল ইসলাম ও জয়পুরহাট উপজেলা থেকে ইসরাফিল ইসলাম নামের এই চক্রের আরও দুইজনকে আটক করা হয়। আটক শিক্ষক ও ছাত্রদের বিরুদ্ধে পাবলিক পরীক্ষা আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আটক শিক্ষক আনোয়ার ও আল মামুন বলেন, ‘ইন্টানেটের মাধ্যমে তাঁরা পরীক্ষার আগের দিন রাতে অথবা পরীক্ষার দিন সকালে প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করেন। এরপর বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্র নেওয়ার জন্য অফার করা হয়। বিকাশের মাধ্যমে ২০০০ থেকে ৩০০০ টাকা নিয়ে ফেসবুকের মেসেঞ্জারে অথবা ই-মেইলের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছে প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হয়। আগের পরীক্ষাগুলোতেও তাঁরা প্রশ্নপত্র পেয়েছিলেন এবং একইভাবে বিতরণ করেছেন বলে স্বীকার করেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক, নওগাঁর/ ১১-০২-১৮