দু’দিনের প্রবল বর্ষণে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বহু এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে ফসলী জমির ক্ষতি

গত দু’দিনের ভারি বৃষ্টির কারণে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলাসহ জেলার অন্যান্য উপজেলার নি¤œাঞ্চলের বহু এলাকা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। বেশ কিছু এলাকার মানুষ জলবন্দি হয়ে পড়েছে। দু’দিনের টানা বর্ষণে জেলায় আবাদ হওয়া ব্যাপক পরিমাণ জমির ফসলও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
আমাদের গোমাস্তাপুর প্রতিবেদক জানান, গোমস্তাপুর ও ভোলাহাটে উপজেলায় অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে ঢলে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। প্রবল বর্ষণের ফলে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে সদ্য রোপিত ধানের চারা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। পানির কারণে উপজেলার রাধারনগর ইউনিয়নের কুজইন বিল, রহনপুর ইউনিয়নের রামদাস বিল, পাথরপুজা, চানপুর ভাগলপুর সহ বেশ কিছু এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়।
বৃষ্টির কারণে টানা ৪৮ ঘন্টা বিদ্যুও ছিলনা। গোমস্তাপুর ও পাশ্ববর্তী নাচোল উপজেলার অধিকাংশ বিদ্যুৎ সংযোগের ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টির কারণে হাট-বাজার গুলোতে লোকজনের চলাচল ছিল কম। সরকারি-বেসরকারি অফিসগুলোতেও উপস্থিতিও ছিল অনেক কম। শ্রমিকরাও কাজে যেতে পারছেননা। ফলে অনেককেই বাড়িতে বসে অলস সময় কাটাতে হচ্ছে।
এছাড়া ভোলাহাট উপজেলার  পানির নিচে তলিয়ে গেছে হাজার হাজার বিঘা ফসলি জমি। বেহাল হয়ে পড়েছে রাস্তা-ঘাট ভেঙ্গে পড়েছে কালভার্ট বন্ধ হয়ে গেছে যাতাযাত। আম বাগানসহ বিভিন্ন জমিতে জমে গেছে হাঁটু বরাবর পানি। অবিরাম বৃষ্টিতে বিলচাতরা, শৈগাড়ী, বিলভাতিয়াসহ বিভিন্ন স্থানের হাজার হাজার বিঘা ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে। পয়ঃনিস্কাষণের পর্যাপ্ত সুবিধা না থাকায় ধীরে ধীরে বের হচ্ছে পানি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল ওয়াদুদ জানান, শনিবার সর্বোচ্চ ৭০ মিলি মিটার বৃষ্টির পানি রেকর্ড করা হয়েছে। তিনি বলেন, পানির নিচে তলি থাকা ফসল লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কোন ক্ষতি হবে না। ধীরে ধীরে পানি সরে যাবে। কৃষক তাদের ফসল সাভাবিক ভাবেই ঘরে তুলতে পারবে বলে জানান। এদিকে বেহাল হয়ে পড়েছে ভোলাহাট-রহনপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগসহ এলজিইডি ও স্থানীয় সরকারের সবগুলো রাস্তা। রাস্তাগুলোর জায়গা বিশেষে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে পথচারিদের। অপরদিকে মেডিকেল মোড় হতে মুন্সিগঞ্জ মহানন্দা নদীর রাস্তার মুন্সিগঞ্জ হাটের পাশে এলজিইডি’র ২০ বছর পূর্বে তৈরী করা কালভার্টটি নিচে দেবে গিয়ে রাস্তাটিতে মানুষের চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। কালভার্টটি দেবে যাওয়ায় ঝুঁকি বেড়েছে ঐ এলাকার লোকজনের। অজানা ব্যক্তিরা কালভার্টে রিক্সা-ভ্যান নিয়ে রাতের আঁধারে পার হতে গিয়ে দূর্ঘটনার শিকার হয়েছেন বেশ ক’জন পথচারি। দ্রুত বর্ষা পরবর্তী উল্লেখিত সমস্যাগুলো সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবী করেছেন এলাকাবাসি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ১২-০৮-১৭

, , ,