ভোলাহাট সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার চরধরমপুর সীমান্তে রবিবার ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক পর্যায়ে বিজিবি ও বিএসএফ এর মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেলা পৌনে এগারটা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট সীমান্তের ট্যাংগন নদীর মোহনায় এই পতাকা বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বাংলাদেশ পক্ষে ১০ সদস্যর প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে দেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৫৯ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন কমান্ডার লে.কর্নেল হাসান মোর্শেদ। এ সময় ভারতের পক্ষে ১২ সদস্যর প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে দেন ৮২ বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার রাজেশ কুমার।
চাঁপাইনবাবগঞ্জস্থ ৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কমান্ডার লে.কর্নেল হাসান মোর্শেদ এক প্রেস নোটে পতাকা বৈঠকের বিস্তারিত জনান, চরধরমপুর বিওপি এলাকায় বাংলাদেশ ও ভারতের পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ইরিগেশন ওয়াটার ওয়েজ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলীদের উপস্থিতিতে মহানন্দা ও পুর্নভবা নদীর পাড় রক্ষায় সিসি ব্লকের বন্ধ থাকা কাজ শুরু নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বৈঠকে বাংলাদেশী এলাকায় গিলাবাড়ী বিওপির বিপরীতে সীমান্ত পিলার ২০১/৭-আর হতে ২০১/৯-আর পর্যন্ত এবং ভারতীয় অংশে সীমান্ত পিলার ২০১/৬ আর হতে ২০১/৮আর পর্যন্ত ১৫০ মিটার সিসি ব্লকের বন্ধ থাকা কাজ আরাম্ভের ব্যাপারে উভয়পক্ষ একমত হন। এছাড়া ভারতীয় অংশের ৩ টি কাজের মধ্যে কালাইবাড়ী ক্যাম্পের বিপরীতে সীমান্ত পিলার ২১২ হতে ২১৩ এর মধ্যে ৪০০ মিটার কাজ পূর্ব অনুমোদন থাকায় কাজ শুরুতে কোন বাধা নেই মর্মে সিদ্ধান্ত হয়। অনুরাধাপুর ক্যাম্পের বিপরীতে সীমান্ত পিলার ২১৯/১০-আর হতে ২১৯/২-আর পর্যন্ত ১৭০০ মিটার  পুনর্ভবা নদীর তীর রক্ষা কাজ শুরুর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সীমান্ত পিলার ২১৯/১০ আর হতে সামনের ৫০ মিটার বর্ধিত কাজ উভয় দেশের ডিজাইন ইঞ্জিনিয়ারের উপস্থিতিতে করা যাবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। অবশিষ্ট ৩০০ মিটার কাজ উভয় দেশের ডিজাইন ইঞ্জিনিয়ার পর্যায়ে যৌথ জরিপ শেষে শুরু করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে বলে আলোচনা করা হয়। আশরাফপুর ক্যাম্পের বিপরীতে সীমান্ত পিলার ২০১/৫০-আর হতে ২০২ মেইন পিলার পর্যন্ত ১১০০ মিটার ঢালের মাটি কেটে ডাম্পিং এবং পিচিং এর কাজ আরম্ভের বিষয়ে কোন বাধা নেই বলে সিদ্ধান্ত হয়। ওই এলাকার ১৬০ মিটার নদীর তীর রক্ষার কাজ উভয় দেশের প্রকৌশলীদের উপস্থিতিতে এ মাসের শেষ সপ্তাহে যৌখ জরিপ সম্পন্ন করে শুরুর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে বলেও আলোচনা হয়। বৈঠকে সীমান্ত এলাকায় দিবা-রাত্রী যৌথ সমন্বিত টহল বৃদ্ধির মাধ্যমে চোরাচালান, মাদকদ্রব্য পাচার এবং গরু পাচার নিয়ন্ত্রনের জন্য টহল কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে উভয় বাহিনীর কমান্ডারগণ একমত হন। এছাড়া উভয় দেশের খেলোয়াড়দের সমন্বয়ে ম্যাচ পরিচালনার মাধ্যমে সম্প্রীতি বৃদ্ধির উদ্যেগ গ্রহণ করা হয়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ০৫-০৩-১৭

,